রমজান। দীর্ঘ এগারোটি মাস পেরিয়ে আমাদের জীবনে বারবার ফিরে আসে।
পৃথিবীর অন্যান্য আরবী মাসগুলোর মধ্য থেকে রমজানের রয়েছে আলাদা ঐতিহ্য,আলাদা বৈশিষ্ট্য এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য এই মাসে রয়েছে আল্লাহর বিশেষ হকুম এবং অশেষ পুরস্কার।
রমজান।
শরীরের স্বস্তি, আত্নার প্রশান্তি,সংযম এবং সবরের মাস।
আল্লাহ তা"আলার নৈকট্য লাভের অফুরন্ত এক মাস।
এই মাসে আল্লাহর বিশেষ একটি হকুম হল,বান্দারা সুবাহে সাদিক থেকে নিয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বান্দারা সকল প্রকারের পানাহার এবং সহবাস থেকে বিরত থাকবে।ইসলামি পরিভাষায় এটাকে রোজা বলা হয়।
রোজা শুধুমাত্র মানুষের শারিরিক নয়,বরং মানুষের প্রতিটি অঙ্গের রোজা আছে।
যেমন পেটের রোজা হচ্ছে সুবাহে সাদিক থেকে নিয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকা।
চোখের রোজা হচ্ছে,অশ্লীল এবং খারাপ বস্তু থেকে নিজের দৃষ্টিকে হেফাজত করা।
কানের রোজা হল নাচ-গান এবং বাজে জিনিস শোনা থেকে বিরত থাকা।
মুখের রোজা হল গালি-গলাজ অশ্লীল কথা অহেতুক জগড়া থেকে বেঁচে থাকা।
এভাবে প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রোজা রয়েছে।
তাই রমজান কে বলা হয় সংযম এবং সবরের মাস।
রমজান এবং রোজা নিয়ে অনেক আলোচনা রয়েছে।এবং এই মাসে ইসলামের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও ঘটেছে।যা নিয়ে পরে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
তবে একটি কথা বলা অত্যন্ত প্রয়োজন,
রমজান মাসের সংযম এবং ছবর শুধুমাত্র রমজানেই সীমাবদ্ধ থাকবে?
নাহ।
রমজান তো সংযম এবং সবরের প্রশিক্ষনের মাস মাত্র।
আর এই মাসের করণীয় থেকে আমাদেরকে সারা বছরের ভালভাবে থাকার শিক্ষা নিতে হবে প্রশিক্ষন গ্রহণ করতে হবে।
আর রমজানের শিক্ষাই হচ্ছে আল্লাহর বান্দাদের সারাটা জীবন যেন রমজানের মত সুন্দর সুখময় শান্তি এবং সংযমের হয়.....
আল্লাহ আমাদের সকলকে রমজানের হক আদায় করার তাওফীক দান করুন.....
আমীন....