somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পায়ে পায়ে হারাবার জায়গা খুজে মরি...

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মাঝে মাঝে নিরালায় লির্জনেও নিজেকে আমি খুজে পাইনা, নিজের হাত, পা, মুখ, চোখ সব খুজেপেতে এক জায়গায় আনার পর দেখা যায় মনটাকে যে কোন চিপায় ফেলে এসেছি মনেই নাই...আর অনেক মানুষের ভীড়েতো কথাই নাই...তখন নিজেকেতো স্বত্ত্ব ত্যাগ করে হারিয়ে ফেলতে ইচ্ছা করে...মনে হয় যেন নিরুদ্দেশ হয়ে যাই...জানিনা এরকম কেন হয়...গতবার ডিপার্টমেন্টের সাথে কক্সবাজারে গেলাম, বিশ্বাস করবা?...এইযে নিজের ছবি বিবিধ পোজ়ে তুলতে যার এত ভাল লাগে তার এদিক সেদিকের কয়েকটা ছবি ছাড়া কোনও ছবি তোলা হয়নাই...! ...মন খারাপ ছিল?...নাতো...তেমন না...ওখানে যাবার দুদিন আগে আমার নয়া মোবাইল চুরি হওয়ার কিছুটা দুঃখ ছিল...তাই বলে সেই দুঃখ এতটা সর্বগ্রাসী না যে সবাই যখন সৈকতে ছুটাছুটি আর খুনসুটি করছে তখন আমাকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে সমুদ্রের দিকে হাটতে হবে...আমোদপ্রিয় আমি মাঝেসাঝেই এরকম কাঠখোট্টা হয়ে যাই...তবে ঠিক ভাবে বলতে গেলে, কাঠখোট্টা কি?...বরঞ্চ কিছুটা দলছুট, অনেকটা একা, পুরাপুরি উদাসীন, কখনও কখনও উন্নাসিক একজন হিসেবে আমার আত্মপ্রকাশ ঘটে...মাঝে মাঝে তখন আউলা সেই আমার কোনও এক চিপায় লুকিয়ে থাকা সরল আমি খুব ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করে, 'ভইন আপ্নে কেডা...কইত্থন আইসেন...' কিন্তু আউলা আমি উত্তর দেয়না, ভাব নেয়...তার এই ভাব নেয়া আমার ভিতরকার সেই সরলতাটাকে আস্তে আস্তে বিমর্ষ, একা করে দিচ্ছে...আমার সেই আমিটা আজকাল আর আউলাটা আসলে প্রশ্নোত্তরের ঝামেলায় যায়না...নীরবে সরে ওকে জায়গা করে দিয়ে যায়...এই সুযোগে যে আউলাটা তার পরিধি বিস্তার করে চলছে সেটা বোকাটা বুঝেনা...আউলা আমি দেখল এই সুযোগ, ধর তক্তা, মার পেরেক...এই জবরদখলের যুগে মানসিকতার এই অপভ্রংশ ফাঙ্গাসের মত বা ভাইরাসের মত মনের সব আলো নিভিয়ে দিয়ে, ধীরে ধীরে মনের আনাচে কানাচে থেকে আমার আমিটাকে সরিয়ে দিচ্ছে...বোকা আমি তার বোকামীর খেসারত দিবে তার সারল্য হারিয়ে কালো কুচ্ছিত সঙ্কীর্ণতার কাছে মাথা নত করে...

কিন্তু ভেবে দেখেন, তাতে কারও কি কিছু এসে যাবে?...উহু...কিচ্ছুটি বদলাবে না...যে বদলে যাচ্ছে ধীরে ধীরে তার যখন কোনও সাড়াশব্দ নেই তখন দুনিয়ার কি দায় পরেছে হাপিত্যেশ করার?...দুনিয়ার স্বভাব হল তারা বাইরের মোড়ক দেখেই ভেতরেরটা আন্দাজ করে আর সেভাবেই বেছে নেয় পছন্দসই মানুষ বা পন্য...সে যাইই হোক...খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাই যখন আমাকে কারও ভাল লাগবেনা আমাকে ছুড়ে ফেলে দিতেও তার কিছু হবেনা...কারন ৭০০ কোটির পৃথিবীতে আমি বাদে তার হাতে অপশন কম নাই...আমার যা মূল্য তা শুধু আমার কাছে, বা যারা আমার পরিবারের অংশ বা প্রিয় তাদের কাছেই...আর কেইবা আমাকে বেইল দিবে?...দরকারইবা কি আছে তার?...

বদলে যাচ্ছি, খুব আস্তে, কিন্তু যে পরিবর্তনটা আসছে সেটা বিশাল...এর পরিনামটা সুখকর কিছু হবেনা...তাও ভালই বুঝতে পারছি...কিন্তু করার বেলায় করছি কচু...এখনকার আমি আগের আমির চেয়ে কর্কশ, রূঢ, অপছন্দে মানুষের কাছে এখনকার আমি সুখকর কোনও অভিজ্ঞতা নই...আজকাল কাউকে অপছন্দ হলে তাকে এড়িয়ে যাইনা...জাতা দিয়ে চেপে ধরি... আমি আমার নিজেকে আয়নায় দেখে নিজেই ভীত...এই আমিকে আমি চিনিনা... চিনতেও চাইনা...আমার সাহায্য দরকার, শীঘ্রই...আমার ভিতরের বোধগুলোকে জাগিয়ে তুলতে হবে...আর নয়ত পায়ে পায়ে হারিয়ে যেতে হবে, যেখানে আমাকে খুজে বের করার কেউ নাই...সেখানে...


:|/:):((...দুঃখের যত ইমো...[ফাজলামীর বদগুন আমার যাবেনা...কথায় আছেনা কয়লা ধুইলেও...]
২৫টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×