এক্সি নামের নেহায়াত এক ছন্নছাড়া দামড়া পুলা একদিন গাড়ি চুরি কইরা ভাগতে যায়া পুলিসের গাড়িতে ঠুয়া দিয়া হাজতে ঢুকে। ঢুকার পর দেখল, আগেরবারের মত এইবার লাক অতটা ভাল না, গরাদের পিছনে লম্বা টাইম থাকা লাগব। সারাজীবন গলায় ঝুলানি লকেটটার কথা মনে পড়ল, ফুন দিল সেইটার পিছনে থাকা নাম্বারটায়। চউক্ষের পলকে জেল থেকে মুক্তি।
বাইর হওয়ার পর দেখল এক মান্ধাতার আমলের পোশাক পড়া লোক হাতে ছাতি নিয়া খাড়ায়া আছে থানার সামনে, নিজের পরিচয় দিল হ্যারি (গালাহাদ) বইলা। মেলা প্যাচালের পর এক্সি জানতে পারল তার আসল পরিচয়!! এক্সির বাপে আছিল এক সুপার স্পাই, যে কাজ করত কিংসম্যান নামের এক টপসিক্রেট ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিতে, কিংসম্যান আদতে এক টেইলরের দোকান কাভার হিসাবে। কিংসম্যানের বাঘা এজেন্ট ছিল তার বাপ, সদ্য নিহত কিংসম্যান এজেন্ট ল্যান্সেলটের পোস্টে নতুন এজেন্ট নেয়ার জন্য ট্রেনিং শুরু হয় এক্সি আর আরও কয়েকজনের।
ল্যান্সেলট মারা গেছিল ভ্যালেন্টাইন নামের এক আচানক ব্যবসায়ির সাথে ক্যাচালে জড়ায়া। গালাহাদ নিজেও পাত্তা লাগাইতে থাকে, জানতে পারে কঠিন সব কাহিনী। ভ্যালেন্টাইন মাগনা কথা কওনের সিম বিলায় সারাদুনিয়ায় কিন্তু বাস্তবে মেলা কাহিনি আছে ঐ সিমের, হিউম্যান নার্ভাস সিসটেমে কন্ট্রোল করা যায় ঐ সিম দিয়া। ভ্যালেন্টাইন দুনিয়ার জনসংখ্যা নিয়া ব্যাপক চিন্তিত, তার প্ল্যান এই সিম ইউজ কইরা সবার মধ্য মারামারি লাগায়া দিলে চোক্ষের পলকে দুনিয়ার লোক অর্ধেক কইমা যাইব।
তেড়ামি কইরা ট্রেনিং-এর লাস্ট স্টেজে যায়া এক্সপেল হয় এক্সি। কিন্তু এরইমধ্যে, ভ্যালেন্টাইনের সাথে মারামারি কইরা পটল তুলে গালাহাদ। আবিস্কার হয় কঠিন ষড়য্ন্ত্র, এক্সি পেলেন নিয়া ঝাপায়া পড়ে গালাহাদ চাচার মৃত্যুর প্রতিশোধ প্লাস ভ্যালেন্টাইনরে ভালবাসতে তারপর আর কি?! সিনামার যে গতানুগতিক কাহিনী....কায়ালবাম বইলা রাম চিক্কুর দিয়া মারামারি আশা করছিলাম.....
এইবার আসেন সিনামার ভালমন্দ নিয়া দুইচার কথা লেখি। কাহিনী মেলা সিম্পল। টেকনোলজিকাল কেরামতিও যে আহামরি বেশি দেখাইছে তা না। এক্সি আর দামড়াবাহিনীর ট্রেনিং -এর সিকোয়েন্সগুলা সিনামার উইক পয়েন্ট, স্পাইদের ট্রেনিং দেয়ার অনেক মুভি আছে, কম্পেয়ার করলে সিনামার এই পার্টটা হাস্যকর হয়েছে।
তাইলে এই সিনামা কেন দেখবেন???
ইয়াপ, এই সিনামার মেইন এট্রাকশন হইল কলিন ফার্থ। এই লোক সারাজীবন ঝিমাইন্ন্যা কিসিমের রুমান্টিক আর নাইলে ডায়ালগ বেস এক্টিং করছে, এইটাই ব্যাটার ফাস্ট একশন মুভি। এক সাক্ষাৎকারে সে স্বীকার করছে, ৫৪ বছর বয়সে একসন মুভি, একটু বুড়াই হয়ে গেছে বলতে হয়। কিন্তু সে মানায়া গেছে তার চরিত্রে। ব্রিটিশ ভদ্রলোকের ক্লাসিকাল এপিয়ারেন্সে চমৎকার দেখাইছেন কলিন। গালাহাদের এপিয়ারেন্স, মুভমেন্ট এই সিনামার ব্যবসায়িক, ক্রিটিকাল রিসিপশনে সাকসেস পাওয়ার মেইন ড্রাইভার ছিল। জেমস বন্ডরে ফরমাল ড্রেসআপে ভাল লাগে আপনার?? তাইলে এই মুভি আপনার সর্বকালের ফেভারিট লিস্টে লটকায়া যাবে
স্যামুয়েল জ্যাকসন শক্তিশালি এক্টিং করেন, নিজের স্টাইলে সবসময় সপ্রতিভ। এইটাতেও তার ব্যাতিক্রম হয় নাই। এইবছরের সবচেয়ে আচানক ভিলেনের প্রাইজ প্রাপ্য হয়া গেছে।
বাইদ্যাওয়ে, এই সিনামার সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং হইল ছাতা। আল্লাহরে, আমার যদি এরকম একটা ছাতা থাকত
ট্রেইলর: https://www.youtube.com/watch?v=kl8F-8tR8to
ডাউনলোড লিংক: স্যরি, মডু পুস্টে লিংক না দিতে অনুরোধ করছে
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১১:০৬