পাবনায় অপমানিত লাঞ্ছিত হয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিরা যখন ন্যায়বিচার পাবার জন্য দেশবাসির সামনে চোখের জল ফেললেন তখন তারা আবার রাষ্ষ্ট্রীয় অবিচারের শিকার হলেন। হায় বাংলাদেশ, হায় গণতন্ত্র!। সরকার পাবনা জেলার প্রশাসক এএফএম মনজুর কাদির ও পুলিশ সুপার জামিল আহমেদকে প্রত্যাহার করলো। এছাড়া সদর থানার ওসি মতিয়ার রহমানকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে।এর আগেই পাবনা সদরের ইউএনও আবদুল আলীমকে ভোলার মনপুরায় বদলি করা হয়। এই হলো গণতন্ত্র, সুশাসন, ন্যায়বিচারের নমুনা! কাল্পনিক অভিযোগ এনে প্রথম আলো এবং প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানালেন সংসদ সদস্যরা। এরপরই প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা করলো সরকার দলীয়রা। এসব কিসের ইঙ্গিত?
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর এর রিপোর্ট অনুযায়ী, পঞ্চগড়ে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও সংশ্লিষ্ট পত্রিকার পঞ্চগড় প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম শহীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে করেছে সরকারী দল আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের এক নেতা। ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১০ পঞ্চগড়ের মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন। বিচারক জাফরুল হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে আগামি ১৫ অক্টোবর বিবাদীদের ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রথম আলোর শেষ পাতায় গত ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১০ বাদিকে জড়িয়ে ‘পঞ্চগড় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যুবলীগ ছাত্রলীগের ভাংচুর’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে তার সম্মানহানি এবং তাকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় মামলার আরজিতে। একই উদ্দেশ্যে এ সংবাদে স্থানীয় সংসদ সদস্য মজহারুল হক প্রধানের নাম উল্লেখ না করে তাকেও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ঘটনায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ছিল পঞ্চগড় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা। ওই নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে সরকার দলীয়রা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ভাংচুর চালায়।
নিচের লিংকে আরও পড়ুন-বিস্তারিত-http://www.eurobangla.org/?p=1063