স্বাগত ১৪৩৬ হিজরী নববর্ষ।
অবশ্যই এই নববর্ষে আমাদের করণীয় কিছুই নাই!
মুসলিমরা বড় বড় ইবাদতগুলো যেমন রমজানের রোযা, ফিৎরা, ঈদ, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি হিজরী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সম্পন্ন করে থাকে।
ফেলে আসা দিনগুলোর গ্নানিকে মুছে ফেলে ও দুঃখ-কষ্ট ভুলে গিয়ে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন বছরের শুরুর সময়টার গুরুত্ব রয়েছে। মুসলিম হিসেবে হিজরী নববর্ষ উদযাপন কিংবা মুসলিমদের গৌরবের দিনটি পালনের ঐতিহ্য আমাদের সংস্কৃতিতে ব্যাপকতা লাভ করেনি। অনেকে আমরা জানি না যে, মুসলিমদের নববর্ষ কোন মাসে হয়? আবার কেউ হয়তবা হিজরী বর্ষ গণনার সঠিক ইতিহাস জানেন না! হিজরী সনের তারিখের খবরও রাখেন না। এর প্রতি মানুষ আকর্ষণও অনুভব করেন না। হিজরীর প্রথম দিনে বাংলাদেশের কোন পত্রিকা সম্পাদকীয় লিখে না এবং সরকারী ছুটিও থাকে না (অনেক মুসলিম প্রধান দেশের অন্যতম সরকারী ছুটির দিন) যা অত্যন্ত গ্লাণিকর ও লজ্জার
হিজরী সন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ত্যাগ এর ঐতিহাসিক স্মারক। হিজরী সন আমাদের মনে করিয়ে দেয় কিভাবে অবিশ্বাসীরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পৃথিবী হতে সরিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তিনি আজো জাগরূক হয়ে আছেন মুসলিম বিশ্বে।
মনে রাখা জরুরী যে, হিজরী সনের প্রথম মাস মহররম। এ মাসের ৯, ১০ ও ১১ তারিখে রোযা রাখা ভালো। মুহাররম মাস শুধুমাত্র কারবালার ঘটনা স্মরণ করার মাসই নয় এমাস গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার, ত্যাগের, ভালো কাজ করার, খারাপ কাজ হতে বেঁচে থাকার এবং মুসলিম বিশ্বকে নতুন করে গড়ার প্রতিজ্ঞা করার মাস। হিজরী নববর্ষ আমাদেরকে ইসলামের ত্যাগের আদর্শের দিকেই আহবান করে।
পরিশেষে,
সবাইকে ১৪৩৬ আরবি হিজরী সনের শুভেচ্ছা।