একটি গান কতোটা হৃদয়ের হলে, কতোটা বাস্তব হলে সব বাস্তবতাকে ডিঙিয়ে এক নাগাড়ে চলতে পারে! কতোটা হৃদয়স্পর্শী হলে সব পবিত্র মনে দিতে পারে দোলা! টানা ৮৬টি বছর ধরেই তো চলছে।
‘‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ, তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানি তাগিদ’’। - ‘কী আবেগ, কী চেতনা, কী ভরপুরতা। যতোই বলা হোক কম হয়ে যাবে,’ এ কথা গানটির প্রথম গায়ক ওস্তাদ আব্বাস উদ্দিন আহমেদের।
গানটিতে কাজী নজরুল ইসলাম ঢেলেছিলেন তার সব মায়া-মমতা। সে মায়া ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বে উঠে গিয়ে পুরো বাঙালিকে ঈদের আনন্দে ভাসিয়েছে। আর গানটি হয়ে উঠেছে ঈদের আমেজ-খুশি-মাহাত্ম্য ও চেতনার প্রতিচ্ছবি।
পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ উঠা থেকে ঈদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলার আকাশে আর এ গানটি বাঙালির ঘরে ঘরে বেজে উঠবে না তা কী হয়! আর গানটি না বাজলে মনে হয় ঈদ আসবে না!(একান্ত ব্যক্তিগতভাবে আমার ধারনা) আহ কি সুখ, কি আনন্দ গানটার মাঝে। যদি গানটাকে আজকাল ডিজে করে নষ্ট করে ফেলছে কিছু আধুনিক জাতি!
কবি নজরুল মূল গানটি রচনা করেন ১৯৩১ সালের শেষ দিকে।
যদি সবারই জানা তবুও গানটার রিলিক্স দিলাম, গেয়ে নিবেন...
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন্ আসমানী তাগিদ।
তোর সোনা-দানা বালাখানা সব রাহেলিল্লাহ্
দে জাকাত মুর্দ্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিদ্।
আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদ গাহে
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।
আজ ভুলে যা তোর দোস্ত ও দুশমন হাত মিলাও হাতে
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরীদ।
ঢাল হৃদয়ের তোর তশতরীতে শির্নী তৌহিদের
তোর দাওয়াতে কবুল করবে হজরত হয় মনে উম্মীদ।
সবাইকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের লেট ঈদ শুভেচ্ছা- ঈদ মোবারক... ঈদ মোবারক।