একটি কবিতার ব্যবচ্ছেদ
যখন আকাশ ভেংগে জলপতনের মত
সব আশ্চর্য পংক্তিমালা আমার মাথায় আঘাত হানে
তখন আমি বাসে উঠা যাত্রীর মত বমি করে দেই
জীবনানন্দের অসম্ভব সুন্দর কাব্যের পাশে
ওগুলো পড়ে থাকে যৌবনের চিহ্ন হয়ে
আমার বাড়ির আঙ্গিনায়
অথবা যেখানে মিলেছিলাম আমরা
সেই ধূসর বিছানায়।
আমার কবিতাগুলো পড়ে থাকে
ধুলোমাখা কোন রাস্তায়-টোকাইরা কুড়িয়ে নেয়
বিকিয়ে দেয় কোন রেস্তরার মালিকের কাছে
নাস্তা খাওয়ার পর হাত মুছার জন্য...
অথবা কারো টয়লেট পেপার হয়ে পড়ে
সেই সব কাব্য
কিংবা বাতাসে কোন পাগল তরুনের গায়ে এসে পড়ে সেই কবিতা
আশ্রয় খোঁজে আবার রাস্তায় বা ড্রেনে
কোন পতিতার গড়াগড়িতে মচমচ করে কবিতা
আমারি মত কোন যুবকের পাঞ্জাবীর পকেটে
দিন দিন থেকে মলিন হয়
অথবা পত্রিকা অফিসের ঝুড়িতে
এমনকি থাকতে পারে পোস্ট অফিসের কোনে সহস্র বছর ধরে
কোন এক পোস্ট মাষ্টারের কন্যা পড়ে দেখে সেই কাব্য
আর ভাবে কবি যুবকের কথা।