somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সড়ক দূর্ঘটনা ও বাংলাদেশ এক সাথে হাত ধরাধরি করে ঘুরে বেড়াচ্ছে সবসময়ের জন্য

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সড়ক দূর্ঘটনা ও বাংলাদেশ এক সাথে হাত ধরাধরি করে ঘুরে বেড়াচ্ছে সবসময়ের জন্য।এক সেকেন্ডও একজন আরেক জনকে ছেড়ে থাকতে পারে না।তাদের এই সখ্যতা, তাদের এই বন্ধুত্ব দেখার মত।এ যেন লাইলী-মজনু,শিরি-ফারহাদ ও প্রাচ্যের রোমিও জুলিয়েটকেও হার মানায়।এই সখ্যতার উপঢৌকন হিসেবে বাংলাদেশ তার বুকের ওপর দিয়ে বয়ে চলা রাজপথ,ফুঠপথ,মেঠোপথসহ সমস্ত পথে তাকে দিয়েছে শুল্কমুক্ত ট্রানজিট ব্যাবস্থা। ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন সড়কে সে তার একাধিক স্থায়ী আাবাসস্থল গড়ে তুলে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে। এতেই ক্ষান্ত হয়নি সে।মাঝে মাঝেই তার অবকাশ যাপনের ইচ্ছে জাগে।অবকাশের যাপনের নিমিত্তে সে যখন তখন যেকোনো সড়কে ঢু দেয়।কখনো তার অবকাশ যাপন তাবু দেখা যায় রাজপথে,কখনো ফুঠপথে আবার কখনো মেঠোপথে।এই সুবাদে প্রতিটি সড়কে সে নির্বিঘ্নে কৃতিত্বের সাথে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে সড়ক দূর্ঘটনায় বাংলাদেশ অতিজর্জরিতভাবে সাজিয়ে তুলে বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্ব আরো গাড়ো করে যাচ্ছে।তাদের এই সখ্যতা ভাঙতে কতৃপক্ষের কোন মাথাব্যাথাই দেখা যায় না।বরং তারা দূর্ঘটনার পর হাসি মুখে 'আল্লাহর মাল আল্লাহ নিছে'বলে নিজেদের দায় আল্লাহর কাধে চাপিয়ে এই সখ্যতাকে আরো দৃড় ও মজবুত করে তুলতে সাহায্য করেন।সুস্থ সবল ও রোগমুক্ত (ভালো রাস্তা) সড়ক দূর্ঘটনার বসবাসের অযোগ্য বলে তারা এদেশের প্রমান সংখ্যক ভাঙা চোরা রোগ শোক অনাহারে অর্ধাহারে ও অপুষ্টিতে ভোগা রাস্তাগুলোর আহার,পুষ্টি সুচিকিৎসার(মেরামত) ব্যবস্থা না করে তাদে সড়ক দূর্ঘটনার বাসযোগ্য রাখতে যেন সদা ততপর থাকেন।ফলস্বরুপ সড়ক দূর্ঘটনা তাদের তাদের ধন্যবাদ দিতে দিতে আরো শক্তি ও আন্তরিকতা নিয়ে আজীবনের মেয়াদে বাংলাদেশের হাত ধরে আছে।
এছাড়া রয়েছে এদেশ বিপুল সংখ্যক লক্কর ঝক্কর,মুড়ির টিন নামে পরিচিত শত শত গাড়ী এবং সেগুলোর ওপর উপবিষ্ট একদল অদক্ষ অনভিজ্ঞ অশিক্ষিত চালক,যা সড়ক দূর্ঘটনার প্রধান উপাদান হিসেবে গন্য।এসব মুড়ির টিন মার্কা গাড়িগুলোকে কতৃপক্ষ মাঝে মাঝেই নিষিদ্ধ করে থাকে। এরা তখন ওয়ারেন্টপ্রাপ্ত আসামীর মত কয়েকদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকে।তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত হলে এবং ভুলোমনা কতৃপক্ষ সব ভুলে গেলে তারা আবার বেরিয়ে এসে রাজপথে রাজত্ব শুরু করে দেয়।ফলে অনূকুল পরিবেশ পেয়ে আগের চেয়ে দ্বিগুন উৎসাহে সড়ক দূর্ঘটনা ফ্রেন্ডশীপ ডে পালন করতে থাকে বাংলাদেশের সাথে।তাদের বন্ধুত্ব সকলের সহযোগীতায় আরও অটুট হতে থাকে।
বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই দেখছি ইলিয়াস কান্ঞ্চন নামক এক ভদ্রলোক,যিনি চলচিত্রের এক সময়ের দাপুটে নায়ক ছিলেন তিনি তার স্ত্রী সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরন করায় 'নিরাপদ সড়ক চাই' আন্দোলন করে যাচ্ছেন।কিচ্ছু হচ্ছে না তাতে।এক সময়ের দাপুটে নায়ক এই কান্ঞ্চন সড়ক দূর্ঘটনার দাপটের কাছে দাড়াতেই পারছেন না।বাংলা সিনেমায় সর্বদা তিনি খলনায়কের বিরুদ্ধে সফলতা অর্জন করে দেশ ও সমাজকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাচালেও বাস্তব জীবনে সড়ক দূর্ঘটনা নামক খলনায়কটির হাতে দেশ ও জাতিকে কিছুতেই মুক্ত করতে পারছেন না।তিনি সড়ক দূর্ঘটনার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভাঙাতো দূরের কথা বিন্দুমাত্র চিড়ও ধরাতে পারছেন না।বরং তাকে দেখিয়ে দেখিয়ে তার সম্মুখেই কোলাকুলি করছে বাংলাদেশ ও রোড অ্যাক্সিডেন্ট।
সবচেয়ে খুশীর কথা হলো এই লিখা যখন লিখছি তখন আমিও সড়ক দূর্ঘটনার ও বাংলাদেশের প্রবল বন্ধুত্বের শিকার হয়ে পা ভেঙে পঙ্গুত্বের দায় নিয়ে আছি।
আরো দীর্ঘস্থায়ী হোক তাদের বন্ধুত্ব।আমরা যারা তাদের বন্ধুত্বের বলি, তারা সবাই তাদের বন্ধুত্বকে সেলিব্রেট করতে থাকি।প্রতিদিনই পালিত হোক সড়ক দূর্ঘটনা ও বাংলাদেশের ফ্রেন্ডশীপ ডে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×