বেশি বয়সে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও হাস্যরসে যেন কোন অংশেই পিছিয়ে নেই সাতষট্টি (৬৭) বছর বয়সী এই ‘যুবক’! কনে হনুফা আক্তার রিক্তা (২৯) আলাদা একটি মঞ্চে বসা, মুখে লাজুক হাসি।
কুশল বিনিময়ের এক পর্যায়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বললেন, “আমি নেত্রীর (শেখ হাসিনা) কাছে গতকালও দোয়া নিয়ে এসেছি। তিনি আমাকে দোয়া করেছেন যাতে বিয়ের সব অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে হয়।”
“আমার নেত্রী দোয়া করার পর দলীয় নেতারা সবাই খুশি, দেশবাসীও খুশি, এর কারণ দেশের মানুষ আমাকে স্নেহ ও মমতা করে।”
পাত্রপাত্রী দুজনেরই বাড়ি কুমিল্লায়। সেখানে শুক্রবার বিয়ের জন্য আয়োজন চলছে পুরোদমে। কুমিল্লাবাসি সকলকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে।
হলুদ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা হবু স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে একসঙ্গে করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের পরিবার ও রিক্তাদের পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একসঙ্গে হলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।”
মুজিবুল হক আগেই জানিয়েছেন, পাত্রী মাস্টার্স পাস, তার সঙ্গে পরিচয় বছর তিনেক আগে। এতোদিন প্রেম ভালবাসার মধ্যেই সিমাবদ্ধ ছিল যা বিয়ের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটছে।
বিয়ের পর বৌভাতের আয়োজন করা হয়েছে আগামী ১৪ নভেম্বর শুক্রবার। অনুষ্ঠান হবে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরের এলডি হলে। এছাড়া ১৬ নভেম্বর কুমিল্লায় নিজের এলাকায় আলাদাভাবে বধূ বরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কুমিল্লাবাসি সকলকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে।
১৯৪৭ সালের ৩১ মে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মুজিবুল হক।
শেখ হাসিনার গত সরকারের শেষ দিকে ২০১২ সালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এবারও রেলপথের দায়িত্ব তাকেই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বুড়ো বয়সে বিয়ে করে উনি এখন অনেকের কাছেই হাস্যরসে পরিনত হচ্ছেন। তার দলের ভিতর থেকেই অনেকে বলছে এই বিয়ে বেশিদিন টিকবে না।
সূত্র : বিডি নিউজ ২৪