somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মৃত্যু : মানব মনের স্বাভাবিক প্রশ্ন ! এর উত্তর কোথায় ?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এ দুনিয়ার জীবনটাই কি একমাত্র জীবন , না এরপরও কোন জীবন আছে ? মানব মনের এ এক স্বাভাবিক প্রশ্ন এবং সকল যুগেই এ প্রশ্নে দ্বিমত হয়েছে এবং এর ভিত্তিতে দুই বিপরীতমুখী সমাজ ব্যবস্হা গড়ে উঠেছে ।

মানুষ ভূমিষ্ঠ হবার পর কিছূকাল দুনিয়ায় অবস্হান করতঃ বিদায় গ্রহণ করে । এ অবস্হানকাল কারো কয়েক মুহূর্ত মাত্র । কারো বা কয়েক দিন , কয়েক মাস , কয়েক বছর । আবার কেউ শতাধিক বছরও বেঁচে থাকে । কেউ আবার অতি বার্ধক্যে শিশুর চেয়েও অসহায় অবস্হায় জীবনযাপন করে ।

বেচে থাকাকালীন মানুষের জীবনে কত আশা-আকাংখা , কত রঙিন স্বপ্ন । কারো জীবন ভরে উঠে অফুরন্ত সুখ স্বাচ্ছন্দে আর কারো জীবনে নেমে আসে একটানা দুঃখ-দৈন্য , অপরের অবহেলা-অত্যাচার ও নির্যাতন । অবশেষে একদিন সবাইকে চলে যেতে হয় এ দুনিয়া ছেড়ে । রাজা-প্রজা, ধনী-গরীব , সাদা-কালো সবাইকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয় ।

মনে করুন, এক ব্যাক্তি শতাধিক মানব সন্তানকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে । তার অত্যাচারে শত শত পরিবার ধ্বংস হয়েছে । টাকা দিয়ে ও ক্ষমতার জোরে আইনের হাত থেকে বেচে হেসে খেলে জীবন পার করে দিল ।



তার তো এ অন্যায়ের কোন বিচার হলো না ? সে তো জীবনে সুখ ভোগ করে গেল । আর যারা অসহায়ভাবে মৃত্যু বরণ করল তারা তো জীবনে কিছুই পেল না ।



উপরোক্ত ব্যাক্তিদের জীবনের জের যদি মৃত্যুর পরেও টানা হয় এবং কোন সর্বশক্তিমান সত্তা যদি তাদের উভয় শ্রেণীকে যথাযোগ্য দন্ডে দন্ডিত ও পুরস্কৃত করেন - যাদের যেমনটি প্রাপ্য - তাহলে কি সত্যিকার ন্যায় বিচার হয় না ? বিবেক কে প্রশ্ন করুন এছাড়া আর কি উপায় আছে ?

পরকালে অবিশ্বাসীদের বিশ্বাস বা ধারণা হলো মৃত্যুর পরে আর কিছুই নেই, তাই কৃতকর্মের জন্য তাদেরকে কারো কাছে জবাবদিহি করতে হবেনা । দুনিয়ার জীবনে তারা যদি চরম লাম্পট্য ও যৌন অনাচার করে , তার যদি দস্যু ও লুন্ঠনকারীও হয় তবু তাদের ভয়ের কোন কারণ নেই ।

স্রষ্টা ও পরকাল বিশ্বাস করলেই প্রবৃত্তির মুখে লাগাম দিতে হবে । কারণ পরকারে শাস্তির ভয় আছে । একমাত্র সত্যিকারের খোদাভীতি-ই ও সঠিক জ্ঞান প্রবৃত্তির লাগাম দিতে পারে ।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক বলেন,

"তোমাদের সবাইকে তার দিকে ফিরে যেতে হবে । এ আল্লাহতায়ালার পাকাপোক্ত ওয়াদা । সৃষ্টির সূচনা অবশ্যই তিনি করেন এবং দ্বিতীয় বার সৃষ্টিও তিনি করবেন । দ্বিতীয়বার সৃষ্টির কারণ এই যে, যারা ঈমান আনার পর সৎকাজ করেছে তাদেরকে তিনি ন্যায় পরায়ণতার সাথে প্রতিদান দিবেন । আর যারা অবিশ্বাসী পথ অবলম্বন করেছে তারা উত্তপ্ত পানি পান করবে এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে । সত্যকে অস্বীকার কের তারা যা কিছু করেছে তার জন্যই তাদের এ শাস্তি । " (সূরা ইউনুছঃ ৪)

"প্রতেককেই মৃত্যুর আস্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং কিয়ামতের দিনে তোমাদেরকে পরিপূর্ণ প্রতিদান দেয়া হবে । অতএব সেদিন যাদেরকে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা করে বেহেশ্তে স্হান দেয়া হবে তারাই হবে সাফল্যমন্ডিত । - (সূরা আল -ইমরানঃ ১৮৫)

" প্রত্যেককে মৃত্যুবরণ করতে হবে এবং এই দুনিয়াতে তোমাদেরকে সুখ দুঃখ দিয়ে আমরা (আমি) পরীক্ষা করব এবং এ পরীক্ষার ফলাফল লাভের জন্য তোমাদেরকে আমাদের (আমার) নিকট ফিরে আসতে হবে । " (সূরা আল - আম্বিয়া)

"তোমরা কি কখনো চিন্তা করে দেখেছ যে স্ত্রী সঙ্গমে তোমরা স্ত্রী যোনীতে যে বীর্য প্রক্ষিপ্ত করছ, তা থেকে সন্তানের উৎপত্তি কি তোমরা করছ , না আমি ? আমি তোমাদের মৃত্যু বন্টন করে দিয়েছি । তোমাদের আকৃতি পরিবর্তন করে তোমাদের জ্ঞান বর্হিভূত অন্য আকৃতিতে পয়দা করতেও আমি অপারগ নই । তোমাদের প্রথম বারের সৃষ্টি সম্পর্কেও তোমরা পরিজ্ঞাত । তবে কেন শিক্ষা গ্রহণ করছ না ?" (সূরা ওয়াকিয়াঃ ৫৮-৬২)

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×