চাইনিজ মার্শাল অার্টের একটা নীতি আছে। মেরিট অব আ্যচিভিং যার সোজা চাইনিজ ভাবার্থ হলো "কুং ফু"। কপিমাস্টারকে সাড়ে চার ঘন্টায় ম্যাকাপ হেডকোয়ারটার এ যা কিছু শেখানো হয়েছে তার সকল প্রারম্ভিক ধারণা ছিলো কুং ফুর। অতি আবেগকে নিয়ন্ত্রণ এবং ধৈর্যধারণ করে প্রতিপক্ষকে বশে নিয়ে আসার যে ক্ষমতা তাই কুং ফুর মূল উপাদান।
-এ কি ধরণের জন্তু? দেখেতো মনে হয় ইয়েতি। আবার মুখ দিয়ে ধোয়া বেরোচ্ছে?! রানার অবাক হয়ে বললেন।
-একটা মেয়েকে দেখা যাচ্ছে তার কাঁধে। নেমে আসছে মনে হয়। দাঁড়ান আমার ক্লোন করি। কপিমাস্টার বললো।
সাথে সাথে বিশটা কপিমাস্টারের নকল ক্লোন মানুষ বেরিয়ে গেলো। দানবটা স্থির হয়ে গেলো। তার কাঁধেচড়া মেয়েটা, নিশা একটা লাফ দিলো উপর থেকে। মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় কুংফু ফাইটাররা যেভাবে দাঁড়িয়ে থাকে ঠিক তেমনি কপিমাস্টারের ক্লোন গুলো দাড়িয়ে রইলো। মেয়েটা একটা নির্দিষ্ট জায়গায় এসে দাঁড়িয়ে গেলো। আন আর্মড কমব্যাটের এইম নিলো।
হাইত! মুখ দিয়ে একটা শব্দ বের করে কপিমাস্টারের ক্লোনের দিকে ছুটে গেলো। প্রথম ক্লোনটা খুব ধীরস্থিরভাবে আক্রমণ ঠেকালো। তার পরের ক্লোনটা ধেয়ে এলো। হাতের কোপটা জায়গামতো না পড়লেও মেয়েটা মাগো বলে কাধ চেপে পেছনে যেতে লাগলো।
-যন্ত্রমানব! আর ছয়শ তেয়াত্তর মিটার। রোবটটা থেমে আছে।
-আমিও প্রস্তুত।
ধাম করে একটা প্রকান্ড খেলার মাঠে পড়লেন যন্ত্রমানব। তার আগেই শিল্পপতির ছেলের বেশে জাকুয়া, যে কিনা সায়েন্টিস্ট ইকবালের তৈরি করা ওই মাঠেই নেমেছে। আশেপাশের খেলায় ব্যস্ত ছেলেপেলেরা জাকুয়াকে দেখে আগেই হা করে তাকিয়ে ছিলো।
আর এখন আর একটা প্রকান্ড সাইজের আধা ধাতব মানুষ দেখে গলা চিরে একটা ছেলের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো-
"সবাই ভাগ!"