somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প- ১৬০ পৃষ্ঠা

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"মাননীয় রাষ্ট্রপতি"

রাষ্ট্রপতির বাসভবনের ৫০ এমবিপিএস ভিল্যান ব্রডব্র‍্যান্ড কানেকশনে স্ট্রিমিং করে দেখানো হচ্ছে। একই সমগতির কানেকশন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও আছে।

সচিব প্রেস ব্রিফিং করছেন, মিডিয়া হা করে তাকিয়ে আছে, যেনো টোপ গিলে মাছ বড়শিতে ধরবে। গোটা কনভেনশন হল জুড়ে তিনটা স্তর। প্রশাসনের লোকজন প্রথম স্তরে। পাশেরটা সাংবাদিক, মিডিয়ার লোকজন, পাশে কোন স্তর বোঝ গেলো না। কারণ ওদের ভেতর কারো মুখের পেশি শক্ত, কারো পেটানো শরীর, আবার কেউ কেউ একেবারেই সাদাসিধে বা কচি চেহারার। এই শেষের স্তরের লোকজন আসলে রয়েছে মাঝের সারিতে। মানে প্রশাসন, তারপর এই মানুষগুলো, তাদের পাশে মিডিয়া। নির্দিষ্ট এই মানুষ গুলোর দিকে দুতিন সেকেন্ড তাকিয়ে সচিব বলতে শুরু করলেন,

"বাংলাদেশে, সম্প্রতি এমন কিছু নজির পাওয়া গিয়েছে, যেগুলো মনুষ্যজাতির সাধারণত্বের ভেতরে নয়। যাকে আমরা অতিমানবীয় কার্যকলাপ বলে থাকি। এই অতিমানবেরা মানবসেবায় যুক্ত হলে যে আামাদের দেশের অপরাধ দমনে যে কতো উন্নতি আসবে তা কল্পনা করা প্রায় অসম্ভব। তবে কতোজন দেশের জন্য এগিয়ে আসবে তা আমাদের গণনার বাইরে। তবে আমরা ১৬০ পৃষ্ঠার একটি ডকুমেন্ট তৈরি করেছি যার কিছু অংশ আমি এখানে প্রকাশ করতে চাই।

(১-৪০)ইতিমধ্যে প্রায় ৭৭জনকে সনাক্ত করা গেছে। যারা কয়েকটি গ্রুপ বা নিজেদের স্বমহিমায় উজ্জ্বল। কেউ অতিমানবীয় শক্তির অধিকারী, আবার কেউ খালি হাতে শত্রুর জন্য ভয়ংকর।

(৪১-১০০) আপনারা জানেন, ডিজিএফআই তাদের স্পেশাল ইউনিট বের করেছে, যাদের দ্বায়িত্ব রাষ্ট্রীয় অপরাধ দমন করা। বিশেষ করে বিজ্ঞান ভিত্তিক অপরাধ প্রচুর বাড়ছে। অপরদিকে প্রচুর সংখ্যক অতিমানব দেশে রয়েছে। যাদের অপরাধ দমনের সাথে সাথে খুঁজে নেয়ার দ্বায়িত্ব এই স্পেশাল ইউনিটের।

(১০১-১৬০) বিগত পাচ বছরে আমরা টেকনোলজি ইন্টিগ্রেটেড উইপন সিস্টেম চালু করেছি। যদিও রাষ্ট্রীয় ভাবে এসব গোপন রাখা হয়। আবার এমন কিছু সিস্টেম দেশে গোপনে চালু হচ্ছে যার সাথে রাষ্ট্রের ও সেনাবাহিনীর কোন সম্পর্ক নেই।

এই ধরণের ব্যবস্থা যারা চালু করছেন তারা আমাদের সাথে সম্পৃক্ত নন। এদের অনেকেই স্যাবোটাজ করে দেশের ব্যবস্থা নড়বড়ে করে দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে ড. ইকবালের কথা সবার আগে আনা জরুরি।

আপনারা যারা এখানে উপস্থিত তারা দেখতে পাচ্ছেন মাঝের সারিতে রয়েছেন এমন কিছু মানুষ যাদের চেহারা দেখেন নি কখনো। কেউ আছেন আর্মিতে, কেউ ওতিমানবীয় শক্তির অধিকারী। উল্লেখ্য, ডিজিএফআই স্পেশাল ইউনিট- এজেন্টস অব ডি যাদের ভেতর আছেন কমান্ডার শরীফ, শামীম, রিশাদ, আরমিন, জাহেদ, সাব্বির, আসিফ, সাদিয়া এবং রণিন। আর, এই মুহুর্তে একটি চমক আপনাদের দেখাবো আমরা।"

"লাইটস আউট"

মঞ্চে ফোকাস বাতি পড়লো। স্কাই ডোরটা খুলে গেলো। ধুপ করে কি একটা যেনো পড়লো। বিশাল ধাতব শরীর থেকে ছোটোখাটো ইঞ্জিন এর গুঞ্জনের শব্দ বের হচ্ছে।

"যন্ত্রমানব"। তুমুল করতালিতে ভরে গেলো হল।

সাইইইইই। কিছু একটা অতিদ্রুত এপাশ থেকে ওপাশে যাচ্ছে। ঘন্টায় ৩৬০ মাইল বেগে।

"রানার"! আবারো হাততালি।

একজন লোক আসলো। নাম আফনান। মুহুর্তে তার কয়েকটি ক্লোন দেখা দিলো। যেনো একসাথে অনেকগুলো আফনানের কপি।

"কপিমাস্টার"! তুমুল হাততালিতে ফেটে পড়লো গোটা হল।

একটা মানুষ মঞ্চে এলেন, হাতে টেনিস বল আকৃতির দুটি লোহার গোলক। দুটোতে বাড়ি মারলেন। হঠাৎ নীল রশ্মি বের হলো ও দুটো থেকে। রশ্মি দুটো আস্তে আস্তে মানুষে পরিনত হলো।


"ডা: তানভীর ও তার ডিজিটাল পিএস সিমার"!

একে একে আসতে লাগলো অনেকজন। একটা ছেলে এলো। হঠাৎ করে পাহাড়ের আকৃতি নিলো। বোঝা গেলো পাহাড়মানব। আরেকজন এলো বিকট চেহারা নিয়ে। বলা হলো এ জুজুমানব। এর পর মাটি ফুঁড়ে এলো একজন। মাটিমানব। তারপর একজনের গায়ে অংগার দেখা গেলো। অঙ্গারমানব এইজনা বোঝা গেলো। একজন খুব সুন্দর করে হাতে রশ্মি ধরে রাখলো। একে রশ্মিমানব বলে আখ্যা দেয়া হলো। আরেক জন হঠাৎ করে ভ্ল্যাক হোল তৈরি করে দিলো। একে বলা হলো আধারমানব।

"ধন্যবাদ"।

উপস্থিত সুধীমহল, আমরা আজ থেকে দেশের সার্বিক নিরপত্তার জন্য একটি স্পেশাল ফোর্স আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। যেখানে এজেন্টস অব ডি ও অতিমানবেরা থাকবেন।

"কি নাম রাখতে চান ফোর্স এর?" কেউ একজন বলে উঠলেন।


"দুর্ধর্ষ সংঘ"...
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×