সেদিন প্রথম আলোতে কৃষি পাতায় প্রভুর নামে পাঠ করছিলাম জনৈক আবদুল্লাহ সাহেবের একটি আর্টিকেল। পড়ে দিলে ডর লেগেছিলো, সুবহানাল্লাহ!
ডরের সাবাব আর কিছুই না, আঁশ পোকা নামে এক বদখদ পোকায় ছেয়ে গেঝে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার গাছপালা। আবদুল্লাহ সাহেব সন্দেহ করছেন, বিভিন্ন ইউএন জেহাদে আফ্রিকা মুল্লুক থেকে ফেরত আসা যানবাহনে চড়েই এদেশে এসেছে এই ঘাগু পতঙ্গ।
আল্লাহর কী অসীম কুদরৎ, বংশবৃদ্ধির জন্য এ পোকার কোন পুরুষ লাগে না, মাদী পোকাটি একাই আরো কোটি কোটি ডিম পাড়তে পারে। হাঁ বেরাদারগণ, একে পার্থেনোজেনেসিস বলে নাসারা বিজ্ঞানীরা, যদিও আমি একে আল্লাহর কুদরৎ ছাড়া অন্য কিছু বলে মানতে নারাজ। তো, এই পোকা গাছের রস শুষে খেয়ে গাছটাকে ছিবড়ে বানিয়ে ফেলে। একবার যদি একটা মাদী পোকা কোনভাবে গাছে হামলা করতে পারে, তাহলে সেই বৃক্ষের মউত কোন আদম ঠেকাতে পারবে না, সুবহানাল্লাহ।
আপনারা হয়তো ভাবছেন, এ আর এমন কী, কীটনাশক স্প্রে করে দিলেই তো এই ক্ষুদ্র পতঙ্গ ইনসানের তাকতের কাছে পরাজিত হবে। কিন্তু না বেরাদারগণ, পোকাটি সহজে কীটনাশকে মরে না। এর জন্য চাই জবরদস্তু ওষুধ। তাছাড়া বড় বড় বুলন্দ বৃক্ষে আপনি সহজে স্প্রেও করতে পারবেন না।
এখনই যদি এই পোকাকে ঝাড়ে বংশে শেষ করা না হয়, তাহলে এটি বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে গিয়ে চাষীদের জাঝা উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত করতে পারে। ইউরোপ আমেরিকার নাসারা লোকজন এ পোকাকে আজরাইলের মতো ভয় করে চলে।
আমাদের উচিত এখনই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজর এদিকে আকৃষ্ট করা। আলহামদুলিল্লাহ।