somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনি আমাকে রাগাচ্ছেন ড. ইউনূস....।

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শ্রদ্ধা রেখেই বলছি আপনি রাগাচ্ছেন। ২০০৬ থেকে শুরু হয়েছে আপনার আমাকে রাগানো। আপনি আমাকে ঘুমুতে দেননি এক রাত। নোবেল পুরস্কার গ্রহণের রাতে টিভিতে লাইভ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান দেখে ঝর ঝর করে কেঁদে ফেললাম। গ্রামের একজন
বাংলাদেশী নারীকে নিয়ে নরওয়ের রাজকীয় হলে ঢুকলেন, আর দুনিয়ার সব রাজা-বাদশা দাঁড়িয়ে গেল! এ দৃশ্য দেখে কোন্‌ গাধা চোখের পানি আটকে রাখতে পারে? দিলেন সে রাতের ঘুমটা নষ্ট করে। নষ্টামির আর জায়গা পেলেন না স্যার?
স্যার আপনাকে কোন্‌ ভূতে ধরেছিল ১৯৭৬ সনে? আমি শিওর চিটাগাঙের জোবরা গ্রামে ভূতের উপদ্রব আছে। নইলে নিজের পকেট থেকে ২৭ ডলার খরচ করে গরিব মহিলাদের ঋণ দিয়ে স্বাবলম্বী করার পাগলামি কেউ করে? পাগলামি না ভূতনামি। গ্রাম্য কথায় বলে ‘ভূতে কিলায়।’ আপনাকে ‘গরিবি কিলায়।’ ৪২ জন গরিব দিয়ে শুরু করেছিলেন, এখন ৮৩ লাখ বাংলাদেশী গরিব সচ্ছল হয়ে গেছে। গরীব পেয়ে আপনি বোকা বানিয়ে দিলেন সবাইকে? শুধু বাংলাদেশ কেন? বোকা বনে গেছে সারা বিশ্ব! আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তান, আলবেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, হাইতি, কোস্টারিকা, নরওয়ে, ডেনমার্ক, জাপান, ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া, ঘানা, সেনেগাল এমন কি খোদ আরব বিশ্ব বোকা বনে গেছে! আপনি ডেঞ্জারাস!
বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে আপনার ‘সামাজিক ব্যবসা’ চালু হয়ে গেছে। আজব! এরা কি? বোকা নাকি? কথায় বলে ‘বিশ্ব বোকা।’ আমি বলি- ‘বিশ্ব-ই বোকা’ বোধহয়! পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত আপনার ছোটাছুটি। বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয় আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপনি লেকচার দিয়ে বেড়ান। বাঘা বাঘা প্রফেসর আর ছাত্র-ছাত্রীরা আপনার কথা হা করে গিলে। বিশ্বের নামী সব ভার্সিটিতে আপনার ও আপনার ‘সামাজিক ব্যবসা’র জন্য ল্যাবরেটরি খোলা হয়েছে। তরুণ-তরুণীরা আপনার পেছনে ছুটছে! কি? হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হয়েছেন? রাগাবেন না স্যার প্লিজ! শুধু লেকচার-ল্যাবরেটরি হলেও হতো, দেশে দেশে বিভিন্ন শহর-নগরীর নাম আপনার ‘সামাজিক ব্যবসা’র নামে ‘সামাজিক ব্যবসা নগরী’ ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। আপনি কি দারিদ্র্য বিমোচনের নেপোলিয়ন বোনাপার্ট?
এবার স্টেডিয়ামেও ঢুকেছেন আপনি। বিদেশে নাকি বিশাল স্টেডিয়ামেও আপনি অতিথি হয়ে লেকচার দেন। হাজারো ছাত্র-ছাত্রী আর প্রফেসররা জড়ো হয় সেখানে। কি স্যার? মেসি-নেইমার হতে চান? নাকি স্টেডিয়ামে শাহরুখ খানের কনসার্ট দেখে শাহরুখ খান হওয়ার শখ জেগেছে? শখ কত!
শুধু বিশ্ব কেন? মহাবিশ্বেও আপনি হাত বাড়িয়েছেন। নাসা’র বিশ্বসেরা মার্কিন নভোচারী রন গ্যারন ছয় মাস মহাশূন্যে কাটিয়ে এসেছেন। কোটির ওপর মাইল ঘুরে এসেছেন। এই পৃথিবীকে প্রতিদিন ১৬ বার করে প্রদক্ষিণ করেছেন। এই নভোচারীটিকেও আপনি বোকা বানিয়েছেন। তিনি আপনার দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর লিখিত বই সঙ্গে করে মহাশূন্যে নিয়ে গিয়েছিলেন। অবসর সময়ে আপনার বই পড়তেন। তিনি নাকি আপনার ভক্ত। কোটি মাইল মহাশূন্যে ঘুরে আসার আপনার বইটি-ই পৃথিবীতে ফিরে এসে আপনাকে অটোগ্রাফ দিয়ে গিফট করেছে। আপনার সমস্যাটা কি স্যার জানতে পারি?
এক বিদেশিনী তন্বী আমার সঙ্গে পরিচয় হওয়া মাত্র চোখে চোখে কথা বললো। লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট। যেই না প্রেমে পড়তে যাবো, আমি বাংলাদেশী শুনে ওর বডি ল্যাংগুয়েজ পাল্টে গেল। মানে এক হাতে কফি দেয়ার কথা, শ্রদ্ধাভরে দুই হাতে কফি দেয়। বললাম, ‘বিষয়টা কি?’ বললো, ‘ইউ আর এ্যান অনারেবল ম্যান। তুমি প্রফেসর ইউনূসের দেশের মানুষ!’ ভালবাসা রেখে শ্রদ্ধা শুরু করে দিল। আপনি আমাকে বঞ্চিত করছেন স্যার!
এক বিদেশী ভদ্রলোক। বড় একটি কোম্পানির সি.ই.ও। আমার বন্ধু। আমি আপনার দেশের মানুষ বলে আমাকে ‘স্যার স্যার’ ডাকে। আমি বিব্রত হই। আমাকে ‘স্যার’ বানানোর রাইট আপনাকে কে দিলো স্যার? আপনি আমাকে বিব্রত করছেন! হিউম্যান রাইটস সংগঠনে যোগাযোগ করতে হবে। মানুষ মানুষকে সাধারণত চতুস্পদী জন্তুর নামে গালি দেয়। আমিও আপনাকে গালি দিচ্ছি।
আপনি একটা হাতি!
হাতি এসে মানুষের সামনে চার পা মুড়ে বসে। মানুষ তার পিঠে উঠে বসে। হাতি দাঁড়ায়। মানুষকে পিঠে নিয়ে চলে। বিষয়টা কি দাঁড়ালো? হাতি মানুষকে চড়ালো। কিন্তু আসলেই কি তাই? হাতি মানুষকে চড়ায় নাকি মানুষ হাতিতে চড়ে? সারা বিশ্ব-মহাবিশ্ব আপনার পিঠে চড়ে বেড়াচ্ছে! হাতি আপনার জন্য কম গালি-ই হয়ে গেল ইউনূস স্যার। আপনি হচ্ছে বিশ্বহাতি- দ্য কিং এলিফ্যান্ট!
৩৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×