গত শনিবার দুপুরে সাভার পৌরসভার টান গেন্ডায় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সাত্তারের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানও দুর্নীতির ওপর সরেজমিন প্রতিবেদন করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন একুশে টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি হারুন-উর-রশীদ। এসময় ওই পুলিশ কর্মকর্তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একুশে টিভির অনুসন্ধানী টিম বাড়িটিতে প্রবেশ করা মাত্রই তেড়ে আসে দারোগার পরিবার। একপর্যায়ে দারোগার জ্যেষ্ঠ ছেলে মাসুদ রানা সাজু হারুন-উর-রশীদের শার্টের কলার চেপে ধরে তাকে কয়েক দফা ধাক্কা দেয়। দারোগার স্ত্রী মাসুদা বেগমও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এরই একপর্যায়ে বাড়ির মূল ফটক আটকে দিয়ে ‘ডাকাত,ডাকাত’ বলে চিৎকার দিয়ে সাংবাদিকদের আটকে রাখেন ওই দারোগার পরিবার। খবর দেওয়া হয় পরিচিত মাস্তানদের। এ সময় (এসআই) আব্দুস সাত্তারের বাসায় ছিলেন না।খবর পেয়ে সাভার থানার উপ-পরিদর্শক সফিউল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন।
হারুন উর রশীদ জানান, দারোগা আব্দুস সাত্তার ২৪ শতাংশ জমির ওপর যে বাড়ি তৈরি করেছেন তার ১৫ শতাংশই সরকারি খাস জমি। তার বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিবেদন তৈরির জন্য গেলে তার ওপর হামলা চালানো হয়। বিষয়টি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আসাদুজ্জামানকে অবহিত করলে তিনিও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং ঘটনাস্থল ছেড়ে না গেলে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হবে বলে হুমকি দেন বলেও জানান।দারোগা আব্দুস সাত্তারের শ্যালক এসপি সাইফুল ইসলাম মজনুরও তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে টেলিফোন করেছেন বলে অভিযোগ করেন হারুন।
এদিকে রাতে দারোগার স্ত্রীর শ্লীলতাহানী ও চাঁদা দাবির অভিযোগে একুশে টিভির সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় । শনিবার সন্ধ্যায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সাত্তারের ছেলে মাসুদ রানা সাজু। মামলা নং- ৭৭। ধারা ১৩৪/৪৪৭/৪৪৮/ ৩২৩/৩৫৪/৩২৫/৩৮৫ ৫০৬/১১৪ দ:বি:। মামলার অপর আসামিরা হচ্ছেন, নাজমুলের সহোদর হাসান ও কামরুল।
প্রসঙ্গত: এর আগে সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে দারোগা আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে আশুলিয়ার সাংবাদিকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী পালনেরও অভিযোগ রয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:২৬