শুধু বিশ্বাস আর স্বপ্ন দিয়েই জীবন চলে না। এটাই বাস্তবতা, একসময় নিজেকে আত্নসমর্পন করতে হয়। অপশক্তির কাছে, নিজের লোকদের কাছেই অবহেলিত হয়ে। ভাবছেন অযতা কি সব লিখছি, আসলে বলতে গেলে তাই! লিখার কিছু নেই তাই লিখতে বসা আরকি? তাহলে এই লিখার জন্য নিশ্চয়ই একটি টপিক প্রয়োজন। যেহেতু মনের অজান্তেই লেখার শিরোনাম দিয়েছি প্রেমিক তাই সেটাই নিয়ে কথা হোক। প্রেম বলতে আমি আসলে কি বোঝি? নিজেই ভাবতেছি ব্যাপারটা, হয়তো কোন কাল্পনীক চরিত্র নয়তো তার বিপরীত অন্য কোন বেখ্যা যেটা বাস্তবতায় বিরল। এটা আমার কাছে সম্পূর্ন নিজেস্য ব্যাপার, বাস্তবিক আপনি অন্যকে যেমন প্রাধান্য দিবেন তেমন একটি মনোভাবও আপনার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হবে। জীবনে চলতে মানুষ ভুল করে সেজন্যইতো সে মানুষ! তবে ভালো আর মন্দের একটা ব্যাপার থেকেই যায়। সবদিক থেকে একজন নারী অথবা একজন পুরুষ নিজেকে কখনও নেগেটিভলি দেখতে রাজি নয়, হয়ত সেই অনুভুতিটা তার হয় কিন্তু সাময়িক সেটা সে অবজ্ঞা চলে উড়িয়ে দেয়। আর সেটা করতে সাহায্য নিতে হয় গোপনীয় পাপের যাতে মিলে ক্ষনিকের শান্তি আর বাকিটা সময় নেশাখোরের মতন সেই একই চিন্তা বারে বারে করা। আমার লিখার প্লট বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হলেও সেটা প্রেমিকেই এসে থামবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত থাকতে পারেন। আমার আজকের এই লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে ভালো হোক আর মন্দ বাংলা বছরের শুরুতে যা তা একটা লিখা আর কি! সেটা ভালো হোক আর মন্দ হোক। লিখা হোক আর কবিতা হোক। পূর্নবাসন ক্ষেন্দ্র থেকে শেখা এই অভ্যাসটা আমার বিষন ভাল লাগছে যদিও নিজেকে লেখক হিসেবে ভাবি না! হয়তো কখনও ভাববও না। আমি আত্নপ্রত্যয়ি- নিজেকে বদলাতে বিশ্বাসী। সত্যে আপোসহীন, মিথ্যায় দূর্বল। আমার কষ্ঠ আছে সেটাও নদীর মতন! স্রোতের বিপরীতের ভাটা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমার লিখা বোঝতে অসুবিধা হবে কারণ সবি আবেগ থেকে লেখা যদিও বাস্তবে আমি সম্পূর্ন অন্যরকম।
তহ ব্যাপারটা হচ্ছে প্রেম নিয়ে! দেখেন কথার ছলে কত কথা বের হয়ে আসে। যাই হোক প্রেমিক বলতে পুরুষকে বোঝায় সেটা ছোটবেলা থেকে আমাদের পিতামাথাকে দেখে আমাদের মনের মধ্যে সেট হয়ে যায়, তাই দেখবেন পূরানো সময়ের মানুষের বেলায় ডিভোর্স ব্যাপারটা বলতে গেলে অনুপস্থিত ছিল। আমাদের প্রেমকেও খোজে পেতে হলে সেই পূরাতন সময়েই যেতে হবে। আমাদের আদি পিতামহদের কাছে। দেখেন বর্তমানে কিছু পয়েন্ট আছে যা আমরা মানতে কখনও রাজি নই। যেমন আজকে নামায পড়ার পর দেখলাম একজন মানুষ খোব আয়েস করেই মসজিদের মেঝেতে শোবার আয়োজন করেছেন, তার মনে কোন দ্বিধা বা দ্বন্ধ নেই! না আছে চাওয়া, পাওয়া বা আগামীর হিসেব। আমি তার চেহারাটাও ঠিকমত মনে করতে পারছি না- তাই বলা যায় আজকের জন্য আমার জীবনে সেই নাম না জানা পুরুষটাই প্রেমিক। তাহলে দেখেন প্রেমে দুঃখ আছে কষ্ঠ আছে আর আছে অভাব। আপনি একজন অভাবির কাছ থেকে কি লেখা আশা করতে পারেন। সে শুধু ব্যর্থ প্রেমিকের বন্দনাই করবে। তার কাছে সেই শুধু মহাপুরুষ, আসলে তা না। সে নিজেকে ভাঙ্গতে জানে, আবার নতুন করে গড়তে জানে সবি শুধু তার প্রিয়ার জন্য। এবার লেখালেখির জন্য আমার সর্বশেষ প্রেম ম্যাম সাহেবাকেও হারালাম। এখন বলতে নিঃস্ব, বেকার এক ব্যর্থ প্রেমিক। তাও ব্যাপার না প্রেমিক কে সেটা আমি বোঝিয়ে দেব। সেজন্যইত এতটা লেখা। আমার মনে হয় কোন নারীই তৃপ্ত নয়, যেমন আমরা কেউই শান্তিতে নেই। এ অশান্তিটা আসছেই আমাদের শিক্ষার ক্ষমতাটাকে কাজে না লাগানোতে। টাকাকেই ঈশ্বর বানিয়ে ফেলা। শোনতে খারাপ লাগলেও একটু চিন্তা করে দেখেন্ এটাই সত্যি। যারা আমাদের সহায়তা করছেন তাদের আমরা মূল্যায়ন দিচ্ছি না।
তাহলে আমার কাছে প্রেমিক বলতে কে? সেটা আমি না।
আমি না হলে এই প্রেমিকটা কে?
সে যেই হোক তাকে আমার প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। সেই কারণেইত আমি কালনীর চর্ । প্রেমিক না হয়ে ভিলেন তাই কে প্রেমিক সহজে বোঝতে পারি। একজন প্রেমিক কখনও তার প্রিয়কে ছোট করতে পারে না। সে তাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে যায়। হুমম তাহলে বলবেন, এত প্রতারণার শিকার কেন প্রেমিক যুগল হন? সেটাই হয়ত এই কারণে- True Loves Never Die Because it's Already Dead !!!!
আমার লিখার মধ্যে স্পষ্টত চাঁদগাজী ভাইয়ের লেখার প্রভাব পড়ছে, তাই বানীগুলা উনাকেই উৎসর্গ করছি!
বাণী:
১. নীল মানে ভালোবাসার গভীরে লোকানো একটা রঙ! (অন্জন দত্ত)
২. সব সময় 'আমি তোমাকে ভালোবাসি বলতে নেই, প্রেম হালকা হয়ে যায়,
৩ লাল সেক্সের রং,
৪. স্ত্রী-কেও কথায় কথায় ভালোবাসি বলতে নেই, সেটা বোঝাতে হয় ঘুড়ে-ফিরে, রঙতামাশা করে! বা হঠাৎ করে বউয়ের জন্য শাড়ি উপঢৌকন হিসেবে দেওয়া,
৫ ভালোবেসে নিজেকে ছোট করতে নেই,
৬ ঐশ্বরীক ব্যাপারগুলাতে আপোস মেনে নেওয়া,
ছবিসূত্র- ফেসবুক।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪