somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ম্যাজিক!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঈন্দ্রজাল- একটি জাদুর নাম! জাদু ধর্মে নিষেদ। তাই আপনাদের আজকে আমি নতুন একটি জাদু শেখাব- যে জাদুতে বদলে যাবে আপনার জীবন, ঘুমবে বেকারত্বের হার। আপনিও হাল দড়বেন আপনার পরিবারের! ভয় পেতে হবে না আর কখনও ভালোবাসতে, এবার সত্যি সত্যি আপনি পাড়বেন হাঁসতে? কি অবাক হচ্ছেন সত্যিই কি তা সম্ভব? হা সত্যিই! তা সম্ভব যদি আপনি চান? আপনাকে শুধু কিছু নীয়ম মেনে চলতে হবে। আর তেমন কিছুই নয়, কালকে থেকে আপনার বাবাও আপনাকে বুকে জড়িয়ে নেবে মাও চোখের পানি মুছে হেঁসে দেবেন। আজকে তার খোকা মানুষ সাজবে। আর সেজন্য আপনাকে তেমন কিছু্ই করতে হবে না। শুধু জীবনের হিসেবটা মিলাতে বসতে হবে! সত্যিকারভাবে জীবনটাকে উপলব্ধি করতে হবে। আজকে আমরা মনের সেই ভয়টাকে ভাঙ্গবো যেটা দমিয়ে রেখেছে আমাদের হৃদয়ের রক্তপ্রবাহ। আজকে ভাবিয়ে দেবো সবাইকে, ভাবনার মধ্যে সুখ আছে! নিজেকে প্রমান করতে সত্যকে কতটা গোপন করা যায়, সাফল্যতার হাত দরে কতটা উপরে উঠা যায়? আজকে রাতে বিচার হবে বিবেকের আদালতে, মুখোমুখি হবে সত্যের সাথে মিথ্যার, ভালোবাসার সাথে ঘৃণার। আজকে লান্ঞিত হবে ক্ষমতা, রাজার বিচারে আসবে সমতা। আজেকেই জানবে সবাই শেষ বিচারে কেন দাড়িপাল্লাকেই খোদা বেঁচে নিলেন। আমি কেন পুরুষ হয়ে কাপুরুষ হলাম। কেন এত অভিনয় করেও আমরা সাধারণ মানুষেরা নোবেল পুরুষ্কার পাই না। কেন মিস্টার নোবেল ডিনামাইট আবিষ্কারের পরেই এর উদ্যোগ নিলেন!
আজেকে একটা দু:স্বপ্ন দেখবো, সেখানে মৃত্যু হবে, আত্নহত্যা করে! পাহাড়েরর উচু থেকে পড়তে পড়তে, স্বপ্নরে ভিতরে আরেকটি স্বপ্নে চলে যাব ঠিক নদীর গভীরে - তিমির লেজ দরে সাগড় ভ্রমনে। সাগড় কন্যার লেজে টান দিয়ে পালাব উর্দোমুখি সাত আসমানের দিকে। সেখানে হত্যা হবো, রচিব নতুন এক কাহিনী। অলৈাকিক! সত্যি এখন আপনার মনে হচ্ছে আমি এমন কিছুই বলতে যাচ্ছি না, যা আপনার জীবন বদলে দেবে। একটু অপেক্ষা করেন, আমি সত্যিই আপনার জীবন বদলে দিতে পারি। যদি আপনি অভিনয় করতে পারেন! কালকে সত্যি আপনার ভালোবাসার মানুষটি বিবস্ত্র হয়ে আপনাকে জড়িয়ে দড়বে গভীর আলিঙ্গনে, গরম নিঃশ্বাসে সেও আপনাকে ভুলিয়ে দেবে আর সবার মতন সকল দুঃখকে আর নিয়ে যাবে প্রেমের গভীরতম আবেদনে। আর সেজন্য আমাদের বেশি কিছু নয় জানতে হবে কিছু নীয়ম আর শর্তাবলি। এই যা . . .

আজকে থেকে আপনজনকে জানিয়ে দিন আপনি তাদের পর! অফিসের বসকে জানিয়ে দিন আপনি তার গোলাম। বাবা মাকে বলে দেন সকাল হলে ডেকে দিতে, নতুন একটা চাকরি পেয়েছেন। প্রেমিকাকে একটি কল দিতে পারেন, হুমম তাকে বলবেন আমেরিকা যেতে ডিবি লটারি বাজিয়েছেন! (তিনমাস পড়েই আপনি আমেরিকান সিটিজেন)। বুকসেল্ফ-এ যদি বই থেকে তাকে তাহলে সেটা অন্যরুমে স্থানান্তর করতে পারেন, পরিবেশের সাথে সাথে মনটাও বদলায়। আজকে থেকে সুক্ষ একটা অভিনয় করবো বেশি না, বাস্তবতা থেকে বেড়িয়ে একটা নাটকে জড়িয়ে পড়বো। কার নাটকে অভিনয় হচ্ছে সেটা সময়ই আমাদের বলে দেবে, শেক্সপিয়র না বাংলার জহির রায়হান। হুমম এতটা নির্ভয় হলে চলবে না, পরীক্ষাভিতি না থাকলে পরীক্ষাতে পাস করাটাও কঠিন ব্যাপার। তাই বেশি না মুসলমান হলে মাথায় একটা টুপি আর হিন্দু হলে ধুতিও পড়তে পারেন। ব্যাপারটা হইছে সমায আপনাকে বোঝতে হইব। সে যদি আপনাকে সার্টিফিকেট দেয় তাইলে কে থামায় আপনাকে? তাদের হাতেই সব! বিশ্বাস হয়না? তাইলে আমার লেখা এতক্ষন পড়ছেন কেন? যদি বড় লোকের মতন সুখেই থাকতেন এখন কোন রমনীর সাথে আদিম উল্লাসে মেতে থাকতেন। যেহেতু এই লেখা পড়ছেনই তাহলে বোঝা যায় আপনিও আমার মতন একজন। আসলে আমাদের সমস্যা হচ্ছে একজন আরেকজনকে কখনও বোঝতে চাই না। শুধু নিজের প্রাপ্তি নিয়েই ব্যাস্ত। তাই আজকে আমি হারব আর তুমি জিতবে। সত্যি তাই হবে' মিরাকল বা চমৎকার!

একজন মুসলমান ভাই যখন আরেকজনকে ছোট করে তার ব্যক্তিত্বকে তুলে দড়তে চায়, তাকে জিজ্ঞেস কর- লেখা নিষিদ্ধ হলে কেমন লাগে?? যে কুরআন হাদিসের বানী ঝারছ সেটা কি আল্লাহ তোমাদের দিয়েছিলেন আপন জাতের মানুষের হেদায়ত করে ব্যক্তিত্ব শানিত করতে, না নিজেকে শুধরাতে! এটা একটা ধন রক্ষাকারী প্রোটেকসন বটে। সবকিছু উপেক্ষা করে আমরা স্বপ্ন সাজাব। বামন হয়ে চাঁদের দিকে যেমন হাত বাড়াতে নেই তেমনি থাকাতেও নেই, চন্দ্রগ্রহণ হয়ে পাপ লাগে তাই। আমারি এক বন্ধু রাজনৈতিক সংহিংসতায় খুব কম বয়েসেই মারা যায়- কারও জন্য খরিদকৃত গোপন গিফটগুলা সেই বন্ধুর প্রেমিকার হস্তগত হত। সে একদিন শীতের রাতে শার্লক হোমসের লং ওভারকোটের মতন একটি জ্যাকেট জড়িয়ে তুমার বাসার দুতলায় উঠে তোমায় দেখে এসে অনেক অনুরুধ করেছিল আমাকেও গিয়ে দেখে আসতে। সেদিনও যাওয়া হয়নি! আজকে জানি সেই বন্ধুটিকেও কেউ মনে রাখে নি, না তুমিও আমাকে। - তাই আমরা অনেক হারিয়েছি অন্য নামে আজকে নিজের নামেই প্রতিষ্ঠিত হব। সেজন্য আমাদের বেশি কিছুই করতে হবে না! একটু মিথ্যে অভিনয় এই যা। চলেন আপনি, আমি লেখক হই, হুমায়ুন আহমেদের জীবনি লিখি। কিভাবে সে গুলতেকিন আহমেদকে গোল দিয়ে তিন মেয়ে এবং এক ছেলে (অন্য এক ছেলে অকালে মারা যায়) রেখে তার মেয়ে শীলার বান্ধবী অভিনেত্রি শাওনের সাথে প্রেম করেন। এতেও স্বার্থকতা পান। সমস্যা নেই সাফল্যের দেখা পেতে একটু বিতর্কিত হতে হয়। আমাদেরকেও নাটক করে অভিনয়ে পারদর্শি হতে হবে। তাদের মুখোশ কখনও উন্মোচন করতে নেই। নদীকে আপনি যতই অভিশাপ আর দোয়া দেন না কেন সে কিন্তু তার নদীভাঙ্গনের খেলা খেলেই যাবে। অবাক হতে হয় সেই নদীও আজ মানুষের দূষণে হারাবার পথে। এমনটি হলে কেমন হত? আমার এই লেখাটি পড়ার পর আপনাকে ১০,০০০ টাকা দেওয়া হবে! বা এরপর থেকে আপনি পড়লেই টাকা পাবেন? তাহলে সবাই কিন্তু বই পড়তে বসে যেত তখন আপনি আমিও তাদের কাছে সময় পেতাম না। দেখেন হুমায়ুন আহমেদ মারা গেলেও তিনি যা করে গেছেন তা কেউ ভুলে যায় নি। তাই আমাদেরও উচিত জীবনটাকে বাগানের মতন সাজানো কিন্তু বাস্তবে একটু অভিনয় করা। আমি মিথ্য বলছি না, দেখেন আমি গরীবকে নিয়ে কথা বলায় আমাকে ফকির মনে করবেন না। যারা টাকা কিছুই না বলে তাদের ব্যাংক একাউন্টি একটিবার দেখেন। খোদাত যে যা চায় তাকে সেটা দিয়ে দেন আর বাকিটা রাখেন পরের জনমে শোধে আসলে মুফত করারর জন্য। আমার মৃত সেই বন্ধুটাও জাতে মুফতি ছিল। যাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় ১০ম ক্লাসে পড়তে সময়।

দেখেন আব্বু আম্মুকে সকালে ডেকে দেওয়ার উদ্দেশ্য- আপনি যখন ঘড় থেকে বের হয়ে যাবেন কাজের উদ্দেশ্যে। তারা সেটা ভেবে শান্তিতে থাকবেন। গার্লফ্রেন্ডকে ডিবি লটারি লেগেছে বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, দিনের সেই সময়টা তাকে দেওয়া। দেখবেন ধনের লোভে সে কিভাবে যৌবন লুটিয়ে আপনার কাছে দরা দেয়, যদি সে ভাল মেয়ে হয় সেটাও বোঝতে পারবেন। এটা্ই মিরাক্কল! আর অভিনয়টা করে যান। একটু চুপ থাকার অভিনয়। নিশ্চুপ! যখন জেগে উঠবেন সবাইকে অওকাত কি দেখিয়ে দিবেন।

Remember there is no name, fame or money because everything is behind a veil of mask.
মনে রাখবেন নেই কোন নাম, খ্যাতি বা অর্থ কারণ সবকিছু মাস্ক বা পর্দার অন্তরালে হচ্ছে!


সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:২০
৯টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×