somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আকাশের গল্প!

২১ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিকাল পাঁচটা বেজে পনের মিনিট। বৃষ্টির দিন তাই রিক্সা পাওয়া দায় বোঝেই কুচাই থেকে আকাশ টাউন বাসেই উঠে পড়ল। প্রতিদিনের মতন আজকেও সে বন্দর থেকে লকাল সিএনজিতে আম্বরখানা নামবে আজকে ব্যতিক্রম শুধু জিন্দাবাজার কেএফসি-তে একবার দাড়াতে হবে। সেখানে পাঁচ টাকা দিয়ে সে যথারীতি নেমে পড়ে। বৃষ্টির দিন বলে আজকে কেএফসি-তে খদ্দের অনেক বেশি। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই উঠতি বয়েসি বড় লোকের ছেলেমেয়ে। আকাশ ভিতরে ঢুকে খাবার ম্যানুয়েলটা পড়ে দেখলো আর আলতো চোখে ম্যানেজোরের দিকে থাকিয়ে কি যেন বোঝতে চাইলো। সময় বোঝে দুইটা টোঙা দার চেয়ে নিল সে, পরিপাটি করে সাজা তরুণ ম্যানেজারের কাছ থেকে। ম্যানেজার তার এই আবদারে কিছুটা অবাক হলেও অসঙ্গতি প্রকাশ করলেন না। আর আকাশ মনের সুখে ঠোঙা দুইটা হস্তগত করে দোকান থেকে বেড় হয়েই ভাগ্যক্রমে হাতের কাছেই একটি রিক্সা পেয়ে যায়। সাধারণত অফিস ছুটির সময়ে রিক্সা পাওয়াটা দুরুহু। তাই এতকিছু না ভেবে রিক্সাকে যাবার জায়গা বলে যেতে রওনা হয়। রাস্তার পাশে TFC-তে দাড়িয়ে দুইটা চিকেন উইংস অর্ডার দিয়ে একটি একশ টাকার নোট দড়িয়ে দেয় দোকানদার পিচ্ছি ছেলেটার হাতে। মনে মনে ভাবতে থাকে শিশু শ্রমের আইন আসলে পাঠ্যপুস্তকে আর বাস্তবে সেটা চোখের সামনে ঘটে যাওয়া অহরহ ঘটনার মতনই সাধারণ ব্যাপার। আমরা এসব দেখেও চোপ, আসলে আমাদেরকে চোপ করে থাকতে হয়। ছোটকু দোকানদার দুটি সসের প্যাকেট সাথে দিতে চাইলে আকাশ বাধা দিয়ে বললো, তোমাদের সস অনেক মজার হলেও পেকেট-টা অনেক সস্তা। বাজার থেকে প্রাণের সস কিনে নিব আজকে ঘরের জন্য।

কয়েকদিন আগে সে ম্যাম সাহেবাকে নিয়ে ঘুড়তে বের হয়েছে। সেদিন ম্যাম সাহেবা রাস্তার পাশে মানুষের খাওয়া দেখে প্রায় বমি করবে অবস্থা । ঘরে এসে প্রায় তাচ্ছিল্যেই বলল তারা কিভাবে এমনটি দাড়িয়ে খায় দেখছ? ফকিরও তাদের কাছে ভিক্ষা খোজতে যেতে দ্বিধায় পড়ে যায়। আকাশ তখন মনে মনে ভাবছিল তাইতো, খাবারগুলা পার্সেল করে নিলেইত হয়। কিন্তু সেটা সে মনেই রাখল স্ত্রী-কে আর বলল না।

আহা! যদি সে জানত প্রতিবার আকাশ তাকে কিসের উইংস খাওয়াচ্ছে। আসলে সে ব্যাপারটা পরীক্ষা করে দেখেছে। রাস্তার পাশের এইসব খাবার মোটামোটি নামিদামি রেস্তোরা থেকেও অনেক স্বাস্থ্যসম্মত! কারণ এগুলা চোখের সামনেই রন্ধন করা হচ্ছে। সে মনে মনে গান গাইতে থাকে- চোখের দেখা মনের দেখা নয় রে বন্ধু, যদি চোখের দেখাই মনের দেখা হয় তাইলে ক্যান এত সংশয়! মনের দেখাই সকল দেখা নয় রে বন্ধু, যদি সমস্তই দেখতে হয়, ওস্তাদে কয় তুমি চোখ বন্ধ করে দেখ- আমানতে জামানত হইলো তাহার আলামত।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:১৩
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×