somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের ভাবনায় পূর্ণতা

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বর্তমানে আমরা পৃথিবীর বুকে আমরা বেঁচে আছি তার পেছনে অনেকগুলি কারন থাকতে পারে তার মধ্যে একটা কারন হলো আমাদের বাসনা এবং বাসনাই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। চিন্তায়-কর্মে এবং বাসনার মধ্য দিয়ে আমরা জীবনের কোন্ একটি উদ্দেশ্যকে রুপদান করার চেষ্টা করে চলেছি। এই পর্যন্ত যদি আমরা সঠিকভাবে বুঝে থাকি, তবে পৃথিবীতে এসে আমরা কোন্ লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি তার খোঁজ পাওয়া সম্ভব। বিশ্বের কোন কিছুই আমাদের সুখী করতে পারে না। শুধু যে মুহূর্তটুকু আমরা আমাদের শাশ্বত স্বভাব বা সত্তাকে উপলদ্ধি করতে পারি। সেই মুহূর্তটুকুই আমরা লাভ করব নিরবচ্ছিন্ন আনন্দ। সেই হলো অমরত্ব। তখনই মুক্ত হতে পারব মৃত্যু থেকে, মুক্ত হতে পারব সকল বন্ধন থেকে।

"জীবনের শুরুটা সবার একই রকম হয় ! কিন্তু শেষটা এক রকম হয় না !"

সকালতো সবারই সমান । কিন্তু রাত সবার জন্য সমান এক হয় না। ধরে নেই, জন্মের সময়ে ব্যাক্তি আসে সাদা কাগজ নিয়ে কিন্তু মৃত্যুর সময়ে সেই সাদা কাগজে লিখে যায় জীবন বৃত্তান্ত।
আসলে জন্ম তো নেয় পরমআত্না আর মরো তুমি! আসার সময়তো শূন্যতা নিয়ে আসো যাবার সময় ভরে নিয়ে যাও। আর যে জিনিস তুমি ভরে নিয়ে যাও, সেটার নাম হলো অহংকার। তোমাকে বানিয়েছেন পরমআত্না আর তুমি বানিয়েছো অহংকার।
এই সংসার হল পরমআত্নার এই বিষয়ে তো তুমি কিছুই জানো না। তবে একটা সংসার আছে অহংকার , আর ওটার মাঝেই তুমি বেঁচে থাকো। এর ভিতরেই তুমি শেষ হয়ে যাও। অহংকারের অর্থ তুমি জানতেই পারলে না অথচ তার ভেতরেই তুমি বসবাস করে গেলে।
এর জন্য তো আমি আবার সেই কথাই বলবো, জীবনের শুরু সবারই একই রকম হয়। কিন্তু শেষ একই রকম হয় না। এর জন্যই মৃত্যুতে জানা যায় তোমার জীবন কিভাবে অতিবাহিত হয়েছে। মৃত্যুই ঘোষনা করল তোমার জীবন বৃত্তান্ত।
তোমার (ষাট-সত্তর) বছরের জীবন এক মুহূর্তে উধাও হয়ে যায়। জীবন ভর তুমি তোমাকে লুকিয়ে রেখেছো। কিন্তু মৃত্যুর সময় তুমি আর তোমাকে লুকিয়ে রাখতে পারবে না। সেই সময় লুকিয়ে রাখার হুশই তোমার থাকবে না। জীবন ভর তুমি তোমাকে ধোকা দিয়েছ। মৃত্যুর সময় তুমি তোমাকে ধোকা দিতে পারবে না।
মৃত্যু তোমার সত্যকে খোলামেলা বর্ণনা করবে। মৃত্যুই তোমাকে বলে দিবে তুমি কি ছিলে। যদি তুমি অহংকার ধরে জীবন অতিবাহিত করে থাকো, তাহলে কিভাবে তুমি খুশিতে মরতে পার? কারণ ধন-সম্পদ ও অহংকার তো তোমার কাছ থেকে চলে যাচ্ছে ! তুমি তো তখন কাদঁবে। আর তুমি যদি ধন-সম্পদ মান-সম্মানকে নিয়ে জীবন অতিবাহিত করে থাকো, তাহলে কিভাবে তুমি খুশিতে যেতে পারো???
আর যে ব্যাক্তি জীবন থাকতেই মৃত্যুর সম্বন্ধে জেনে গেছে। এবং গভীর থেকে জেনেছে। সে ব্যাক্তি মরার আগেই নিজেকে মেরে ফেললো। যে জেনে গেছে আমি এসেছি তো খালি হাতে, আর যাব তো খালি হাতে, তাহলে এগুলো ধরে রেখে কি লাভ । যে ব্যাক্তি জম্মের সময় যেমন ছিল, জীবন ঠিক সেই ভাবে জীবন অতিবাহিত করল, সে তো পরিপূর্ণ হলো। "শূন্য"
তার বিদায় ভিন্ন রকম হবে। তার বিদায়ের সময় পুরো প্রকৃতি খুশিতে নেচে উঠবে। কারণ তার বিদায়ই হল পরিপূর্ণ বিদায়। সে কাঁদবে না-তার মুখে হাসি হবে, তার প্রানের ভিতরে উল্লাস হবে-আনন্দ হবে। যাওয়ার সময় কারো প্রতি অভিযোগ থাকবে না। আর্শীবাদ থাকবে।

অবশেষে যে সকল প্রাণী দৃশ্য "চোখে দেখা যায়" বা অদৃশ্য "চোখে দেখা যায় না", যারা দূরে বাস করে বা কাছে বাস করে এবং যারা জন্মেছে বা পরে জন্মিবে অর্থাৎ যারা মাতৃগর্ভে অথবা ডিম্বের ভিতরে অাছে, তথা হতে পরে বহির্গত হবে, তারা সকলেই সুখী হোক !

(মূল থিম ) OSHO, অনুবাদ ও লেখা JR Sikder
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:১৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×