প্রিয়তমা---
কেন তোমাকে আর সেভাবে আদর করতে পারি না
জমাট মেঘ ফাটিয়ে মাঝেমধ্যে বেরিয়ে আসে পরিচিত ঝিলিক
তেঁতুলতলা ছুঁয়ে স্কুলপথে তোমার বাড়ির রাস্তাটা দেখ
কত দূর থেকে ডেকে বলছে আয়, শুধু একবার হেঁটে যা---
কুমারেশ, কঙ্কনা
সেই অনন্ত চলাচল একতলা, দোতলা ও চিলেকোঠার---
মাত্র কয়েক ধাপ সিঁড়ির মধ্যেই বিরক্তিকর থেমে আছে !
কথা কম, কবিতা নেই , বেঠিক তালে গেয়ে উঠি অন্তরা---
পূর্ণ জোয়ারে জলের মূর্ছনা, কিম্বা, দোল পূর্ণিমার নরম জ্যোৎস্নাও
আজকাল কোনোভাবেই কোনো অনুভূতিতে আসে না---
ঠিক সময়ে অফিস, হাটবাজার, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, রোববার---
একসঙ্গে খেতে বসা, অষ্টমীর পুজোয়ও পাশাপাশি অঞ্জলি…
সরকারি অফিসে যেন দশটা-পাঁচটার কাজের খতিয়ান !
প্রিয়তমা---
কোথায় ব্যারিকেড ? ঘরময় দামি পারফিউম, চতুর্দিকে ছড়ানো সুগন্ধ !
কতকালের অপেক্ষা নিয়ে মেহগিনি খাট, ধবধবে সাদা বিছানা !
কেন আ্যাসিডিটি, কেন চোঁয়া ঢেকুরের মতো এই দূরত্ব !
খোলা জানলার পাশে কেন ফুঁপিয়ে কেঁদেকুটে
বারে বারে ঝরে যাবে গোটা বর্ষাকাল ?
কেন বসন্ত এসেও থেকে যাবে---
এক অনিচ্ছুক, অপ্রিয় শববাহক…
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭