গত সন্ধ্যার গল্প। পুদিনাপাতার চা-কাপে শেষ চুমুক দিতে দিতে ডাটা অন করে সামুতে লগইন করলাম। ০ নোটিফিকেশন। কি ব্যাপার?! ব্লগার'রা মন্তব্যের জবাবে কিছু বলেন-টলেন না দেখি। হতে পারে প্রতিউত্তরে কিছু বলার প্রয়োজন মনে করেন না। হ্যা...হ্যাঁ, হতে পারে! ডেফিনিটলি হতে পারে। নিজেই নিজেকে বললাম। মাঝেমধ্যে নিজেকেই নিজের সাথে কথা বলতে হয়। যারা নিজের সাথে কথা বলতে পারে তারা কখনো তীব্র একাকীত্বে ভোগে না।
আজকাল সময় কাটাতে ব্লগিং ভালোই লাগে। যদিও প্রথম প্রথম ব্লগারদের ভয় পেতাম। নাম ম্যানশন করতে বললে, বললো "চাঁদগাজী" সাহেবকে। গাজী সাহেব ডাইরেক্ট একশনের লোক। কখন কোন পয়েন্টে পাকড়াও করে কি বলে বসেন তার ঠিক নেই। হ্যা, ভয়টা কেটে যাওয়ার পর থেকেই ভালো লাগছে। আসলে প্রবীণ এই ব্লগার সম্পর্কে জেনে ভয়টা আর থাকেনি। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধারা বেহুদা কথা বলেন না। তিঁনারা ভালোর জন্যেই বলেন। বেহুদা এটা-সেটা বলি আমরা। এই যেমন এখন বলছি। শ্রোতা বিরক্ত হচ্ছেন বুঝেও বলছি। কি করবো(?) বলুন। কারণেঅকারণে প্যাঁকপ্যাঁকানি আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এখানে "আমরা" বলতে আমার বৈশিষ্ট্যের মানুষদের কথা বলছি। থাক ওসব কথা। আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। ৭ই মার্চ নিয়ে ইতিমধ্যে ব্লগে অনেক লিখা প্রকাশিত হয়েছে। দু'চারটা পড়েছি। সামুর ব্লগারা বেশ ভালো লিখেন।
প্রথম পৃস্টার "সাম্প্রতিক মন্তব্য" ফিচারে কয়েকদিন পূর্বের একটা পোস্ট শো করছে। পোস্ট'টি লিখেছেন স্মরণ শেখ। সম্ভবত পোস্টএ আমিও মন্তব্য করেছিলাম। তবে লেখক জবাবে কিছু বলেন নি। মন্তব্য ৩০+। ব্লগারদের মন্তব্য পড়বার ইচ্ছেজাগাতে ক্লিক করে ভেতরে গেলাম। আশ্চর্য! আমার করা মন্তব্যেরও তো জবাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সামু কেন আমাকে নোটিফিকেশন করেনি? টেকনিক্যাল প্রবলেম। হ্যা, হতে পারে। যাই হোক বিষয়টি তাঁদের অবগত করতে হবে।
স্মরণ সাহেব ভদ্রোচিত ভাষায় আমাকে বেইজ্জত করেছেন। তবে উনার ধারনা মোটেও বেঠিক নয়। হ্যা, আমার মন্তব্যে মুফতি শামসুদ্দিন সাহেবের করা একটি বয়ানের প্রতিফলন পড়েছে। মুফতি সাহেবের কথাগুলো অন্ধভাবে মনে নেওয়া একদম ঠিক হয়নি। নিজেকে খুব বেকুব বেকুব মনে হচ্ছে। মুফতি সাহেবকে 'কাঠমোল্লা' বলে গালি দিতে ইচ্ছে করছে।
কিন্তু নাহ! মোল্লা সাহেবদের "কাঠমোল্লা" বলে রাগ মেটানো যাবেনা। বাকেরদের কথা মনে পড়ছে। "মোল্লা" শব্দটার সাথে তাঁদের ধর্মানুভূতি জড়িত। আর অন্যের অনুভূতিতে আঘাত করা অনুচিত। শান্তির জন্য সর্বক্ষণ আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে। সব শ্রেণি পেশার মানুষের অনুভূতির গুরুত্ব দিতে হবে। তাছাড়া বেহুদা প্যাকপ্যাক করায় মুফতি সাহেব কাঠমোল্লা হলে আমিও তো একজন কাঠব্লগার। আচ্ছা, আমার নিকটা বদলিয়ে "কাঠব্লগার" নিলে ক্যামন হয়?! জঘন্য! হ্যা, জঘন্য। জ্ঞানীগুণী জন বলেছেন, নামের প্রভাব মানুষের ব্যক্তিত্বের ওপরও পড়ে। সুতরাং, এমন জঘন্য নাম নেওয়ার মাঝে কোনো সার্থকতা নেই। সূর্যটা হেলে পড়েছে। বেলা গড়িয়েছে বহূপথ। চোখে ক্যামন যেনো ঘুমঘোর টের পাচ্ছি। সামুকে ফিডব্যাকএ নোটিফিকেশন সমস্যা সম্পর্কে অবগত করে কিছুক্ষণ মন'কে বিশ্রাম দেওয়া উচিত।
বাহ! সমস্যা সম্পর্কে জানোর সাথে সাথেই সামু স্বীকার করে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বার্তা পাঠালো। উফফফ! আমার সরকার যদি এমন হতো। ধন্যবাদ সামু কর্তৃপক্ষকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৫