সাকিবের প্রতিবাদ করা'টা আমাদের মাত্রাতিরিক্ত ভদ্র-দর্শকদের চোখে বেয়াদবি হলেও আমার মতো সাধারণ অনেকের চোখে বীরত্ব। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিবাদ করার ক্ষমতা সবার থাকেনা। সাকিবের আছে। বাংলাদেশি হিসেবে এটা আমাদের জন্য গৌরবের।
ম্যাচের তখনকার পরিস্থিতিতে তাঁর এমন প্রতিক্রিয়া দেখানো'টা মোটেও অস্বাভাবিক ছিলো না। বরং যথোপযুক্ত ছিলো। আর আম্পায়ারের বাজে সিদ্ধান্তে অতীতে অনেক টিমই এমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। ২০০৬ ওভাল টেস্টে অধিনায়কে না জানিয়ে বল বদলানোর প্রতিবাদে প্রায় ১ ঘন্টা মাঠেই নামেনি ইনজামাম-উল-হকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। অবশ্যই এজন্য তাঁদের ম্যাচ হারতে হয়েছিলো। ইণ্ডিয়া একবার হরভাজন সিংএর জরিমানার প্রতিবাদে সিরিজ শেষ না করে দেশে ফেরার হুমকি দিয়েছিলো। ক্রিকেট ইতিহাস ঘাটলে এমন আরো অনেক ঘটনা পাওয়া যাবে। সুতরাং সাকিবের এটা নিয়ে এতো নেতিবাচক কথাবার্তা বলাবলির কিছু নেই।
সাকিবের রেগে যাওয়ার কারণঃ
শেষ ওভার। জিততে ১২ রান প্রয়োজন। পরপর দুটি বল মাথার উপরে বাউন্স হলেও 'নো-বল' না ডাকায় শুরু হয় কথা কাটাকাটি। নিশ্চিত 'নো-বল' না ডাকায় সাকিব আল হাসান রেগে মেগে মাঠে নেমে আসেন। মাঠে তখন রিয়াদের সাথে রুবেল। রান আউটে ক্রসিং নিয়েও শুরু হয় স্ট্রাইক বিপত্তি। তখনই উত্তেজিত সাকিব মাঠ থেকে চলে আসার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। অবশ্য পরবর্তীতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে স্ট্রাইকে যান মাহমুদুল্লাহ।
আমাদের ভদ্র দর্শক এবং সাকিব হেটার্সদের এসব চোখে পড়িনি। তিনাদের চোখ.... থাক! তিনাদের কথা আর না বলি।
সাকিবের আজকের ভাবভঙ্গি ভাল্লাগছে। রিয়াদের বিচক্ষণতাও তৃপ্তি দিয়েছে। লংকানরা জবাব পেয়েছে। বাংলার ক্রিকেট প্রেমীরা পেয়েছে নাগিন ডেন্স করার সুযোগ! অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে।
আগামী ম্যাচের জন্য অগ্রিম শুভকামনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৫২