ফেইসবুক, ব্লগ, মিডিয়া সবত্র টইটই করছে সামাজিক অবক্ষয়ের গাদাগাদা গল্পকাহিনী। তবুও তাদের কারোর কোনো মাথাব্যথা নেই। তাদের স্কীপ করার অপশন আছে। স্কীপ করে তারা রিলাক্স মোডে থাকতে জানে।
বলছিলাম- টিউবলাইট প্রজন্মের কথা।
দেশের সিনিয়র'রা জুনিয়রদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে উৎসাহিত না করে কিংবা চোখে পট্টী বেধে চলাফেরা শিখিয়ে- একটা আত্মকেন্দ্রিক টিউবলাইট প্রজন্ম তৈরি করে চলছেন। যাদের সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতিতে কোনো আগ্রহ নেই। নেই সামাজিক চেইন সিস্টেম বুঝবার মতো সামান্য বোধটুকোও। থাকলে চোখের সামনের ভুক্তভোগী মানুষগুলোর স্থানে নিজেকে কল্পনা এগিয়ে যেতো। অন্যায় অনাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠাতো। সামাজিক সমস্যাগুলো থেকে সমাজ তথা রাষ্ট্রকে উত্তরণের তাগিদ অনুভব করে নিজের অবস্থান থেকে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতো। রাজনীতির প্রসঙ্গ উঠলেই বিরক্ত নিয়ে বলতো না, 'আই হেইট পলিটিক্স'।
এই প্রজন্মের মানসিকতার বিকাশে গুরুত্বের সাথে দেশের প্রত্যেক সচেতন নাগরিক'কে ব্যক্তি পর্যায়ে ঘরে-বাইরে সামাজিক কাউন্সেলিং ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে কাজ করতে হবে। অন্যতায় জাতিকে আরো ভয়ানক দুরবস্থার মুখামুখি হতে হবে।
ছবিঃ অন্তর্জাল
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:২৩