আমাদের প্রগতিশীল নারীবাদী আধুনিক সমাজকে সর্বদা “যৌন ক্রিয়াকলাপকে” চরিত্রের মানদণ্ড হিসেবে গণ্য করার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। তাদের লজিক, পরস্পরের সম্মতিক্রমে দুজন মানুষ ফিজিক্যাল রিলেশনশিপে গেলে ইহা অন্যায়ের পর্যায়ে পড়বে না। তাদের বক্তব্যের সাথে আমিও সম্পূর্ণ সহমত। হ্যা, যৌন ক্রিয়াকলাপের ওপর ভিত্তি করে কাউকে চরিত্রহীন বা চরিত্রবান ট্যাগ দেওয়াটা যথাযথ নয়। তাহলে চরিত্র কি?! বা চরিত্র বিচারব্যাখ্যার মানদণ্ড কি?!
“চরিত্র” একজন মানুষের চিন্তাভাবনা, কর্মকাণ্ড, আচার ব্যবহার ইত্যাদির সম্মিলিত রূপ। সুতরাং যার চিন্তাভাবনা, কর্মকাণ্ড, আচার, আচরণ ভালো সে
“চরিত্রবান” এবং যার খারাপ সে “চরিত্রহীন”। এখন কোনো প্রেমিক বা স্বামী যদি অন্যকোন মেয়ের সম্মতিক্রমে যৌনসম্পর্কে জড়ায় এবং তার প্রেমিকা বা স্ত্রীর কাছে অস্বীকার করে তাহলে সে মিথ্যে বললো। যেহেতু মিথ্যে বলা খারাপ। সেহেতু মিথ্যুককে আমরা চরিত্রহীন বলতে পারি। ঠিক তেমনি চোর, ডাকাত, দুর্নীতিবাজ, বাটপার, চাটুকারসহ যেকোনো খারাপ ব্যক্তিকে চরিত্রহীন বলতে পারি।
সম্প্রতি ৭১টিভির একটা অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এক নারী সাংবাদিককে চরিত্রহীন বলে মহাবিপাকে পড়েছেন। এবং শেষপর্যন্ত বিভিন্নমহলের ৫-৭টি মামলা খেয়ে গতরাতে গ্রেফতার হয়েছেন। যদিও গ্রেফতারের পূর্বে মিডিয়ায় তিনি কথিত ঐ নারীকে চরিত্রহীন বলার কারণ খোলাসা করেছিলেন। মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন করার ধরন তার কাছে সরকারপক্ষের দালালী মনে হতেই পারে। এটা নিয়ে আমাদের নারীবাদী সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী সুশীল মহলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি এবং নারীবাদী চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক বলেই মনে হচ্ছে। তারা বলছেন, চরিত্রহীন বলে নারীজাতিকে আর দমিয়ে রাখা যাবেনা। তাহলে চরিত্রহীন বলতে কি তারা এখনো সেই অবাধ যৌনাচারই বুঝেন?! এই বিশেষণ'টি কি স্রেফ মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:৫৪