বেদ,রামায়ন,মহাভারত,পূরাণ,গীতা,ত্রি-পীটক,তাওরাত,যবুর,ইঞ্জিল, ফোরকান ও যে সকল সহিফাকে স্রষ্টা,ইশ্বর বা আল্লাহ প্রদত্ত আসমানী কিতাব বলে প্রচার চালানো হচ্ছে,এর একটি কিতাব ও আল্লাহ প্রদত্ত আসমানী কিতাব নয়,মূলত উপরিউল্লিখিত সমস্ত কিতাবই মনুষ্য রচিত।আর বর্তমানে যারা কিতাবের অনুসারী বলে দাবি করে তারা আল্লাহ প্রদত্ত আসমানী কিতাব চিনে ও না, বুঝে ও না।তাই ধর্ম বিষয়টিতে একটার পর একটা জট লাগতেই আছে।
যাহা এসেছে বিশ্বের জট ছাড়াতে সেই কি না আজ জটিল জটে জটাজটি হয়ে আছে।তাই সমাধান কৃত বিষয়গুলি পুনঃ পুনঃ সম্মুখীন হচ্ছে সমস্যার।
আসমানী কিতাব রুপে স্রষ্টা সৃষ্টির হিত উদ্দেশ্যে যাহা অবতরণ করেছেণ তাহা আল্লাহর স্ব-হস্তে লিখিত।আর আল্লাহর লিখিত সেই বানি কেউ পরিবর্তন করার সামর্থ্য রাখেনা।আর তাহা রক্ষনা বেক্ষনের জন্য আল্লাহ নিজেই যথেষ্ট।কোন সৃষ্টিকেই তিনি তার বানি রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্ব দেন নি।
আমরা জানি তাওরাত,যবুর,ইঞ্জিল ফোরকান ও ১০০ খানা সহিফা কোরান অবতরণের পূর্বে আল্লাহ নবীদের উপর অবতরণ করেছেন।এবং আমরা যাহাকে কোরান বলে জানি তাহার মধ্যে বেশ কয়েক যায়গাই উল্লেখ আছে আল্লাহর বানির কোন পরিবর্তন কারী নাই।কিন্তু যারা অবতরণ কৃত কোরানের অনুসারী দাবিদার তারা বলেন পূর্বের কিতাবগুলি বিকৃত সাধিত হয়েছে।আল্লাহর বানির পরিবর্তনকারী নাই জানার পরও যারা বলে পূর্বের কিতাব বিকৃত সাধিত হয়েছে তারা অবতারিত কিতাব সম্বন্ধে ধারনা রাখে বলে আমার মনে হয় না।
যাহাকে আমরা কোরান বলছি এটা মূলত কোরান নয়,মূলত এটি হচ্ছে হাদিস।আর এই হাদিস আল্লাহর অবতারিত কোরান চিনতে সাহায্যকারী রুপে মহা মানব হযরত মহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম কর্ত্বক রচিত কিতাব।এই কিতাবের চিহ্ন ধরেই আপনাকে কোরানের কাছে পৌছাতে হবে।তবেই আল্লাহর এবাদৎ করা সম্ভব,নচেৎ যাহা করবো সবই শয়তান নির্দেশিত কর্মই সম্পাদন হবে।
এখন ধর্মের এই জট ছাড়াতে ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করতে অবশ্যই এই মনুষ্য রচিত ধর্ম গ্রন্থের সাংকেতিক শব্দের মর্মার্থ জানা আবশ্যক।অন্যথায় এই জট ছাড়ানো কোন মতেই সম্ভব নয়।
আল্লাহ হতে অবতারিত কিতাব চিনতে ও জানতে আহলে বায়াতে যোগ দিন।
সত্য সহায়। গুরুজী।।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই সত্য ও শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন।
আর- যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্ব অ-শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই অ-সত্য ও অ-শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন। সেরু পাগলার বাণী।