somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“যখন হরির লগে সুজেলের দেখা হইল” – হিন্দী ছিঃনেমা রিভিউ

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পৃথিবীতে কোন পেশাই ছোট নহে। এই আপ্তবাক্যের প্রমান আমরা পাই হিন্দী সিনেমা গুলোতে। স্যুট টাই পড়া কর্পোরেট হইতে শুরু করিয়া কুলি, মজুর, রিকশাওয়ালা মায় আখের রস চিপড়ানো মামুর ভূমিকাতেও আমরা নায়ক কূলকে দেখিয়াছি। কিন্তু ট্যুর গাইড পেশা টা বেশ অবহেলিতোই রহিয়া গিয়াছিল।

যাহাই হউক, শাহরুখ খান মতান্তরে হরি একজন বিমর্ষ ট্যুর গাইড, যিনি পাঞ্জাবের খেত হইতে মুম্বাই না গিয়া সরাসরি কানাডায় চলিয়া আসিলেন – না, পড়ালেখা কত্যিও না, কাম কত্যিও না - “গায়ক” হবার জন্যি। ভাগ্যের ফেরে পড়িয়া তিনি আজ ইউরোপের ট্যুর গাইড - বিনি মাগনা নানা দেশ ঘুরিয়া, দামী গাড়ি চালাইয়া আর আন্তঃমহাদেশীয় ললনাদের সহিত সিস্টেম করিয়া দিন গুজরান করিয়া থাকেন।

একদা এই হরি সাহেব এক ট্যুর শেষ করিয়া মোড় ঘুরিতে না ঘুরিতেই পড়িলেন সুজেলের পাল্লায়। ম্যাডাম নাকি তাহার সদ্য বাগদানের অঙ্গুঠী হারাইয়া ফেলাইয়াছেন !! কোথায়? সেটাও তিনি লিশ্চিত !! হোটেলে !! অঙ্গুঠী হারাইয়া তিনি তাহার হবু জামাই আর পরিবারবর্গের সহিত কাজিয়া করিয়া একলাই ফিরিয়া আসিয়াছেন। অঙ্গুঠী উদ্ধার না করিয়া তিনি আর সেইমুখী হইবেন না !! এবং পরিচালকের নির্দেশ মোতাবেক তিনি হরি কে ছাড়া এক পাও নড়িবেন না !! এমনকি তিনি হরিকে কবুল করাইতে ঘরোয়া পরিবেশে ছোট্ট একখানা হাফপেন্টুল পড়িয়া ফ্রি সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের লাইসেন্স পর্যন্ত দিয়া দিলেন !! লাইসেন্স পাইয়া; পরিচালক হুম বলিবার পূর্বেই নায়ক রাজি হইয়া গেলেন !! আর ওদিকে বিরাট কোহলি নার্ভাস হইয়া একখানা সেঞ্চুরি করিয়া ফালাইলেন।

সেই হোটেলে অঙ্গুঠী খুজিবার নামকা ওয়াস্তে এদিক সেদিক উকি মারিয়াই নায়িকার স্মরণে আসিলো, অঙ্গুঠী তো এইখানে নহে, মাসব্যাপী ট্যুরের কোন এক দিন কোন এক মিউজিয়ামে পড়িয়াছে !! সেইখানে গিয়া ইয়াদ হইলো, সেইখানে নহে, ওইখানে, তারপর আবার অইখানে নহে সেইখানে। বাগদানের নিখোঁজ অঙ্গুঠী খুজিবার মত একখানা সিরিয়াস ব্যাপারে এই দুইজন অতি হাস্যকর ভাবে রাস্তার চিপায়, ইটের ফাকে, ব্রিজের উপ্রে আর মানুষের পায়ের তলায় খুজিতে লাগিলেন।

তাহাদের আচরন দেখিয়া একবারও বুঝে আসিলো না যে – একজনের বিবাহ; আরেকজনের চাকুরী – এই অঙ্গুঠী খুজিয়া পাওয়ার উপর নির্ভর করিতেছে !! মনে হইল – তাহারা যেন দুষ্টূ দুষ্টূ হানিমুনে আসিয়াছেন !! একজনের বাগদত্তা হইয়াও নায়িকার - বিপদসীমার উপ্রে দিয়া প্রবাহিত উত্তেজক কাপড় পরিধান করিয়া ও নানা আহবান মূলক অঙ্গভঙ্গী করিয়া হরি’দা কে উত্তেজিত করিবার অপপ্রয়াসে দর্শক আমোদিত হইলেও; ইহার কারন অনুধাবন করিতে পারিলনা। মদ্যপানের বারে গিয়া এহেন নানাবিধ ফাতরামি করিতে গিয়া হরিদা আর সুজেলদি পড়িল মাফিয়ার পাল্লায়। তাহার পর দৌড় কি দৌড় !! শখানেক মাফিয়াও তাহাদের দৌড়াইয়া পাকড়াও করিতে পারিলনা। উপরন্তু দৌড়াইতে দৌড়াইতে চক্ষে চৌখ পড়িয়া উহাদের মাঝে প্রায় প্রেম হইয়া গেল !!

অতঃপর মহানুভব নায়ক, নায়িকাকে পার্কের বেঞ্ছিতে বিছানা পাতিয়া নিজে শয্যা লইলেন পাতালে !!এবং অবধারিতভাবে নায়িকা বৃক্ষের পত্র পল্লবের সহিত সমীরণের মর্মর শব্দে আতঙ্কিত হইয়া আশ্রয় নিলেন নায়কের বগল তলায় এবং অতি অবধারিত ভাবে এত শক্ত পাথরের উপর শুইয়াও তাহারা কেউ সকালের আগে টের পাইলেন না যে তাহারা একে অপরের বগললগ্ন !!

ঘুম ভাঙ্গিয়া এই অবস্থা দেখিয়া হরি’দার মর্নিং গ্লোরী হওয়ার পরিবর্তে আবেগের ফ্লো হইতে লাগিল। তিনি তাহার সারা জীবনের পাওয়া না পাওয়ার বেদানা আর আশু প্রেমের আশংকায় ডুকরিয়া কাঁদিয়া উঠিলেন। নায়িকা আসিয়া জিজ্ঞাসিলেন, “ও মনু, কান্দ কা?” উত্তরে হরি’দা শাহরুখীয় ট্রেডমার্ক কাঁদিতে কাঁদিতে হাসিয়া আর হাসিতে হাসিতে কাঁদিয়া এক আজব থিওরী ফাঁদিলেন !! পাঞ্জাবের পাবলিক কি কারণ বশত দুই হাত তুলিয়া অতি বিকট সুরে বাল্লে বাল্লে গান গায়? কারন হইল – ট্রাক্টর !! জ্বী ভাই, ঠিকই শুনিলেন !! ট্রাক্টরের বিকট আওয়াজকে পাল্লা দিতেই উহারা তাহারচেয়েও বিকট সুরে বাল্লে বাল্লে বলিয়া গান ধরে !! যাহাই হউক, সক্কাল বেলা ঘুম হইতে উঠিয়া তুমুল নাচাগানার সহিত আন্তাকশারী খেলিয়া এইবেলা অঙ্গুঠী খুজিতে তাহারা ভিন দেশে রওনা হইয়া গেলেন।

সেই ভিন দেশে পৌছাইয়া তাহারা প্রেমিক প্রেমিকা রুপে আড্ডা মারিতে লাগিলেন, নাচা গানা করিলেন, একত্রে বসবাস করিলেন, নায়িকা স্ট্রীপটিজের ডেমো দেখাইলেন এমনকি এক বিছানায় জড়াজড়ি করিয়া রাতও কাটাইয়া দিলেন !!

- হরি হরি,
- ইয়েস পাপা,
- স্লিপিং টুগেদার?
- ইয়েস পাপা,
- ডুইং নটি নটি?
- নো পাপা,
- টেলিং লাইজ?
- হাহাহা

আর ওইদিকে কোহলি’দা টেনশনে “কি হচ্ছে, কি হচ্ছে ওকেনে...” বলিয়া আঙ্গুল কামড়াইতে কামড়াইতে আরেকখানা সেঞ্চুরি করিয়া ফেলিলেন !

পূর্বে নায়কের চার্লির পার্ট করিত জনি লিভারের মত কিছু কমেডিয়ান। ইদানীং নায়কেরা নিজেরাই কমেডিয়ান বনিয়া যাওয়াতে উহাদের স্থান দখল করিয়াছে যাহারা অতীব স্বাস্থ্যবান। সেইরকম একখানা মোটা সোটা চার্লি দৌড়াইয়া আসিয়া খবর দিল, চাঁদে সাঈদীর খোমা দেখা গিয়াছে...থুক্কু, প্রাগে অঙ্গুঠীর দেখা মিলিয়াছে !! সেই প্রাগের এক নর্তকী নাকি এই অঙ্গুঠীখানা ছুড়িয়া মারিয়াছে আরেক দুঁদে ক্রিমিনাল “গাস” এর খোমায়। এই গাস আবার থাকে পর্তুগালে। কিছুক্ষন পরেই এই কপোত কপোতীকে দেখা গেল পর্তুগালের রাস্তায়, যাহাদের দেখিয়াই সেই দেশের যুব আর যুবতী সমাজ কনফেত্তি উড়াইয়া, নর্তন কুর্দন করিয়া স্বাগত জানাইল।

ভারতীয়রা যে বিশ্বের প্রভাবশালী পদগুলি ধীরে ধীরে দখল করিয়া ফালাইতেছে, তাহার প্রমান আবারো পাওয়া গেল। ভয়ংকর ক্রিমিনাল গাস, যাহার নাম শুনিলে দুনিয়ার তাবত ইল্লিগাল ইমিগ্র্যান্ট রা তাহাদের তালতো বোনের শ্বাশুড়ির নাম নগদে ভুলিয়া যায় – সেই গাস হইল আরেক ইল্লিগাল ইমিগ্র্যান্ট গিয়াসুদ্দীন !! তো এক রোমান্টিক রাত্রিতে নদীর পাড়ে খাড়াইয়া হরিদা যখন হেড়ে গলায় চিৎকার করিয়া নায়িকা সুজেলের প্রতি ভালবাসা নিবেদন করিতেছিলেন, তখন আতকা তাহারা সেই ক্রিমিনাল গাস কর্তৃক কিডন্যাপ হইয়া গেল।

বন্দী অবস্থায় হরিদার দিমাগ কি বাত্তি জ্বলিয়া উঠিল, আর তাহার শিশুতোষ ফাপড়ে ভয়ংকর গিশু’র প্রায় পিশু হইয়া গেল। মুক্ত হইয়া সুজেল নায়কের ফাটা কপাল জোড়া লাগাইবার নিমিত্যে ব্যান্ডএইড খুজিতে তাহার হ্যান্ডব্যাগ উপুর করিলেন। স্ত্রীলোকের হ্যান্ডব্যাগ – এক অপার বিস্ময়ের নাম !! সাথে সাথে ব্যাগ হইতে গড়াইয়া পড়িল – আরেকখানা ব্যাগ, কোষ্ঠকাঠিণ্যের ট্যাবলেট, মেকাপ বক্স, নাম না জানা অনেক কিছু আর সেই হারাইয়া যাওয়া অঙ্গুঠী !!

অঙ্গুঠী উদ্ধার হইয়া গিয়াছে, এইবেলা এই প্রেম প্রেম খেলা সাংগ করিয়া নিজ নিজ বাটিতে ফিরিয়া যাইবার পালা। কাহিণি শেষ। কিন্তু না !! অঙ্গুঠীর খবর নায়িকা হজম করিয়া গেলেন। তাহারপর, শয্যা গ্রহন করিয়া উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে হরিদাকে ঘনিষ্ঠ আহবান জানাইলেন !! দর্শক আর বিরাট কোহলি নড়িয়া চড়িয়া বসিলেন। কিন্তু এইবারও হরি’দার আবেগ পূর্বের ন্যায় ফ্যাকরা বাধাইলো। দর্শক বেকুব বনিল আর কোহলি কপালের ঘাম মুছিয়া আউট হইয়া প্যাভিলিয়নে ফিরিলেন।

সেই মোটকা চার্লির বিবাহ। ব্যাপক ধুমধামের সহিত, একগাদা বিদেশি মেহমান এর আশীর্বাদ পুষ্ট হইয়া তাহারা বিবাহ করিল। পুত্রদান আর কণ্যাদান করিলেন হরিদা আর সুজেলদি। অনুষ্ঠান শেষে হঠাত হরিদার মনে হইল, সিনেমা আর ইহার রিভিউ - দুইটাই হুদাই বিরক্তির শেষ সীমায় পৌছাইয়া গিয়াছে। এর একটা বিহিত করনের লক্ষে হরির বিবেক জাগ্রত হইল, কোনরূপ সলিড স্টোরী ছাড়াই সিনেমার আড়াই ঘন্টা পার হইয়া যাওয়াতে নায়িকার সহিত কাজিয়া বাধাইলেন এবং সিনেমা প্রায় শেষ পর্যায়ে আসিয়া পড়া সত্বেও নায়ক নায়িকার সম্পর্কের কোন আগামাথা খুজিয়া না পাইয়া একজন আরেকজনকে রাস্তা মাপিতে বলিয়া আলাদা হইয়া গেলেন।

সুজেলদির পুরো সিনেমার আনসাং হিরু রূপেন সাহেবের সহিত বিবাহ হইয়া গেল, হরিদা সেই সিস্টেম লসে পড়িয়া থাকিলেন, মোটকা চার্লি আরও মোটকা হইল – দর্শক মাথা আর পশ্চাদ্দেশ চুলকাইতে চুলকাইতে “ইহা কি দেখিনু” ভাবিয়া সিট ছাড়িয়া উঠিতে লাগিল, কোহলি’দা শাওয়ারে গুনগুন করিতে করিতে সাবান মাখাইতে লাগিলেন...

কিন্তু চিরচারিত নিয়ম অনুযায়ী সিনেমা অদ্যাবধি শেষ হইলনা...দর্শক আবারো বসিয়া পড়িল, কোহলি সাবানের ফেনা সরাইয়া উকি মারিলেন...

দুঃখিত, ফিরিয়া আসিয়াছি বলিয়া যাহা খুশী তাহাই লিখাইয়া লইবেন, তাহা হইবেনা ব্রাদার...বাকিটা নিজ দায়িত্বে দেখিয়া লঊন। অথবা না দেখিলেও বিশ্ব চরাচরের বিন্দুমাত্র ক্ষতিবৃদ্ধি হইবেনা। যাহারা পরিচালক ইমতিয়াজ আলী আর শাহরুখের নাম শুনিয়া সিনেমা দেখিতে বসিয়াছিলেন – তাহারা ভাবিয়া ভাবিয়া চুলকাইয়া চুলকাইয়া ঘাও বানাইয়া ফালাইলেও সিনেমার কোন মর্মার্থ উদ্ধার করিতে পারিবেন না। এত সস্তা ডায়লগ, এত সস্তা স্ক্রিপ্ট – বোধহয় শুধু বি গ্রেড মুভিতেই খুজিয়া পাওয়া যাইবে। ইমতিয়াজ আলীর ট্রেডমার্ক ফিলোসফি আর শাহ্রুখের ট্রেডমার্ক ছ্যাব্লামি দেখিয়া দেখিয়া জাতি আজ ক্লান্ত, শ্রান্ত, নির্যাতিত, নিপিড়িত।

কে দেবে উহাকে আশা, কে দেবে উহাকে ভরসা?


উৎসর্র্গ - প্রিয় মাসরুফ হোসেন,
একজন সুলেখক, একনিষ্ঠ পাঠক, বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নারী ক্ষমতায়নের অগ্রদূত, পশু প্রেমী কিন্তু নর পশুদের জম, বডি বিল্ডার এবং একজন সুপার কপ.
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৪
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×