এইটা শাকিব খান!
সে কী লুক! সে কী এক্সপ্রেশন! সে কী ডায়ালগ থ্রোইং!
শিকারি মুভির ট্রেইলার দেখেই স্পষ্ট বোঝা যায় আমাদের নির্মাণ দক্ষতা। শাকিব খানকে আমরাই সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি, অথচ তাঁকে নিয়ে ট্রল করেছি। যদিও মেন্টাল, সম্রাট এবং সত্ত্বা মুভির ট্রেইলারে তাঁকে অন্যরূপে দেখা গেছে। শাকিবের মতো ফর্সা ত্বকের অভিনেতাদের ক্লিন শেভের বদলে হালকা দাঁড়ি রাখলে যে বেশি ম্যানলি লাগে সেটা আমাদের নির্মাতারা না বুঝলেও দাদাবাবুরা কিন্তু ঠিকই বুঝেছে। আর তাঁকে উপস্থাপনও করা হয়েছে পারফেক্টভাবে। যে শাকিব খানকে আমি নিজেই অভিনেতা মনে করতাম না, এই মুভির ট্রেইলারে দেখেই টাস্কি খেয়ে গেছি আর বলা যায় ফ্যানও হয়ে গেছি। শুনেছি শাকিবের ডাবিং নাকি জিশু নামের কাউকে দিয়ে করানো হয়েছে, যদিও আমার কাছে শাকিবের ভয়েসই মনে হয়েছে।
আমাদের দেশে যথেষ্ট প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রি আছে কিন্তু তাঁদেরকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা, তাঁদের থেকে অভিনয় বের করে আনা, সঠিকভাবে উপস্থাপন করার মতো নির্মাতার বড়ই অভাব। হয়তো অনেকেই দ্বিমত পোষণ করবেন কিন্তু আমার ধারণা এটাই। নইলে এতদিন এভাবে ইতিবাচকভাবে সে আলোচনায় আসেনি কেন? কারণ তাঁকে সেভাবে উপস্থানপন করা হয়নি। নির্মাতা ভালো হলে কলা গাছকে দিয়েও অভিনয় করিয়ে নিতে পারে।
সে তো বেশিদিন আগের কথা নয় যখন কলকাতার অভিনেতারা বাংলাদেশের মুভিতে অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে থাকতো, ঢাকাই সিনেমার অফার পেলে লাফিয়ে উঠতো। নির্মাতা-গল্পের অভাবে বেশ কিছু বাংলাদেশি সিনেমার রিমেক তাঁরা করেছে। অথচ প্রেক্ষাপট এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন। কাহিনী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তামিল থেকে নকল হলেও মুভিতে দক্ষতা, প্রযুক্তির ব্যবহার আর নির্মাণ মুন্সিয়ানায় তাঁরা অনেক এগিয়ে গেছে। আর আমরা পড়ে আছি মান্দাতার আমলে।
তবে ট্রেইলারে বেশ কিছু বৈষম্য-অসঙ্গতি চোখে পড়লো, যেমন- ১ম টিজারে ভারতীয় পরিচালকের নাম বড় ফন্টে দেখানো হলেও বাংলাদেশি পরিচালকের নাম ছোট ফন্টে দেখানো হয়েছে। আর অফিসিয়াল ট্রেইলারে দেখলাম বাংলাদেশি পরিচালকের নামই ব্যবহার করেনি। তাছাড়া এডিটর, ডায়ালগে বাংলাদেশির নাম নেই। অন্যদিকে জাজের ট্রেইলারে দুইদেশের নামই সমানভাবে এসেছে। ট্রেইলারে Mystery বানানটাও ভুল হয়েছে।
ট্রেইলার থেকে – নতুন রূপে শাকিব খানঃ
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩