ইউটিউবে অপরাধ বিষয়ক অনুষ্ঠান তালাশ, একুশের চোখ এবং ইনভেস্টিগেশন ৩৬০ ডিগ্রি দেখছিলাম। হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন সহ আরও বহু অপরাধ। কিন্তু সবচেয়ে বেশি গা শিওরে ওঠে খাদ্যে ভেজাল দেখলে।
কোন খাদ্যে ভেজাল নেই? কাওরান বাজারে হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া বানানোর সময় মেশানো হচ্ছে কাপড়ের রঙ, আম পাকাতে কার্বাইড ব্যবহ্ণত হচ্ছে, মাছ ও ফলমূল সংরক্ষণে ব্যবহ্ণত হচ্ছে ফরমালিন, শাকসবজি পোকামাকড় মুক্ত রাখতে বিভিন্ন রাসায়নিক কীটনাশক, মুড়িতে ইউরিয়া, গুঁড়ো দুধ এ মেলামিন, কনডেন্স মিল্ক এর নামে খাওয়ানো হচ্ছে ভেজিটেবল ফ্যাট, বিভিন্ন খাদ্য-দ্রব্যে ফুড গ্রেড রঙ এর পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় ক্ষতিকর টেক্সটাইল গ্রেড রঙ, এডিবল অয়েল এর পরিবর্তে পেট্রোল দিয়ে ভাজা হচ্ছে চানাছুর, জিলাপি ইত্যাদি। সিরিঞ্জ দিয়ে টমেটোতে, তরমুজে কেমিক্যাল ঢুকানো হচ্ছে।
আগে ভেজাল প্রতিরোধে কিছু সরকারি উদ্যোগের কথা পত্রপত্রিকায় ফলাও করে প্রচার করা হতো। এখন এতটা নয়। আসলে আমরা এমন একটা দেশে বাস করি যেখানে কোনো কিছুরই শেষ এবং শুরু নেই। সবকিছু কেমন যেন হ-য-ব-র-ল। খাদ্যে ভেজাল নির্মূলে যেসব সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, দেখা যায় শেষ পর্যন্ত তা পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হয় না।
ভেজাল বিরোধী সকল অভিযান, ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ হয় মুখে বা কাগজপত্রেই থেকে যায়। কালেভদ্রে দুয়েকটা অভিযান আর সামান্য জরিমানাতেই তারা ক্ষেমা দেয়। এতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। কোনো প্রকার নজরদারি নেই কোনো কতৃপক্ষের।