দীর্ঘ ২৪ বছর পরে সরকারের সুমত হলো । ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ জন্মের পরে প্রস্তুত করা ১৯৮৯ সালের ইট পোড়ানো আইন যা ২৪ বছরের ঘুনে পরিপূর্ণ ছিল তা মেরামত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০১৩ সালে এসে আমরা একটি নতুন আইন পেলাম আমাদের সরকার এবং তার মহামান্য আমলা বর্গের কৃপা এবং দয়ায়।
বিগত আইনেও ছিল জ্বালানি কাঠ, কয়লা ইত্যাদি পুড়িয়ে ইট বানানো যাবে না; নতুন আইনটিতেও এই কথাটি আবার বলা হয়েছে। তাহলে ব্যাপার টা দাঁড়ালো এতদিনের প্রচলিত যে আইন টা ছিল টা ছিল করার জন্য করা। কে জানে হয়তো সামনে আবার একই ধরনের আইন হবে এবং মেধার অপচয় রোধ করার জন্য এই স্বর্গীয় লাইনটি আবার নতুন মহিমায় হাজির হবে।
নতুন আইনটিতে অনেক গুলো ধারা, অনুধারা, উপধারা, প্রতিধারা ইত্যাদি যুক্ত হয়েছে; অনেক গুলো শাস্তি এবং জরিমানা আদায় করার কথা বলা হয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই আইনের প্রতিটি ধারা যদি ঠিক ঠিক ভাবে পালন করি তাহলে দেশে কিছুদিনের মধ্যে কোনও ইট ভাটা থাকবে না, ইট ভাটার দূষণও থাকবে না; যেটা পুরোটাই বেসম্ভব।
প্রশ্ন হচ্ছে এতো এতো টাকা, মেধা, সময় দিয়ে আমরা কি তইরী করছি?
বোধোদয় হোক পণ্ডিতবর্গের…।
এমন কিছু আসুক যাতে দেশের সমস্যার সঠিক সমাধান হয়।