somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাসন্তী শুভেচ্ছা ------(ছবিব্লগ)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ও মঞ্জুরী, ও মঞ্জুরী আমের মঞ্জুরী,
আজ হৃদয় তোমার উদাস হয়ে পড়েছে কি ঝরি।
আমার গান যে তোমার গন্ধে মিশে দিশে দিশে
ফিরে ফিরে ফেরে গুঞ্জরি।



আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।
তব অবগুন্ঠিত কুন্ঠিত জীবনে
কোরোনা বিড়ম্বিত তারে।
আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো,
আজি ভুলিয়ো আপন পর ভুলিয়ো,
এই সঙ্গিতমুখরিত গগনে
তব গন্ধ তরঙ্গিয়া তুলিয়ো।
এই বাহির- ভুবনে দিশা হারায়ে
দিয়ো ছড়ায়ে মাধুরী ভারে ভারে।
একি নিবিড় বেদনা বনমাঝে
আজি পল্লবে পল্লবে বাজে-
দূরে গগনে কাহার পথ চাহিয়া
আজি ব্যাকুল বসুন্ধরা সাজে।
মোর পরানে দখিন বায়ু লাগিছে,
কারে দ্বারে দ্বারে কর হানি মাগিছে-
এই সৌরভবিহ্বল রজনী
কার চরণে ধরণীতলে জাগিছে।
ওহে সুন্দর, বল্লভ, কান্ত,
তব গম্ভীর আহ্বান কারে।









বাসন্তী, হে ভুবনমোহিনী, দিকপ্রান্তে, বনবন্তে,
শ্যম প্রান্তরে, আম্রছায়ে, সরোবরতীরে, নদীনীরে,
নীল আকাশে, মলয় বাতাসে
ব্যাপিল অন্তর তব মাধুরী





একটুকু ছোঁওয়া লাগে, একটুকু কথা শুনি----
তাই দিয়ে মনে মনে রচি মম ফাল্গুনী।
কিছু পলাশে নেশা, কিছু বা চাঁপায় মেশা,
তাই দিয়ে সুরে সুরে রঙে রসে জাল বুনি।




ওরে ভাই, ফাগুন লেগেছে বনে বনে---
ডালে ডালে ফুলে ফুলে পাতায় পাতায় রে,
আড়ালে আড়ালে কোণে কোণে।






বসন্তে ফুল গাঁথল আমার জয়ের মালা।
বইল প্রাণে দখিন-হাওয়া আগুন-জ্বালা।
পিছের বাঁশি কোণের ঘরে মিছে রে ওই কেঁদে মরে---
মরণ এবার আনল আমার বরণডালা।








ওরে বকুল, পারুল, ওরে শাল-পিয়ালের বন,
কোন্‌খানে আজ পাই
এমন মনের মতো ঠাঁই
যেথায় ফাগুন ভরে দেব দিয়ে সকল মন,
দিয়ে আমার সকল মন।



বনে এমন ফুল ফুটেছে,
মান ক’রে থাকা আর কি সাজে।
মান অভিমান ভাসিয়ে দিয়ে
চল চল কুঞ্জমাঝে।







ফুলে ফুলে ঢ’লে ঢ’লে বহে কিবা মৃদু বায়,
তটিনী হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায়।
পিক কিবা কুঞ্জে কুঞ্জে কুহু কুহু কুহু গায়,
কী জানি কিসেরই লাগি প্রাণ করে হায়-হায়।






ফাগুনের পূর্ণিমা এল কার লিপি হাতে।
বাণি তার বুঝি না রে, ভরে মন বেদনাতে।
উদয়শৈলমূলে জীবনের কোন্‌ কূলে
এই বাণি জেগেছিল কবে কোন্‌ মধুরাতে।






যখন মল্লিকা বনে প্রথম ধরেছে কলি
তোমার লাগিয়ে তখনি, বন্ধু, বেঁধেছিনু অঞ্জলি।
তখনো কুহেলীজালে,
সখা, তরুণী ঊষার ভালে
শিশিরে শিশিরে অরুণমালিকা উঠিতেছে ছলোছলি।




ফাগুন-হাওয়ায় রঙে রঙে পাগল ঝোরা লুকিয়ে ঝরে
গোলাপ জবা পারুল পলাশ পারিজাতের বুকের ‘পরে।
সেইখানে মোর পরাণখানি যখন পারি বহে আনি,
নিলাজ-রাঙা পাগল রঙে রাঙিয়ে নিতে থরে থরে।




আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে,
এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়,
সখীর হৃদয় কুসুম কোমল----
কার অনাদরে আজি ঝরে যায়!






মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে।
মধুর মলয় সমীরে মধুর মিলন রটাতে।
কুহুকলেখনী ছুটায়ে কুসুম তুলিছে ফুটায়ে,
লিখিছে প্রণয়কাহিনী বিবিধ বরনছটাতে।




বসন্তে-বসন্তে তোমার কবিরে দাও ডাক-
যায় যদি সে যাক।
রইল তাহার বাণী রইল ভরা সুরে, রইবে না সে দূরে—
হৃদয় তাহার কুঞ্জে তোমার রইবে না নির্বাক্‌।





ফাগুনের নবীন আনন্দে
গানখানি গাঁথিলাম ছন্দে।
দিল তারে বনবীথি কোকিলের কলগীতি,
ভরি দিল বকুলের গন্ধে।
মাধবীর মধুময় মন্ত্র
রঙে রঙে রাঙালো দিগন্ত।




ফাগুন, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান—
তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান—
আমার আপনহারা প্রাণ আমার বাঁধন-ছেড়া প্রাণ।







বায়ু আসিয়া কহে কানে কানে,
‘ফুলবালা, পরিমল দাও।‘
আনন্দে কাঁদিয়া কহে ফুল,
‘যাহা আছে সব লয়ে যাও।




দোলে দোলে দোলে প্রেমের দোলন-চাঁপা হৃদয়-আকাশে,
দোল-ফাল্গুনের চাঁদের আলোর সুধায় মাখা সে।




এস’ থরথরকম্পিত মর্মরমুখরিত নবপল্লবপুলকিত
ফুল- আকুল মালতীবল্লিবিতানে ---- সুখছায়ে, মধুবায়ে।
এস’ বিকশিত উন্মুখ, এস’ চির-উৎসুক নন্দনপথচিরযাত্রী।
এস’ স্পন্দিত নন্দিত চিত্রনিলয়ে গানে গানে, প্রাণে প্রাণে।




এস’ এস’ বসন্ত ধরাতলে।
আন’ মুহু মুহু নব তান, আন’ নব প্রাণ নব গান।
আন’ গন্ধমদভরে অলস সমীরণ।




নব বসন্তের দানের ডালি
এনেছি তোমাদেরই দ্বারে
আয় আয় আয়
পরিবি গলার হারে।




আশা বলে ‘বসন্ত আসিবে’
ফুল বলে, ‘আমিও আসিব’,
পাখি বলে, ‘আমিও গাহিব’,
চাঁদ বলে, ‘আমিও হাসিব।‘





বসন্তপ্রভাতে এক মালতীর ফুল
প্রথম মেলিল আঁখি তার,
প্রথম হেরিল চারি ধার।




আমার রান্না বাসন্তী মাসালা গোবী :D :D


সব শেষে মিষ্টি মুখের হাসি


* লেখাটি সাজিয়েছি রবীন্দ্র সঙ্গীত ও কবিতা দিয়ে।
* ফুলগুলো সব আমার বাগানের ।
*আমের মুকুলের ছবি নার্সারী থেকে তুলেছিলাম।


ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৫
৪৪টি মন্তব্য ৪৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×