বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করার সুবাদে প্রতিনিয়ত দেশের দৈনিক সংবাদপত্রগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়। কার কি অবস্থা, অবস্থান, তা নিয়েও জরিপ করতে হয় অনেক রকম। এই মে-২০১০ এর শেষে কোন বাংলা পত্রিকার গড় সার্কুলেশন কেমন তা এখানে প্রকাশ করলাম।
১) প্রথম আলো ................ ৪,১২,০০০ কপি
২) কালের কণ্ঠ...................১,৯০,০০০ কপি
৩) যুগান্তর ....................... ১,২০,০০০ কপি
৪) আমাদের সময় ............. ১২০,০০০ কপি
৫) ইত্তেফাক ..................... ৮০,০০০ কপি
৬) সমকাল ....................... ৮০,০০০ কপি
৭) নয়াদিগন্ত ...................... ৬০,০০০ কপি
৮) আমার দেশ ....................৬০,০০০ কপি
৯) জনকণ্ঠ ..........................২৫,০০০ কপি
১০) যায়যায়দিন .................... ২০,০০০ কপি
টপ টেনের অবস্থান মোটামুটি এরকম। প্রকৃত সার্কুলেশন ৫ থেকে ১০ পার্সেন্ট পর্যন্ত উঠানামা করে অনেক সময়। মাঠপর্যায় থেকে সংগৃহীত ডাটা থেকে এই তথ্য সংগৃহীত।
কালের কণ্ঠ এক মাসের মধ্যে ভাল অবস্থানে গেছে। কারন হোয়াইট প্রিন্ট মোটা কাগজ, বেশী পাতা, হকারদের সর্বোচ্চ কমিশন, লেখার মানও খারাপ না। (একটি পত্রিকা বেচলে হকার পায় ৪ টাকা, হকার সমিতি পায় ২ টাকা)
আমার বস বলে মাসে তারা ৭-৮ কোটি টাকা লস দিচ্ছে। সংবাদপত্র শিল্পের ওলটপালট করেই ছাড়বে তারা। কালের কন্ঠ যদি বিজ্ঞাপনেও হকারদের মত ছাড় দেয় তাহলে আমাদের মত বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলাও লাল হয়ে যাবে।
লক্ষণীয় যে, প্রথমআলো শুরুতে একটু কমে গেলেও এখন আবার বাড়ছে। কালের কণ্ঠ এখন আর অতটা বাড়ছে না।
মূলত প্রথমআলো তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি রিপোর্ট করায় বসুন্ধারা গ্রুপ ক্ষেপে গিয়ে কালেরকণ্ঠ বের করছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনও তাদেরই পত্রিকা। একটি ইংরেজীও প্রকাশ করার চেষ্টা করছে তারা। সাথে টিভি ও রেডিও স্টেশন।
জয় হোক বসুন্ধরা গ্রুপের। জয় হোক কালের কন্ঠের। মিডিয়াকে তারা কোথায় নিয়ে যায় দেখা যাক।