তখন খুব ছোট। বসনিয়া-হার্জোগবিনা-র গণহত্যা, ইরাক-কুয়েত যুদ্ধ, রুয়ান্ডা-র গণহত্যা ইত্যাদি বিষয়ে মানুষের মুখে মুখে অনেক কথা শুনতাম। সে সময় আমাদের বাড়িতে টেলিভিশ না থাকায় রেডিওতে খবর শুনতাম আগ্রহ নিয়ে। বিনোদনের মাধ্যম সীমিত ছিল বলে খবরটা শুনা হত অনেকটা বিনোদন হিসাবে। তখন রুয়ান্ডার গণহত্যার খবর বেশ ফলাও করে রেডিওতে প্রচার করা হত। জানতাম না রুয়ান্ডা কোথায় বা গণহত্যাই বা কি? শুধু এটা বুজতে পারতাম গণহত্যা মানে মানুষকে খুন-খারাবি কিসিমের কিছু একটা হবে। যত বড় হই রুয়ান্ডা নিয়ে আমার কৌতুহল বাড়তে থাকে। এখনও নামটি শুনলে ভয় ভয় লাগে। তখন গণহত্যার নৃশংসতা কত ভয়াবহ ছিল তা বোঝতে পারিনি। গণহত্যা ও যুদ্ধ যে আলাদা জিনিস তা জেনেছি অনেক বছর পর।
গণহত্যা (genoside) হল, কোন প্রাচীন জাতি-গোষ্ঠী, কোন বিশেষ ধর্ম বা ভাবধারার মানুষকে কোন নির্দিষ্ট অঞ্চল অথবা দেশ থেকে চিরতরে তাড়িয়ে দেওয়া বা স্বমূলে ধ্বংস করার পরিকল্পনা। ১৯৪৮ সালের United Nation Genocide Convention-এ গণহত্যার সংজ্ঞা দিতে বলা হয়েছে, "Acts committed with intent to destroy, in whole or in part, a national, ethnic, racial or religious group.
রুয়ান্ডা আফ্রিকা মহাদেশের মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকার মাঝামাঝি অঞ্চলে অবস্থিত ছোট একটি দেশ। দেশটির আয়তন মাত্র ২৬,৩৩৮ বর্গ কিলোমিটার। উগান্ডা, তাঞ্জানিয়া, বুরুন্ডি ও রিপাবলিক অফ কঙ্গোর সাথে দেশটির সীমানা রয়েছে। ৭ এপ্রিল ১৯৯৪ সাল থেকে ১৫ জুলাই ১৯৯৪ পর্যন্ত প্রায় ১০০ দিন ব্যপী দেশটিতে যে গৃহযুদ্ধ হয় তা রুয়ান্ডা গণহত্যা নামে পরিচিত। মাত্র তিন মাসব্যাপী এ গণহত্যায় প্রায় আট-দশ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল, যেটি ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যা হিসাবে আজও স্বীকৃত। এ হত্যাযোগ্যে প্রায় ২ লক্ষ মহিলা ধর্ষিত হন, ১ লক্ষেরও বেশী শিশুকে খুন করা হয়। এছাড়া কয়েক লক্ষ মানুষ দেশ ত্যাগ করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়। গৃহযুদ্ধে তাদের বাড়িঘর, সহায়-সম্পত্তি সব পুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
রুয়ান্ডাতে মূলত তিনটি জাতির বাস। তারা হল; হুতু (hutu), তুতসি (tutsi) ও তাওয়া (twa)। হুতু মোট জনসংখার প্রায় ৮৫%, তুতসি ১৪% এবং তাওয়া প্রায় ১%। তাদের মধ্যে জাতিগত ভিন্নতা থাকলেও দেশটি বেলজিয়ামের শাসনাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত সবাই শত শত বছর থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে একসাথে বসবাস করে আসছিল। তাদের ভাষা, সংস্কৃতি, গায়ের রং ইত্যাদি প্রায় একই। হুতুদের পেশা ছিল কৃষিকাজ, আর তুতসিদের মূল পেশা পশু পালন করা, তবে তাওয়ারা মূলত শুকর পলত। তুতসিরা সংখ্যায় হুতুদের চেয়ে অনেক কম হলেও শিক্ষা-দীক্ষা এবং অর্থনৈতিক ভাবে বেশী প্রভাবশালী ছিল।
১৮৮৪/৮৫ সালের বার্লিন কনফারেন্সের অধ্যাদেশ বলে রুয়ান্ডা জার্মানির অন্তর্ভূক্ত হয়। জার্মানদের সময়ে হুতু ও তুতসিরা অনেকটা শান্তিপূর্ণ ছিল। এ সময়ে তাদের মধ্যে মত বিরোধ থাকলেও জাতিগত কোন দাঙ্গা হয়নি। পরবর্তী সময় ১৯১৬ সাল থেকে বেলজিয়ামের সেনানাহিনী দেশটির দখল নিতে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে শুরু করে, অবশেষে ১৯২৩ সালে জার্মানদের কাছ থেকে বেলজিয়াম রুয়ান্ডা দখল করে নেয়। বেলজিয়ামের দখলের পর থেকে মূলত রুয়ান্ডায় জাতিগত বিদ্বেষের বীজ বপন শুরু হয়।
শিক্ষা-দীক্ষা এবং প্রভাব-প্রতিপত্তিতে অগ্রসর হওয়ায় বেলজিয়ানরা সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বেশী সংখ্যক তুতসিদের নিয়োগ দেয়। যার ফলে ব্যাবসা-বাণিজ্যেও তারা হুতুদের চেয়ে আর বেশি অগ্রসরমান হতে থাকে। এ বৈষম্যের ফলে হুতুরা আরো পিছিয়ে পড়ে। এতে দিনদিন তুতসিদের সাথে তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য বাড়তে থাকে, যা এক পর্যায়ে এসে ঘৃণা ও প্রতিহিংসায় রূপ নেয়।
এছাড়া বেলজিয়ানদের কিছু ভূল পদক্ষেপ দেশটিতে জাতিগত দাঙ্গা ত্বরান্বিত করে। পদক্ষেপগুলোর অন্যতম ছিল, তুতসিদের দেখতে হালকা-পাতলা, লম্বা নাকের অধিকারী ও অপেক্ষাকৃত ফর্সা হিসেবে চিহ্নিত করা। আর হুতুদের অপেক্ষাকৃত বেশী কাল ও নাকবোচা হিসেবে চিহ্নিত করা। সরকারের এসব বর্ণ বৈষম্য হুতুরা সহজভাবে নেয়নি, এতে তারা অপমানিত ও হতাশ হয়। আর এটি ছিল দেশটির জাতিগত সহনশীলতার কপালে প্রতিহিংসার শেষ পেরেক।
কিছু দিনের মধ্যে শুরু হয় দুই জাতির মধ্যে দাঙ্গা। যত দিন যায় দাঙ্গা বাড়তে থাকে, পাশাপাশি তাদের মধ্যে শত্রুতাও বাড়ে। এছাড়া ১৯৫৭ সালে সরকারের নয় সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তুতসিদের বনেদি বলে আখ্যায়িত করে। যার ফলে ১৯৫৯ সাল থেকে দেশটিতে প্রচন্ডভাবে জাতিগত দাঙ্গা শুরু হয়, যা ১৯৬১ সাল পর্যন্ত বলবৎ ছিল। দাঙ্গায় লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারায় এবং প্রায় ২ লক্ষ মানুষ দেশান্তরিত হয়।
১৯৬২ সালে দেশটি বেলজিয়াম থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। তখন তুতসিদের ক্ষমতা খর্ব হয় এবং সংখ্যাগরিষ্ট হুতু সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় বসে। ক্ষমতা হারানোকে তুতসিরা সহজভাবে নেয়নি, গোপনে তাঁরা আস্তে আস্তে নিজেদের মধ্যে অর্গেনাইজ হতে থাকে। অপরদিকে হুতু সমর্থিত সরকারও তাদের বিরুদ্ধে সামরিক দমন-পীড়ন শুরু করে। ১৯৭৩ সালে দেশটিতে সামরিক শাসন জারি হয়। ফলে দুই জাতির মধ্যে টেনশন আর বাড়তে থাকে। এসময় সরকার তুতসিদের স্পাই ও দেশদ্রোহী হিসেবে প্রচার করে। এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও তখন তুতসিদের খারাপ ও উদ্ভাস্তু হিসাবে উপস্থাপন করা হত।
১৯৯০ সালে কঙ্গো, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের সহযোগিতায় 'রুয়ান্ডান পেট্রিয়টিক ফ্রন্ট' (আরপিএফ) উগান্ডায় দীর্ঘ দিন প্রশিক্ষণ নিয়ে রুয়ান্ডায় প্রবেশ করে। শুরু হয় সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ। যুদ্ধে বিদ্রোহীদের পাশাপাশি হাজার হাজার সাধারন মানুষ প্রাণ হারায়। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে দুই পক্ষ তানজানিয়ায় শান্তি চুক্তি সই করতে সম্মত হয়। কিন্তু সরকারের বেশিরভাগ সমর্থক হুতুরা চুক্তি মানতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ দেশটিতে ২,৫০০ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়ন করে। তারপরও দেশটিতে শান্তি ফিরে আসেনি। শান্তিরক্ষী বাহিনী কার্যত দাঙ্গা থামাতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের চোখের সামনেই হত্যাযোগ্য চলে।
১৯৯৪ সালের ৬ এপ্রিল রুয়ান্ডার তখনকার প্রেসিডেন্ট সেপ্রেন এন্টারিয়ামিরা শান্তি চুক্তি করে ফেরার পথে কিগালি এয়ারপোর্টে বিমান অবতরনের আগমূহুর্তে আততায়ীর ছোড়া দুইটি মিজাইলের আঘাতে প্রাণ হারান। হুতুরা এ হত্যাকান্ডের জন্য তুতুদের দায়ী করে, যদিও হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। সেদিন রাত যত বাড়তে থাকে তুতসিদের উপর সরকারী বাহিনী ও হুতুদের সমন্বয়ে হামলার তীব্রতাও বাড়তে থাকে। ক্ষমতাসীন হুতুরা তুতসিদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে।
অনেকের মতে এই হামলা ও হত্যাযোগ্য হুতুদের পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। সে রাতেই প্রায় দশ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। সেই কাল রাত থেকে শুরু হয় স্বরণকালের অন্যতম ভয়াবহ হত্যাযোগ্য। সরকারের সামরিক বাহিনী ও সাধারন হুতুরা একযোগে শুরু করে তুতসিদের হত্যা মিশন। দা, চাপাতি, বল্লব, খুন্তি যার যা ছিল তা নিয়ে প্রতিবেশী তুতসিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মাত্র তিন মাসে নৃশংশভাবে খুন হয় প্রায় দশ লক্ষ মানুষ। এ নৃশংস হত্যাযজ্ঞে বাদ যায়নি নারী ও শিশুরা পর্যন্ত। লক্ষ লক্ষ নারীদের ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ছোট বাচ্চাদের হুতুরা দেয়ালের সাথে মাথা ঠেসে হত্যা করত, অনেকটা দেয়ালের গায়ে পাথর ছুড়ে মারার মত।
মানুষ কত ভয়ংকর হলে এমন বর্বর কাজ করতে পারে তা কল্পনা করা যায় না। এরা সাধারন মানুষকে ধরে একেবারে মেরে ফেলত না, আস্তে আস্তে সময় নিয়ে টুকরো টুকরো করে মারত, যাতে বেশী কষ্ট পায়। কাঠুরে যেমন এলোপাতাড়ি কোপ দিয়ে গাছ কেটে জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করে ঠিক তেমনই। গণহত্যায় তুতসিদের প্রায় ৭০% এবং হুতুদের ২০% লোক প্রাণ হারায়।
অবশেষে পল কাগমির নেতৃত্বে 'রুয়ান্ডান প্যাট্টিয়টক ফ্রন্ট' দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়। ততদিনে অনেক দেরী হয়ে গেছে। তিনমাসের এ হত্যাযোগ্যে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ মারা যায়। কয়েক লক্ষ শিশু কিশোর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ ভয়ে দেশান্তরিত হয়, যাদের অধিকাংশ হুতু।
অবাক করা বিষয় গণহত্যা চলাকালে ১৯৯৪ সালের ২১শে এপ্রিল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ২৫০০ জনের মধ্যে মাত্র ২৭০ জনকে রেখে বাকিদের সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যায়। যেখানে আর বেশি করে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর কথা, সেখানে জাতিসংঘই কিনা তাদের বাহিনী তুলে নিয়ে গণহত্যার ষোলকলা পূর্ণ করতে উৎসাহিত করল। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটু দায়িত্ববান হলে এ ভয়াবহ গণহত্যা ঠেকানো হয়ত সম্ভব ছিল।
এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া গণহত্যাগুলোর (Genocide) মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস হচ্ছে, "হোলকাস্ট জেনোসাইড" যেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে (১৯৩৯-১৯৪৫) সংঘটিত হয়। জার্মানির ন্যৎসি বাহিনী (হিটলার) এ হত্যাযজ্ঞ চালায়। ধারণা করা হয় এতে ১ কোটি দশ লাখ থেকে ১ কোটি সত্তর লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। যাদের প্রায় ৪৫% ছিল ইহুদি এবং বাকিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পোলিশ ক্যাথলিক খৃষ্টান। বাকিরা ইউরোপীয়ান। তারপর "হলদমর জেনোসাইড" যেটি সোভিয়ের রাশিয়ার ইউক্রেনে সংঘটিত হয় ১৯৩২/৩৩ সালে। এতে প্রায় ৭৫ লক্ষ মানুষ মারা যায়। তৃতীয় হলো "কম্বোডিয়ান জেনোসাইড" যেটি ১৯৭৫-১৯৭৯ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এতে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ নিহত হয়; তবে এ সংখ্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে দ্বিমত আছে; সর্বশেষ বিবিসির রিপোর্টেে বলা হয়েছে এ সংখ্যাটি ৩ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ হতে পারে। । তবে ভারতের টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয় এ সংখ্যাটি ২,৬৯,০০০ এর কাছাকাছি। এটিও পৃথিবীর অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যা। এছাড়া আছে সোভিয়েত কাজাখ জেনোসাইড ১৯৩২, এতে প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ মারা যায়। "আরমেনিয়ান জেনোসাইড" (১৯১৫-১৯২২), এতে ১৫ লক্ষ মানুষ মারা যায়। "গ্রীক জেনোসাইড" (১৯১৪-১৯২২), এতে ৭ লক্ষ মানুষ প্রান হারায়। উল্লেখ্য যে, আরমেনিয়া ও গ্রীস অটোমেন সম্রাজ্যের অধীনে ছিল। তাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে অটোম্যানরা (তুরস্ক) এ হত্যাকান্ড চালায়।
তথ্যসূত্র -
Dawidowicz, Lucy (২০১০)
Reitlinger, Gerald (১৯৫৩)
Niewyk, Donald (২০০০)
Rosefielde, Steven (১৯৮৩)
BBC (১৭ মার্চ, ২০১১)
nytimes.com (১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭)
cnn.com (২০১৭)
History.com
..........................................
ফটো ক্রেডিট, গুগল।
চাইলে পড়তে পারেন-
আমার সবচেয়ে পঠিত, লাইক ও কমেন্ট প্রাপ্ত পোস্ট।
সবচেয়ে পঠিত প্রবন্ধ।
আধুনিক কবিতার পাঠ (সমালোচনা)
আলোচিত ফিচার 'দি লাঞ্চিয়ন'।
ব্রিটেনের প্রবাস জীবন- স্মৃতিকথা।
সবচেয়ে পঠিত গল্প।
সবচেয়ে লাইকপ্রাপ্ত গল্প।
ছবি ব্লগ (লন্ডনের ডায়েরি-১)।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫