উৎসব, অনুষ্ঠান, মেহমান আপ্যায়ন, আড্ডা, পার্টি, গরমে, ক্লান্তিতে যে কোন সময় যে কোন স্থানে এক গ্লাস ঠান্ডা না হলে চলে কেমন করে । কোমল পানীয় দিয়ে আপ্যায়নের সাথে বাড়ীর মান-সম্মান জড়িত । তাছাড়া বন্ধুদের আড্ডা জমে কেমন করে কমপক্ষে এক বোতল ঠান্ডা গিলতে না পারলে । কোক, RC, মোজো, 7-UP, পেপসি, Speed, টাইগার, ঠান্ডা বা কোমল পানীয় যে নামেই ডাকা হোক না কেন আসলে কিন্তু এগুলো ঠান্ডা বা কোমল কোনটিই নয় । এসব পানীয় না পারে তৃষ্ণা নিবারণ করতে আর না পারে কোন রকম উপকার করতে বরং উল্টো ক্ষতি করে । এসব পান করার পর পানির চাহিদা বাড়ে বৈ কমে না । তাছাড়া এসবে নানা রকম ক্ষতিকারক উপাদান আছে যেমন -ক্যাডমিয়াম, সীসা, কার্বন- ডাই -অক্সাইড (CO2), ফসফরিক এসিড, কীটনাশক, সোডিয়াম বাই কার্বনেট, সাইট্রিক এসিড, টারটারিক এসিড, গ্লু, সুগন্ধি রং, প্রিজার্ভেটিভ, স্যাকারিন, সরবিটল , ম্যান্টিল ইত্যাদী । ক্যাডমিয়াম এবং সীসাকে ক্যান্সারের জন্য দায়ী করা হয় । কার্বন-ডাই-অক্সাইডের বিষাক্ত হওয়ার ব্যাপারে কে না জানে অথচ এটাই এসব ড্রিংকসের প্রধান উপাদান । ফসফরিক এসিড হাড় ও দাতের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতির কারণ । ইথিলিন গ্লাইকল আর্সেনিকের চাইতে বেশী ভয়ানক; এর প্রভাবে লিভার, কিডনি ধ্বংস সহ ক্লেইন টিউমার হতে পারে । এসব প্রত্যেকটি রাসায়নিক উপাদানই মানব দেহের জন্যে মারাত্নক ক্ষতিকর কারণ বিশেষত শিশুদের জন্যে বেশী ভয়ানক । এসব পানের ফলে শিশুদের খাবারের রুচি কমে যায় , ঘুম কম হয় , লেখাপড়ায় মনোযোগ কমে যায় বুদ্ধিমত্তা ধীরে ধীরে হ্রাস পায় । এছাড়াও রঙিন ড্রিংকস গুলোতে থাকে ক্যাফেইন যা মৃত লাশের পঁচন রোধের জন্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের এক রিপোর্টে দেখা যায় ভারতের প্রচলিত কোমল পানীয়তে নিন্মোক্ত হারে কীটনাশক পাওয়া গেছে ।
পন্যের নাম ও শতকরা কীটনাশকের হার
1. থামস আপ 7.2%
2. কোক 9.8%
3. 7-UP 12.5%
4. মিরিন্ডা 20.7%
5. মোজো 19.3%
6. পেপসি 10.9%
7. ফানটা 29.1%
8. স্প্রাইট 5.3%
9. ফ্রুটি 24.5%
চিন্তা করুন কি ভয়াবহ অবস্থা । যারা কোল্ডড্রিংকস নিয়মিত গ্রহন করছেন তারা যে নিজেই নিজের উপর স্লো পয়জনিং করে চলেছেন তা হয়তো বুঝতেই পারছেন না ।
কথা না বাড়িয়ে বিদায়কালে শুধু এতটুকু বলবো । খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় , কাজেই চমক লাগানো বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত না হয়ে একটু সচেতন হোন ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:০০