somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

19/ vs 666/

৩০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ওহে অবিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত তথাকথিত মুক্তান্বেষীগণ!! সাহস থাকলে সত্যান্বেষীদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করো।

আর আমাদের মোকাবেলায় পৃথিবীর সকল বিজ্ঞতা ও যোগ্যতাধারী অথর্ববাদী বুদ্ধিজীবীদের সমবেত কর। আর এই বিষয়ে আমাদের কোন অব্যাহতি দিওনা। তোমরা যদি কুরআনের অনুরুপ একটি আয়াতও রচনা করতে পার, তবে কথা যিচ্ছি আমরাও তোমাদের মতো মুক্তমনা হয়ে আল্লাহ্‌র অবাধ্যতায় উড়ে বেড়াবো। আর যদি সক্ষম না হও তবে আজই তোমার স্রষ্টার সমীপে নতজানু হও!!
“আল-কুরআন” মানব জাতির জন্য আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্বশেষ ঐশী বিঁধান। যার সংরক্ষক সৃষ্টিকর্তা নিজেই।
কুরআন প্রায় ১৫০০ বছর আগে যেভাবে অবতীর্ণ হয়েছিল, আজও ঠিক অনুরূপভাবে অক্ষত আছে, পরিবর্তন হয়নি একটি হরফও, একটি চিহ্নও।

এটি এমন একটি গ্রন্থ যেখানে স্রষ্টা মানব জাতির ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সমাজ জীবন ও রাষ্ট্রীয়জীবন পরিচালনা করবার জন্য এমন কিছু বিধি-বিধান প্রদান করেছেন যাতে মানুষ তার পরিপূর্ণ মানব জীবনের প্রতিটি দিক ও বিভাগ স্রষ্টার সুশাসনে ও আনুগত্যে লালিত-পালিত হয়ে সামাজে শান্তি ও শৃঙ্খলায় বসবাস করতে পারে । যার ফলে কুরআন এই ব্যবস্থাপনার নামকরণ করেছে ‘দ্বীন’ যার অর্থ আনুগত্যের জীবন বিধান। অজ্ঞানতার যুগের কুফফার-মুনাফেকদের ন্যায় আজও কিছু তথাকথিত মুক্তমনা আছেন- যারা বলেন, এই কুরআন নাকি মোহাম্মদের রচনা। আমরা কুরআনের একটি বানীর মাধ্যমে ওইসব সংশয়বাদী মুক্তমনাদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করছি-
“আর তারা কি বলে যে এই কুরআন তার (মোহাম্মদের) রচনা।আপনি বলুন- যদি তোমরা সত্যবাদী হও। তাহলে এর অনুরুপ অন্ততঃ একটি সূরা রচনা করে নিয়ে আসো। আর এ ব্যাপারে আল্লাহ্‌ ব্যতীত যাদের সাহায্য প্রয়োজন মনে কর তাদের সকলকে তোমাদের সাহায্যে সমবেত কর”-(সূরা ইউনুসঃ৩৮)।

“বলুন, (হে মোহাম্মদ), এই কুরআনের অনুরুপ কোন গ্রন্থ রচনায় যদি তারা সমগ্র জ্বীন ও মানব জাতি একযোগে সমবেত হয়- তবুও তারা কখনই এর অনুরূপ কোন গ্রন্থ রচনা করতে সক্ষম হবেনা”-(৩ঃ৮৮)।

এই অদ্ভুত চ্যালেঞ্জে হয়তো মুক্তমনাগণ হাসিতে লুটোপুটি খেতে পারেন। আমার এক মুক্তমনা বড়ভাই প্রায়শই আমাকে বলতেন, কুরানের অনুরূপ কোন একটা উপদেশ বানীতো বানানোই যায়।এ আর এমন কি?

যেমন কুরআনে আল্লাহ্‌ পাক বলেন- “হে মুমিনগণ! তোমরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় সালাতের নিকটবর্তী হইওনা”
একজন নাস্তিক হয়তো অনুরুপ একটি বানী বলে বসলেন। যথা-“হে মুমিনগণ! তোমরা নেশগ্রস্থ অবস্থায় স্ত্রীসঙ্গম করিওনা” কিংবা “হে মুমিনগণ! তোমরা তোমাদের আমীরগণের আহবানে তরবারি উন্মুক্ত করিবে, যখনই তারা তোমাদের দ্বীন প্রতিষ্ঠার জিহাদের আহবান করিবে, ঝাঁপিয়া পড়িবে তাগুদের বিরুদ্ধে আর ক্ষত-বিক্ষত করিবে জুলুমতের অবয়ব।” কিংবা- “ হে মুমিনগণ! রাত্রিতে শয়নের পূর্বে তোমরা তোমাদের স্ত্রী-সন্তানদিগকে কুরআন পাঠ করিয়া শুনাইবে। তাদের কিতাব শিক্ষা দেবে। ইহার বিনিময়ে আল্লাহ্‌ তোমাদের সপরিবারে জান্নাতে প্রবেশ করবার অনুমতি দিবেন।” (আল্লাহ্‌ ক্ষমা করুণ, বস্তুত এগুলো কোন কুরআনের আয়াত নয়, শুধু উদাহরণ প্রদানের উদ্দেশ্যই এমন উদাহরণ দেয়া হল, যেখানে মুক্তমনাগণ আল্লাহ্‌র এই চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে ঠাট্টা-বিদ্রপ করে থাকেন)।
তাহলে কি কুরআন মিথ্যা প্রতিপন্ন হল...?? মুক্তমনাগণ কি এই চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হয়ে কুরআনকে পরাজিত করল...??
আল্লাহ্‌র কসম!! আল্লাহ্‌র এই চ্যালেঞ্জ কিয়ামত পর্যন্ত সমুন্নত থাকবে। পৃথিবীর কোন ডকিন্স কিংবা হকিন্স কুরআনের অনুরুপ একটি আয়াতও রচনা করতে সক্ষম হবেনা।

আল্লাহ্‌র কসম! আল-কুরান যেকোনো কাল বা সময়ের উৎকর্ষতা, যোগ্যতা কিংবা বিজ্ঞতার পরিবর্তিত কালের দাবি মুকাবেলা করতে সক্ষম- এবং তা কুরান তার প্রতিটি বাণী অপরিবর্তিত ও তার শাশ্বত ধারা বজায় রেখেও। অন্ততপক্ষে ডিজিটাল ফিজিক্স ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের প্রকর্ষতা আজ সেই সাক্ষ্যই প্রদান করছে। আমরা ধাপে ধাপে বিষয়টি আলোচনা করবো। নিশ্চিতভাবে আমাদের এই প্রবন্ধটি বিশ্বাসীদের ইমানকে আরও দৃঢ়তর করবে আর অজ্ঞানতায় আচ্ছন্ন অবিশ্বাসীদের অবিশ্বাসের অহমকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করবে।
আমরা কুরআনের সুরে সুর মিলিয়ে আবারও সকল অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে আল্লাহ্‌র এই শাশ্বত চ্যালেঞ্জের পুনরাবৃত্তি করছি- “আর তারা কি বলেযে এই কুরআন তার (মোহাম্মদের) রচনা। আপনি বলুন- যদি তোমরাসত্যবাদী হও। তাহলে এর অনুরুপ অন্ততঃ একটি সূরা রচনা করে নিয়েআসো। আর এ ব্যাপারে আল্লাহ্‌ ব্যতীত যাদের সাহায্য প্রয়োজন মনে করতাদের সকলকে তোমাদের সাহায্যে সমবেত কর”-(সূরা-ইউনুসঃ৩৮)।

“বলুন, (হে মোহাম্মদ) এই কুরআনের অনুরুপ কোন গ্রন্থ রচনায় যদি তারা সমগ্র জ্বীন ও মানবজাতি একযোগে সমবেত হয়- তবুও তারা কখনই এর অনুরূপ কোন গ্রন্থ রচনা করতে সক্ষম হবেনা”-(৩ঃ৮৮)।

ওহে অবিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত বুদ্ধিহীন বুদ্ধিজীবীগণ- আপনি জানেন কি বিশ্বাসীদের প্রভু কোরআনে এমনই এক শীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় অপ্রতিরোধ্য ও সুদৃ্‌ঢ় ব্যবস্থা বিঁধে দিয়েছেন যা বাস্তবিকই- সমগ্র মানবজাতি তার সকল যোগ্যতা কিংবা বিজ্ঞতা সমেত কোটি কোটিবছর সাধনা করলেও কুরআনের অনুরুপ একটি সূরাও রচনা করতে সক্ষম হবেনা। বিস্ময়করভাবে এমন রায়ই প্রদান করেছে বর্তমান কালের অত্যাধুনিক কম্পিউটার!!

কুরআনের এই কার্যকর ও সুদৃঢ় প্রতিরোধ ব্যবস্থা হচ্ছে ‘১৯’ সংখ্যার এক বিস্ময়কর গানিতিক বুনন। যার নিউমরলজি ফলাফল হল ‘১’ যা আল্লাহ্‌র একত্ববাদকে বোঝায়। আল-কুরানের ১৯ সংখ্যার এক আশ্চর্যজনক সংখ্যাতাত্ত্বিক জটিল জাল পেতে রাখা হয়েছে যা অতিশয় অনন্য ও অভিনব। পৃথিবীর কোন কিতাবে এমন বিস্ময় পরিলক্ষিত হয়না।
হয়তো আপনার মনে প্রস্ন উদিত হচ্ছে- ‘১৯’সংখ্যার সাথে কুরআনের কি সম্পর্ক??
লক্ষ্য করুণ ৭৪ নং সূরার ৩০-৩১ নং আয়াতে, যেখানে বলা হয়েছে- “এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত (কুরআনে) স্থাপিত হয়েছে পরম বৈশিষ্ট্যপূর্ণ-মহিমাময় গুরুত্ব-আরোপকারী '১৯'(উনিশ)।”
“আমিতো ফেরেশতাদের জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক করেছি। আর আমি এই (১৯) সংখ্যাটি এইজন্য সংযুক্ত করেছি- যাতে অবিশ্বাসীদের অবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং বিশ্বাসীদের বিশ্বাস সুদৃঢ় হয়। যাদের অন্তরে পাপ প্রবনতা রয়েছে তারা বলে-আল্লাহ্‌ এই (১৯ সংখ্যা) দ্বারা কি বুঝিয়েছেন? আর এভাবেই আল্লাহ্‌ যাকে ইচ্ছা (কুরআনের প্রতি) বিদ্রোহী করেন এবং যাকে ইচ্ছা (এই কুরআনের)এর মাধ্যমে নেতৃত্ব প্রদানকারী নীতিনিষ্ঠ পথে পরিচালিত করেন। আর তোমাদের প্রতিপালকের সৈন্যবাহিনীর(ফেরেস্তা)সংখ্যা তিনি ব্যতীত আর কেউই জানেনা।নিঃসন্দেহে এই কুরআন মানবতার জন্য এক সতর্কবার্তা”-(৭৪:৩০-৩১)। [[ ধন্যবাদ নূরানির গবেষণামুলক কুরআনের অনুবাদক- মাউলানা মুহাম্মাদ মফিজ উল্লাহ্ ও মূল গ্রন্থের অনুবাদক আশরাফ আল থানভি (রাঃ) কে-- এই অনবদ্য বিশুদ্ধ অনুবাদ উপহার দেবার জন্য ]]।

প্রচলিত অনুবাদে এই আয়াতকে অতি-সরলীকরণ ভাবে অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যার ফলে এই আয়াতদ্বয়কে সবসময় আমরা ভুল বুঝে এসেছি। এর যাতে যোগ করা হয়েছে ১৯-জন ফেরেস্তার ধারণা-যা আদৌ সঠিক নয়। কারণ সৃষ্টিকর্তা এখানে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন যে তিনি ছাড়া আর কেউ তথা মানবজাতি তার ফেরেস্তাবাহিনির সংখ্যা জানেনা। আর ১৯ এর সাথে ফেরেস্তার সংখ্যার ধারণা মেনে নিলে কুরআনের বানী পরস্পর বিরোধী প্রতিপন্ন হবে। আর উক্ত আয়াতে বলা হয়েছে এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত- তথা কুরআনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ১৯ সংখ্যার একটা মহিমাময় বৈশিষ্ট্যের যোগসূত্র আছে। এখানে আয়াতের প্রস্তাব উতান্ত সুস্পষ্ট। আর এখানে কোনভাবেই পরিস্কারভাবে ফেরেস্তার সংখ্যা ১৯ এর মাহাত্ম্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়- বরং তা পুরো কুরআন জুড়ে তথা কুরআনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এর মহিমাময় প্রস্তাব সম্পর্ককৃত । কারণ সৃষ্টিকর্তা দ্ব্যার্থহীন ভাবে ঘোষণা করেছেন যে ফেরেস্তাদের সংখ্যা আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কেউ জানেন না। অতএব- নিশ্চিতভাবে ১৯এর সাথে কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র আছে। যা কিনা বিশ্বাসীদের বিশ্বাস এবং নাস্তিকদের অবিশ্বাসীই বৃদ্ধি করবে। কি বুঝলেন?? আসুন- আমরা উৎঘাটন করবার চেষ্টা করি কি এই মহিমান্বিত ১৯ ?? আর কুরআনের সাথে এই সংখ্যার যোগসূত্র বা মহিমাই বা কি??

এখানে ১৯ সংখ্যাকে কুরআনের মহিমা হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে। বিষয়টি সর্বপ্রথম উপলব্ধি করেন লেবাননের এক মুসলিম অধিবাসী ডঃ রশিদ খলিফা। তিনি উক্ত আয়াতের ১৯ সংখ্যার সংখ্যাতাত্ত্বিক বুননের উপর ভিত্তি করে কুরআনকে নির্ভুলভাবে কম্পিউটারে সেট করেন এবংপরীক্ষা সম্পন্ন হবার পর কম্পিউটার হতবাক করার মতো যেফলাফলটি প্রকাশ করে তা হল কুরআন কোন মানুষের পক্ষে রচনা করা সম্ভব না। যে শৃঙ্খলায় কুরআনের পরতে পরতে ১৯ এর জাল বিছিয়ে রাখা হয়েছে এমন শৃঙ্খলা বোজায় রেখে একটি শব্দ হয়ত গঠন করা যেতে পারে কিন্তু কুরআনের একটি পুর্নাঙ্গ বাক্য গঠন কখনই সম্ভব না, আর কুরআনের উচ্চ লেভেলের সাহিত্যিক মানের প্রাঞ্জল কাব্যতা বজায় রেখেতো তা অনেক দূরের কথা।

ডঃ রসিদের গাণিতিক ফলাফল বলে যে, এতো বিশাল একটি গ্রন্থে ঘটানাটি দৈবাৎভাবে একটি শব্দের ক্ষেত্রে ঘটলেও ঘটে যেতে পারে তবে দ্বিতীয়বার নয়, তৃতীয়বার অসম্ভব, চতুর্থবার প্রশ্নাতীত!! অর্থাৎ পরিকল্পনাহীভাবে এমন পরিসংখ্যানগত মিল রেখে কুরআনের ন্যায় কয়েক শব্দের একটি বাক্য গঠন একেবারেই অসম্ভব!

কুরানে যেসব শৃঙ্খলা মানা হয়েছে আর ১৯ সংখ্যার জাল যেভাবে বিছিয়ে রাখা হয়েছে, ঠিক তেমনভাবে সমশব্দে ও সমবাক্য সংখ্যার অনুরুপ ঠিক অনুরুপ বৈশিষ্টের কোন গ্রন্থ রচনা করার জন্য যে সময়প্রয়োজন, কম্পিউটার লব্ধ ফলাফল তার সময়সূচি দিয়েছে 6.26x1026সেপটটি্লিয়ন বছর। সংখ্যাগত ভাবে যার ফলাফল হল-626০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০ (অর্থাৎ 626 এর পর 24 টি শুন্য বসালে সে পরিমাণ বিশাল সংখ্যা হয় সেই পরিমাণ বছর) অর্থাৎ তা Big-Bang এর প্রলয়কালের সময়কেও কয়েক হাজার বার হার মানায়। পৃথিবীর আনুমানিক বয়স ৫০০ কোটি বছর। জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর বর্তমান অবস্থা শীর্ষতম। আমরা যদি আজকের দুনিয়ার প্রায় ৫০০ কোটি মানুষকে পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কুরানের অনুরূপ একটি গ্রন্থ রচনার কাজে নিয়োজিত ধরে নেই, তবে সেই গ্রন্থ রচনার কাজটিতে যে সময় প্রয়োজন তারকম্পিউটার লব্ধ ফলাফল হবে, মানব জাতির এই মহাসম্মিলন প্রসূত কাজের অগ্রগতির মানে-45০০০০০০০০x5০০০০০০০০০=225x1017 কর্ম বছর, যা সেপটিলিয়ন সংখ্যাটির ১০০কোটি ভাগের ১ ভাগমাত্র ৩৫ ভাগের সমান অর্থাৎ পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যার সমসংখ্যক মানুষ যদি সৃষ্টির পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে থাকে কুরআনের অনুরূপ কোন গ্রন্থ রচনার জন্য, তবে ৫০০ কোটি বছর বয়সে আজকের দিন পর্যন্ত যে পরিমাণ কাজ করতে সক্ষম হতো তাহলে পরিমাপ হতো সমুদয় প্রকল্পটির মোট কাজের ১০০ কোটি ভাগ করে তা থেকে ৩৫ ভাগ নিলে যে পরিমাণ সংখ্যা হয় তা।

এখন আমরা দেখবো কুরানের পরতে পরতে কিভাবে ১৯ এর বিস্ময়কর গানিতিক সামঞ্জস্যের জাল বিছিয়ে রাখা হয়েছে। আল-কুরানের প্রতিটি সূরার শুরুতে ‘বিস্মিল্লাহি রাহমানির রাহিম’ আয়াতটি আছে(সূরা-তওবা ব্যতীত), যেখানে ব্যবহৃত হয়েছে চারটি শব্দ ইসম, আল্লাহ্‌, রহমান ও রাহিম যা ‘উনিশ’ হরফ দ্বারা গঠিত।
সমগ্র কুরানে ইসম শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ১৯ বার যা আবার ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। আল্লাহ্‌ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ২৬৮৯ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। রহমান শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে ৫৭ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য আর রাহিম শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে ১১৪ বার সেটাও আবার ১৯ দ্বারা বিভাজ্য!!!!
প্রক্ষান্তরে-পবিত্র কুরআনে ‘আল্লাহ্’ নামটি উল্লেখ করা হয়েছে মোট ১৩৩বার যা কিনা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য (১৩৩=১৯x৭)।
এমন ঘটনা কিছুতেই দৈবাত বা কাকতালীয় ভাবে ঘটে যেতে পারেনা।
পবিত্র কুরআন এর সর্বমোট আয়াত সংখ্যা হল-৬৩৪৬টি। সংখ্যাগুলোকে আলাদা আলাদা যোগ করলে দাড়ায় ৬+৩+৪+৬=১৯। আবার ৬৩৪৬ কে ৬৩+৪৬=১০৯ এবং ১০৯ কে ১০+৯=১৯ এভাবেও যোগ করা যায়।

এছাড়া কুরানে মোট ১১৪ টি সূরা আছে যাও আবার ১৯ দ্বারা বিভাজ্য! আবার ডঃ রশিদ যা কুরানিক কোড হিসেবে অবিহিত করেছেন, যেমন- আলিফ লাম মিম, আলিফ লাম র, হা মিম, ত্বোয়া-সিন, ইয়াসিন, ত্বোয়া হা, সাদ, নূন, ক্বাফ, আলিফ লাম মিম সাদ, আইন সিন ক্বাফত্বোয়া সিন মিম, ক্বাফ, হা ইয়া আইন সাদ, ত্বোয়া, আইন, ক্বাফ, কাফ, লাম, মিম,নূন, হা ইয়া) গঠিত হয়ে মোট ২৯ সূরায় ব্যবহৃত হয়েছে যার যোগফল দাঁড়ায় ৫৭ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।

শুধু তাই নয় কুরআনের কোন একটি সূরা যখন কোন বিশেষ একটি কোডের মাধ্যমে শুরু হয় সেই সূরাতে সেই কোডের অক্ষর/অক্ষরসমূহ যতবার আসে ততবার সেই সংখ্যাটি পৃথকভাবে সকল সময়ে ১৯ দ্বারা বিভাজ্য!!
এর পরও যদি অস্বীকার করেন তবে কুরআনের অনুরূপ অন্তত তিনটি মুক্তমনা আয়াত রচনা করুন যার পরতে পরতে ১৯ এর মহিমাময়গাণিতিক জাল প্রোথিত!! যদি না পারেন- তবে আজই তওবা করে আপনার প্রভুর সমীপে সিজদায় নতজানু হন।
এবার আমরা ইতিহাস থেকে একটি চিন্তা উদ্রেগকারী ঘটনা আলোকপাত করবো- কুরান মজিদের ৭ নং সূরার ৬৯ নং আয়াত যখন অবতীর্ণ হয় যে আয়াতে ব্যবহৃত ‘বাসতাতন’ শব্দটি সরাসরি আরবি ব্যাকরণ বিরুদ্ধ !! কিন্তু কেন...?? আল্লাহ্‌ পাক কি তাহলে ভুল করে বসলেন?? নাকি তার অন্য কোন অভিপ্রায় ছিল?? কারণ এই শব্দটিতো লিখবার কথা ছিল ‘সিন’ দিয়ে, কিন্তু এই আয়াতে ব্যবহৃত হল ‘সোয়াদ’ দিয়ে আরবের গর্বিত ব্যাকরণ শৈলিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে। এই ৭ নং সূরার কুরানিক কোড হল আলিফ-লাম-মিম-সোয়াদ তাই এই সূরায় ‘বাসতাতান’ শব্দটি যদি সিন দিয়ে লিখা তাহলে কোড অনুযায়ী সোয়াদের সংখ্যা ৭,১৯ ও ৩৮ সূরায় সম্মিলিত সংখ্যা হত ১৫২ এর স্থলে ১৫১টি যার ফলে ১৯ দ্বারা অবিভাজ্য হবার ফলে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়তো ১৯ এর মাহাত্ত্ব, পঙ্গু হয়ে পরত কোরানের শৃঙ্খলঠিক যেমনটি D.N.A শৃঙ্খল কোড ভেঙে গেলে একজন মানুষ বিকল হয়ে পড়ে!!
এই আয়াতটি অবতীর্ণ হবার সাথে সাথে নবীজির অনুসারী তথা সাহাবাগণ বললেন হে আল্লাহ্‌র রাসুল- উক্ত শব্দটি আরবি ব্যাকারণের বিরুদ্ধে যাচ্ছে!
জবাবে নবীজি- এটা জিব্রাইল কর্তৃক আল্লাহ্‌র বিশেষ আদেশ বলে ঘোষণা করেন, যদিও তা আরবি রীতি বিরুদ্ধ ‘সোয়াদ’ সংযোগে লেখা হয়। কুরআনের এই অদ্ভুত বিরুদ্ধাচারণ তখনকার মধ্যযুগীয় জ্ঞানের আওতায় সাহাবিগণ অথবা পরবর্তী মুতাজিলা বিজ্ঞানীগণ কিনবা ইমাম গাজ্জালির মত ফুরকানের আলোয় আলোকিত বিশ্বাসীগণও বিষয়টির কারণ বা আল্লাহ্‌র এই অদ্ভুত যৌতিকতা অনুভব করতে সক্ষম না হলেও আজ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রকর্ষতার উচ্চ লেবেলে আরোহণ করবার পরই সবেমাত্র আমরা বিষয়টি উপলব্ধি করতে শুরু করেছি। যেই নবীর কোন প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট ছিলনা ,নিরক্ষর হবার ফলে যার এককলম একটি চিঠি লিখবারও ভাষাজ্ঞান ছিলনা, সেই নিরক্ষর মানুষটি কি করে এমন বিস্ময়কর গানিতিক পদ্ধতিতে ১৯ এর অভিনব জাল রচনা করলেন-আদৌ কি তার পক্ষে সম্ভব এটি সম্ভব ছিল?

মুক্তমনাগণ দয়া করে এর উত্তরটি দেবেন কি?

এরপরও কি বুদ্ধিজীবীগণ তা প্রত্যাখ্যান করবেন? তবে আমরা মেজর জাহান মিয়ার সুরে সুর মিলিয়ে ঘোষণা করতে চাই- “তোমরা শিক্ষিত আবরণে অজ্ঞতার অন্ধকারে নিমজ্জিত এক অনন্য অজ্ঞ জাতি”।
৬৬৬ এর শয়তানী মহিমায় ৬৬৬ এর অ্যান্টি-ইসলামিক ব্লাক মেটালের স্রষ্টাদ্রোহী অনাহিতাগণ কি এর অনুরূপ একটি ব্লাক মেটাল লিরিক সম্বলিত কাব্য রচনা করেবেন কি ??
পারলে স্যাটানিক বাইবেলে ৬৬৬ এর জালের বুননে অন্তত ১ পৃষ্ঠার একটি মুক্তমনা গস্পেল রচনা করে দেখান ।
দুঃখিত হে জাতির পথভ্রষ্ট বোন অনাহিতা- 'You are Nothing but a crawling worm in the world of lies'
মহাবিশ্বের স্রষ্টা কুরআন মজিদের পরতে পরতে ১৯ এর যে অভিনব শৃঙ্খল বা চেইন বিছিয়ে রেখেছেন তার সবগুলো পরিসংখ্যান তুলে ধরতে গেলে হয়ত ১০০০ পৃষ্ঠার একটি পাণ্ডুলিপি তৈরির প্রয়োজন হবে। তাই আমরা আর একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরার মাধ্যমে এই প্রবন্ধটির ইতি টানবো। (আরও বিস্তারিত পরিসংখ্যান জানতে- Al Quran the ultimate miracle by Ahmed Deedat অথবা ডঃ রশিদের মূল গ্রন্থটি পড়তে পারেন)।
আল-কুরানে আলিফ-লাম-মিম এই কোডটি মোট ছয়টি সূরার প্রারম্ভে ব্যবহৃত হয়েছে। উক্ত সূরাগুলোতেই আয়াতসমূহ আলিফ,লাম,মিম এই বর্ণ তিনটি যাতবার ব্যবহৃত হয়েছে ততবার তার সমষ্টি ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। নিম্নে এর পরিসংখ্যান দেওয়া হল-
সূরা- আলিফ- লাম- মিম- সমষ্টি- ১৯ দ্বারা-বিভাজ্য
বাকারা- ৪,৫০২- ৩,২০২- ২,১৯৫= ৯,৮৯৯ ,,
আল-ইম্রান- ২,৫২১- ১,৮৯২- ১,২৪৯= ৫,৬৬২ ,,
আনকাবুত- ৭৭৪- ৫৫৪- ৩৪৪= ১,৬৭২ ,,
রোম- ৫৪৪- ৩৯৩- ৩১৭= ১,২৫৪ ,,
লোকমান- ৩৪৭- ২৯৭- ১৭৩= ৮১৭ ,,
সেজদা- ২৫৭- ১৫৫- ১৫৮= ৫৭০ ,,
যোগফল – ৮,৯৪৫- ৬,৪৯৩- ৪,৪৩৬= ১৯,৮৭৪

এখানে উপরোক্ত ১৯,৮৭৪ সংখ্যাটিও আবার ১৯ দ্বারা বিভাজ্য!!

উপরোক্ত পরিসংখ্যা হতে প্রমাণিত হয় যে সূরাসমূহে আলিফ, লিম, মিম বর্ণ তিনটির আলাদা যোগফলও আবার ১৯ দ্বারা বিভাজ্য! আবার সূরা ছয়টির একত্রিত যোগফলও ১৯ দ্বারা বিভাজ্য! এই সকল তথ্য-প্রমাণ এটাই প্রমাণ করে যে “ইহা সেই কিতাব, যাহাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই”-(২-২)।

এই ১৯ সংখ্যার অলৌকিক জাল-বিন্যাস ও অভিনব গানিতিক ফর্মুলায় রচিত এই বিজ্ঞান্ময় কোরআনের প্রতীটি বর্ণমালা, শব্দ এবং কাব্যিক বাক্য কেউ পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন কিংবা বিয়োজন করতে সক্ষম হবে নয় । ১৯ সংখ্যার এই অলৌকিক নিরাপত্তা বলয় আজ এই বিজ্ঞান্ময় যুগে আমাদের জানিয়ে দেয় যে আল-কুরান সেই ঐশীকিতাব-“কোন প্রকার মিথ্যা ইহাতে প্রবেশ করতে পারবেনা সম্মুখ কিংবা পশ্চাৎ হতে” “ইহা সেই কিতাব, যাহাতে কোন সন্দেহের অবকাশনাই”-(৪১:৪২/(২-২)।

বুদ্ধিহীন বুদ্ধিজীবীগণ কি-“সতর্কতার সহিত (তাদের মুক্তমনামনে) এইকুরআনকে অনুধাবন করবেন নাকি?এটা যদি স্রষ্টাছাড়া অন্যকোন উৎসহতে অবতীর্ণ হত, তবেতো তারা এর মধ্যে অনেক অসঙ্গতি ও অসামঞ্জস্যতা প্রত্যক্ষ করত”-(আল-কুরান,৪-৮২)।
অজ্ঞানতার যুগে বর্বর অর্ধসভ্য আরবগণ যখন তাদের কাব্য-গানেরসাহিত্যিক মান নিয়ে তথা তাদের ঘৃণ্য জাতীয়তাবাদের সঙ্কীর্ণমণাদৃষ্টি-ভঙ্গী নিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের অহমে তাদের ট্র্যাডিশন ও ভাষা নিয়ে সদাগর্বিত ও অহংকারে নিমজ্জিত ছিল, ঠিক সেই সময়ে সৃষ্টিকর্তা তাদেরইভাষায় তাদের অহঙ্কারময় কবিতাগুলোকে চ্যালেঞ্জে ছুঁড়ে দিয়ে এতোউচ্চমানের সাহিত্যিকমাণ ও প্রাঞ্জল-কাব্যিকধারায় ১৯ এর বিস্ময়করজালবুণে এতোটা জ্ঞানগর্ভ ও দীপ্তিমান বানী সম্বলিত কুরআনের আয়াতঅবতীর্ণ করলেন যার প্রতিটি শব্দে চূর্ণ-বিচূর্ণ তছনছ হয়ে গেলঅবিশ্বাসী ও সদা-গর্বিত আরবের কবিদের অহমের দেয়াল। তারাকুরআনের সাহিত্যিক মান ও উচ্চমানের প্রাঞ্জল কাব্যে এতটাই প্রভাবিতহয়েছিল যে দলেদলে কবিরা আল্লাহ্‌ একত্ববাদ স্বীকার করতে লাগলো।কারণ তারা অনুভব করতে পেরেছিল যে এটা হযরতের(সাঃ) সৃষ্টকবিতা হতে পারেনা, কেননা একদিকে যেমন মোহাম্মদ(সাঃ) কবিছিলেননা অপরপক্ষে তিনি ছিলেন নিরক্ষর! আর এতোটুকুই তাদেরকুরানের প্রতি বিশ্বাসস্থাপনের জন্য যথেষ্ট ছিল। আবার প্রক্ষান্তরে তারাকুরআনের কাছাকাছি কোন উচ্চমানের কাব্যরচনা করে আল্লাহ্‌রচ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতেও সক্ষম হচ্ছিলনা।

মহাবিশ্বের পরাক্রমশালী প্রভু যখন সূরা ইউনুসের ৩৮ নং আয়াতেঅবিশ্বাসী কবিদের চ্যালেঞ্জে ছুঁড়ে দিয়ে বললেন যে-“যদি তোমরাসত্যবাদী হয়ে থাক তবে(কুরানেরন্যায়)অন্তত একটি সূরা রচনা করেনিয়ে আস। আর এই ব্যাপারে আল্লাহ্‌ ব্যতীত যাদের সাহায্য প্রয়োজনমনেকর যথাসাধ্য তাদের ডেকে নাও”

আয়াতটি নাজিল হবার পর আল-কুরানের সবচেয়ে ছোটসূরা‘আল-কাওসার’এর প্রথম দুই আয়াত কাবাশরীফের দরজায় ঝুলিয়েদেয়া হয়এবংউপরের দুই আয়াতের সারমর্ম,ছন্দ ও কাব্যের সাথে মিলরেখে সমকালীন সমগ্র আরবের কবি-সাহিত্যিক ও মুক্তমনাদেরপ্রতি চ্যালেঞ্জে রেখে তৃতীয় আয়াতটি রচনা করবার জন্য আহবান করাহয়। অবশেষে মরুভূমির সকল মুক্তমনা বুদ্ধিজীবীগণ ব্যর্থতার গ্লানিআচ্ছাদন করলে সেইযুগের আরবের শ্রেষ্ঠ কবি লবিদ অনেক চেষ্টা-সাধনার পর সূরাটির ছন্দের সাথে মিল রেখে তৃতীয় আয়াত সংযোগকরে ক্ষান্ত হন-
“ইন্নাআ’তোয়াইনাক্বালকাওসার
ফাসাল্লিলিরাব্বিকাওয়ানহার
লিইছাহাজামিনকালামিলবাছার”

কবি লবিদ কর্তৃক ‘লিইছাহাজামিনকালামিলবাছার’ এই বাক্যটির অর্থহল- “নিশ্চই ইহা মানব-রচিত বানী নয়” -যদিও তার বাক্যটি ১৯এরশৃঙ্খল ধরে রাখতে সক্ষম হয়নি, তথাপিয় তিনি এটা স্বীকার করতেবাধ্য হয়েছিলেন যে “নিশ্চই(কুরআন)ইহা মানবরচিত বানী নয়।”
পরিশেষে আমরা আবারও মুক্তমনা-বুদ্ধিজীবী সাহেবদের প্রতি চ্যালেঞ্জে ছুঁড়ে দিলাম-
ওহে অবিশ্বাসীগণ! যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে কুরআনের অনুরূপ ১৯ এর বিস্ময়কর শৃঙ্খল সংবলিত আরবিতে অন্তত একটি সূরা রচনা করে দেখাও এবং তোমাদের প্রয়োজনে পৃথিবীর সকল ডকিন্স কিংবা হকিন্সদের সমবেত কর। তারপরও যদি ব্যর্থতায় নিমজ্জিত হও তবে আজই মহাবিশ্বের প্রজ্ঞাময় প্রভু যাকে তন্দ্রা বা নিদ্রা স্পর্শ করে না যিনি দৃশ্য ও অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান রাখেন সেই মহিমান্বিত সত্ত্বার নিকট আত্মসমর্পণ করে সিজদায় নতজানু হও।


সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৩
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×