সেদিন আর বেশী দুরে নেই। ছাত্রলীগ শিবিরের সমস্ত গুনাবলি নিয়ে মাঠে নাববে। পাবনার জামাত শিবিরের বিরাটা একটি অংশ ইতিমধ্যেই ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছে মিষ্টিমুখে তাদের বরন পর্বও শেষ। এধরনে সংবাদ হয়তো আগামী দিনগুলোতেও আমাদের আরো শুনতে হবে। এটাই শক্ত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জেতার সবচাইতে সহজ কৌশল। শত্রুকে দুর্বল করতে হলে শত্রুবুহ ভেদ করে ওদের বিশ্বাস অর্জন করে পেছন থেকে ছুরিটা পুরোপুরি বিধিয়ে দিতে হয় পৃষ্ঠদেশে। ইতিমধ্যে গনজারন মঞ্চ দুটো ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের অহংকার তাদের পতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটা আসলে কি সেটার সঙ্গা র্নিধারন করতে আওয়ামী লীগ বার বার ব্যার্থ হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ইসালমীকারন করে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে ডুবিয়েছে। বাঙ্গালী জাতী, দেশ , মা, মাটি সবার সাথেই আওয়ামী লীগ বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ক্ষমতা, রাজনীতি ও মৃত্যুচিন্তাকে একত্রিক করে আওয়ামী লীগ সব গুলিয়ে ফেলেছে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। চিরস্থায়ী হয় মানুষের কল্যানের জন্য সার্বজনিন কিছু আর্দশের বাস্তবায়ন করা। যা বঙ্গবন্ধু করতে চেয়েছিলেন বলেই তাকে আকালে প্রান দিতে হয়েছিল ধনিকশ্রেনী ও ধর্মব্যাবসায়ীদের হাতে। শেখ হাসিনা সব বুঝেও না বোঝার ভান করে বাংলাদেশটাকে গোপাল গঞ্জ বানিয়ে ফেলতে চাইছেন। তিনি হয়তো ভাবছেন দেশটা গোপাল গঞ্জ হয়ে গেলেই মানুষগুলো আপসে আপ বদলে যাবে। জামাত বিএনপির বর্তমান ছল তিনি মোটেই উপলদ্ধি করতে পারছেন না।
আওয়ামী লীগ কি একটিবার ভেবে দেখবে না কেন এমন হচ্ছে। কেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাগুলি এভাবে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও বাঙ্গালীজাতীয়তাবাদ এর বাইরে বাংলাদেশের আর কোন পরিচয় থাকতে পারে না। সৃষ্ট্রিকর্তার কাছে কেকি জবাব দেবে সেটা সেই সেই মানুষগুলির উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।