আমাগো থানার নাম অবুজবাগ। থানার বড়বাবুর নাম হাাবুলমিয়া। লম্বা চওরা আর গায়ের রং ফর্শ। তবে মাথায় গোবরে ঠাসা। লম্বা মানুষের বুদ্ধি নাকি হাটুতে থাকে, তাই তার বুদ্ধিও হাটুতেই। আসলে পুলিশে চাকরি করতে হলে বুদ্ধির খুব একটা দরকার হয় না। মিথ্যাকথা, ধমক আর সিনিয়ারদের জী হুজুর করতে জানলেই চলে। গুনের মধ্যে সীমার মার্কা পাষান হতে হয়। চোখের সামনে কেউ মরে গেলে, পুলিশ শুধু কাপড় দিয়ে ঢেকে ময়না তদন্তে নিয়ে যাবে। সহনুভুতি, সহমর্মিতা, মায়ামমতা বা ভালবাসা পুলিশের ডিকসেনারীতে থাকতে নেই।
হাবুল মিয়ার চ্যালাগুলিও এক একটা রত্ন। দারোগা গুলি মানুষ কম জন্তুর স্বভাবই বহন করে বেশী। তাদের কোন পরিবার পরিজন থাকে না। আসামী আর টাকা ছাড়া তারা কিছুই বোঝেন না। সমস্ত বাংলাদেশ পুলিশের অবশ্য এই একই অবস্থা। টাকা ছিটাতে পারলে আইন মানার কোন দরকার নেই আপনার। আইনই বরঞ্চ আপনাকে সমীহ করে চলবে। এই পুলিশ দিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে না লাগিয়ে বরঞ্চ বাংলাদেশের প্রতিটি বনাঞ্চলে এদের কাজে লাগিয়ে দিলেই বনাঞ্চল গুলি এতদিনে ফর্শা হয়ে যেত। বাংলাদেশ পেত বিস্তির্ন সমভুমি অঞ্চল। অধিক জনসংখ্যার চাপ থেকে সরকার পেত অনাবিল শান্তি।
অবুজবাগ থানার আবার একজন রাজনৈতিক কর্মকর্তাও আছেন। তার নাম সামীম। হোদল কুতকুত টাইপের চেহারা। বেটে খাটো মজবুত উনি আওয়ামী লীগের সভাপতিও বটে। এটা প্রচলিত একটি নিয়ম। তিনি মুলত ব্যাবসায়ী তাই লাভ ছাড়া কিছুই বুঝতে রাজী নন। এলাকায় তার পছন্দের মানুষ গুলি সবই বিএনপির তিনি তাদের দিয়েই এলাকার দেখভাল করেন। তৃন মুলের আওয়ামী কর্মিগুলান উপেক্ষিত। তার যুক্তি হচ্ছে যোগ্য লোককেই যোগ্য পদটি দিতে হবে। এখানে বিএনপি আওয়ামী লীগ দেখলে দেশ এগুবে না। বাবা, ইয়াবা বা অবৈধ বিভিন্ন ব্যাবসা চলছে সমানে হপ্তার বিনিময়ে। শ্রেনীমতো যার যার হিস্যা ঠিকই পেয়ে যান। এই হাবুল মিয়ারা আবার এই রাজনৈতিক কর্মকর্তার কথার বাইরে পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেন না এর বর্তায় ঘটলেই বদলি। হাবুল মিয়ারা ক্ষমতাশীনদের দম দেয়া পুতুল বই আর কিছুই নয়। নিরীহ জনগন প্রতিনিয়ত এদের দ্বারা র্নিজাতিত হচ্ছে। দেশে এই ডুয়েল গেম চলে আসছিল, বর্তমানে চলছে, ভবিষ্যতেও চলবে।