গত পর্বে অংশগ্রহণকারীদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।
না বলা কথা
এস এম কায়েস
মাসুম আহমদ ১৪
ঢাকাবাসী
মহামহোপাধ্যায়
মৌমিতা আহমেদ মৌ
সুমন কর
কয়েস সামী
বোকা মানুষ বলতে চায়
সেলিম আনোয়ার
স্বপ্নবাজ অভি
বোধহীন স্বপ্ন
মাহমুদ০০৭
এ্যাপোলো৯০
মামুন রশিদ
প্রিন্স মাহমু দ
অশ্রু কারিগড়
আদনান শাহ্িরয়ার
সমুদ্র কন্যা
সাদা আকাশ
এই পর্বে অনেকেই সঠিক জবাব দিয়েছেন। সর্বপ্রথম জবাব দিয়ে বিজয়ী হয়েছেন এস এম কায়েস ভাই। আপনার জন্য স্পেশাল ধন্যবাদ। সাথে গোল্ড ট্রফি।
চলুন তাহলে নতুন গল্প শুরু করি।
ছোটগল্পঃ নেকলেস চুরি আর মিসির আলী চাচার খুন রহস্যভেদ
আজ একটি বিশেষদিন। সবাই প্রিয়তমার জন্মদিন পালন করে বিশেষভাবে। আর আমি পালন করি লাবন্যকে যেদিন ফ্রান্স এয়ারপোর্টে দেখেছিলাম সে দিনটি। কারণ-সেদিন যদি আমি ওকে না দেখতাম-তাহলে ও কবে জন্ম হলো , কীভাবে বেড়ে ওঠলো, কেমন করে রাবিন্দ্রিক মেয়ে হলো তার কিছুই জানতামনা।
সলোমন ব্রাদার্সের সামনে গাড়ী পার্ক করে আমি ডায়মন্ড স্টোরের ভিতর ঢুকলাম। ওরা আমার অর্ডার রেডি করে রেখেছে। নেকলেসের প্যাকেটটি নিয়ে বিল পরিশোধ করে আমি গাড়ীতে ফিরলাম।
ঠিক সেসময়েই চোখে পড়লো গাড়ীর রিয়ারভিউ মিররে সেদিন রাতের সেই সেক্স প্রিডেটর লোকটিকে। লোকটি কি তবে আমাকে ফলো করছিলো।
ওয়ান লাস ভেগাস টাওয়ারের ২১ তলায় লাবন্যর ফ্লাট। ১ বেডরুম, ১ বাথরুম, ১ ড্রয়িং রুম, কিচেন আর বেডরুমের পাশে একটা ক্লোজেট।
শুধুমাত্র সামনের দরজা দিয়েই ফ্লাটে ঢুকতে হয়। ফ্লাটের অন্য কোথাও প্রবেশের আর কোনো দরজা নেই। জানালাগুলো দিয়ে কারো প্রবেশ দুঃসাধ্য। বুলেট প্রুফ দরজা। হাতুড়ি দিয়ে একটানা পিটিয়ে গেলেও দরজা,জানালা ভাঙার কোনোও সম্ভাবনা নেই।
এই ফ্লাটের মালিক মিঃ পিটারসন একটু ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন আগের আমলের। ফ্লাটের দরজায় তালা লাগানো থাকে। যার যার নিজস্ব তালা। যে তালার শুধুমাত্র ২টাই চাবি। আর কোনো ডুপ্লিকেট চাবি নেই। পৃথিবীর কোনো মাস্টার কি দিয়েও এ তালা খুলা যাবেনা।
আমি লাবন্য'র ফ্লাটের সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল টিপলাম। রাবিন্দ্রিক মেয়ে যেন এডেনের পরী হয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
লাবন্যর গলায় দারুন মানিয়েছে নেকলেসটি। কী অপূর্ব ।
লাবন্য আর আমি লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি।
হঠাৎ লাবন্য বললো-
আমাদের ফিরতে কি অনেক রাত হবে? বেশী রাত হলে এসব পরে বের হবোনা। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে- এ নেকলেসটি খোয়া যাবে।
তোমার ইচ্ছা। আমার চোখে তোমাকে দেখা হলো। ফুলের গলায় ফুল দিতে হয়না। ফুলতো এমনিতেই সুন্দর। তুমি চাইলে খুলে আসতে পারো।
লাবন্য তালা খুলে ফ্লাটে ঢুকলো। কিছুক্ষণ পর ভিতর থেকে ডাকলো।
বললো- একটু দেখতো ।চোখে যেন কি পড়েছে।
আমি দেখলাম। লাবন্যর চোখের গভীরে আরো গভীরে দেখছি। নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হচ্ছে।
বললাম, নাতো কিছুই দেখছিনা।
সত্যি কিছুই দেখছোনা।
বললাম- ভালোবাসার এক সমুদ্র দেখছি। যেসমূদ্র জলে আমি আকন্ঠ ডুবে আছি।
লাবন্য বললো- আসলেই চোখে কিছু পড়েনি। এমনিতেই তোমাকে ডেকেছি।তোমার কাছ থেকে একথাটি শুনতে বড় ভালো লাগে ।
কিছুক্ষণ পর ঘরের ভিতরে ভালোভাবে চেক করে, সবকিছু ঠিকঠাক দেখে দরজায় ঝুলানো তালা বন্ধ করে চাবি নিয়ে আমি আর লাবন্য নীচে নামলাম।
ও এখানে আরেকটি কথা বলে রাখি। একদিন ভোরে মরনিং ওয়াক সেরে মনে করলাম লাবন্যর বাসা হয়ে যাই। দেখি সেই ডাক্তার লোকটি লাবন্যর বাসায় সামনে দাঁড়িয়ে আছে। হুট করে কেন যেন মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। মেজাজ খারাপ থেকে কথা কাটাকাটি। নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে দিলাম নাক বরাবর এক ঘুষি লাগিয়ে।
লাবন্য বললো- কি ব্যাপার কি হয়েছে।
ওকে কিছুই বললাম না। কিছুক্ষণ বসে তারপর নীচে নামলাম।
লাবন্য আর আমি এ এম সি থিয়েটারে আয়রন ম্যান ছবিটি দেখে বারমাসা'র ডীনার শেষ করে ওর ফ্লাটে আসলাম। লাবন্য চাবি দিয়ে তালা খুললো। তারপর ঘররে লাইট অন করতেই চীৎকার। মেঝেতে পড়ে আছে ডাক্তার লোকটির মৃতদেহ।
আমার কেন যেন মনে হলো- ঘর থেকে আরো কিছু হয়তোবা খোয়া গেছে। জুয়েলারি বক্স বের করলাম- যা চিন্তা করেছিলাম তাই। লাবন্যর ডায়মন্ডের নেকলেসটিও নেই।
যেহেতু শুধুমাত্র লাবন্য আর আমার কাছেই তালা'র চাবি আছে। আর ডেডবডি পাওয়া গেলো ঘরের ভিতরে, তাই নিশ্চিত পুলিশ আমাকেই সন্দেহ করবে।
কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসলো। সিসিটিভি প্লে করে দেখলো- শুধুমাত্র ডাক্তারে সাথে আমার কথা কাটাকাটির আর ঘুষি মারার অংশটিই আছে। এর পর আর কিছুই নেই। ঘরের দরজা, জানালা, তালা সব কিছু ঠিক । কোনো কিছুতেই কোনো আচড়ও নেই।
বাঁচার কোনো উপায় নেই। লাবন্য মিসির আলি চাচাকে ফোন করলো।
চাচা সব শুনে পুলিশকে খুন আর নেকলেস চুরির ব্যাপারটি বুঝিয়ে বললেন।
এখন আপনাদের বলতে হবে - মিসির আলি চাচা কীভাবে মূল রহস্য বের করলেন।
গুডলাক।
হিন্টস দিয়ে দেইঃ মূল জিনিসটা বের করতে হবে তালা লাগানো দরজা বন্ধ ঘরের ভিতর ডেডবডি আসলো কেমন করে? আর গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে ক্লু পেয়ে যাবেন খুব সহজেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৫৯