somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

(Reader discretion advised- সতর্কতার সাথে পড়ুন।স্পর্শকাতর ব্যাপার রয়েছে। ধন্যবাদ।)

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



(Reader discretion advised- সতর্কতার সাথে পড়ুন।স্পর্শকাতর ব্যাপার রয়েছে। ধন্যবাদ।)

আগামী এক বছরের মধ্যে পুরো দেশ প্লাবিত হবে।কালো মেঘে ঢেকে যাবে আকাশ । ঝড়, সাইক্লাণ,টর্নেডো,তুমুল বর্ষণে মাটির কোনো নিশানা থাকবেনা। মানবমাংস বলতে থাকবেনা কোনো কিছুর অস্তিত্ত্ব-এতটুকু বলার পর শ্রষ্ঠা বললেন, নূহা তোমাকে ১ বছর সময় দেয়া হলো । তুমি অতি দ্রুত নৌকা তৈরী করো।

ঠিক ১ বছর পর।
-পুরো দেশের ওপর ঘনকালো মেঘ। সমূদ্রে শোঁ শোঁ গর্জন শুরু হয়েছে। আকাশে বিদ্যুতের চমক। বাড়ছে বাতাসের গতিবেগ।বিক্ষুদ্ধ মেঘের ঘনঘটা। সে এক ভয়াল অবস্থা। আর নূহা কর্ণফুলী নদীর পাশে পাথরের ওপর বিধ্বস্ত হয়ে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন।

শ্রষ্ঠা প্রবল রোদ্ররোষে বললেন- কী ব্যাপার নূহা? তোমার নৌকা কই?
ক্ষমা করুন হে দয়াময়। আমি বড়ই লজ্জিত। আপনার আদেশ পালনে আমার চেষ্টার কোনো ত্রুটি হয়নি।

বাতাস আরো জোরে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্ধকার খুবই ভয়ঙকর আকার ধারণ করছে।ভারী হচ্ছে আকাশে মেঘ। যেকোন সময় ঝুমঝুম করে আকাশ ভাঙ্গা বৃষ্টি নামবে।

শ্রষ্ঠার হুঙকারে তটস্ত নূহা। বললেন-ব্যাপার কি? জানতে চাই,তোমার নৌকা কই?

আমি সব বলছি হে দয়াময়।
প্রথমে আমি কাঠের অন্বেষণে গেলাম। বনে ঢুকতেই বনবিভাগের কর্মচারীদের বাঁধার সম্মূখীন। জিগ্গাসা করলো- কীসের জন্য এতো কাঠের দরকার। পাশ আছে কিনা। তারপর ওদের অফিসে বেশ কয়েকদিন ঘুরে পাশ নিলাম। কীভাবে নিলাম। সেটা আপনাকে আর না বলি। বলতে নিজেরই লজ্জা লাগে।

এরপর প্রথম চালানের কাঠ গাড়ীতে বোঝাই করে রাস্তায় নামতে না নামতেই সরকার দলীয় ক্যাডার বাহিনীর সম্মুখীন।

শ্রষ্ঠা খুবই রাগান্বিত হলেন। বললেন- সরকারী চাকুরীতে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ পাওয়া ক্যাডাররা চাকুরী না করে রাস্তায় কী করে?

হে প্রতিপালক, এরা ঐ ক্যাডার না। এরা অন্য ক্যাডার। এই ক্যাডারদের কাছে আপনি যে ক্যাডার বুঝাচ্ছেন -তারা কিছুই না। এর সঠিক বাংলা শব্দ এখনো বের হয়নি। ওরা ট্রাক ভর্তি কার কাঠ জিগ্গাসা করে জানতে চাইলো লীডারের পারমিশান আছে কিনা?

বললাম, বনবিভাগের পারমিশান আছে।
একথা শুনেই ওরা হোহো করে হেসে ওঠলো। এমন রসের কথা যেন ওরা এই জিন্দেগীতে শুনেনি।

তারপর চিলা ইন্দুরের মতো কুইকুইচ্যা গাড় ত্যাড়া কুদ্দুস সামনে এসে বললো-লীডারের পারমিশান ছাড়া কাঠের গাড়ী একচুলও সামনে এগোবেনা। আবে, ঔ খইল্যা-টেরাকের চাক্কা ফুটা কর।

শ্রষ্ঠা একটু বিরক্ত হলেন। বললেন-কিছুক্ষণ আগে বললা ক্যাডার। এখন আবার বলো -গাড় ত্যাড়া এটা আবার কি?
এটা হলো ওদের ওপাধি। এই দেশে কারো চরিত্রের সাথে , কারো কামের সাথে কারো নামের মিল না থাকলেও এই একটা ক্ষেত্রে ওদের কামের সাথে নামের দারুন মিল আছে। আহারে খলীফা ওসমান, জয়নাল আবেদীন,নিজাম উদ্দীন কত সুন্দর নাম ছিলো। কিন্তু এমন নাম নিয়া এই দেশে এখন কতজনতো বড় বড় গড..

নূহা তুমি থামো। কি যে বললা গড।
গড মানে কি? এখানে আবার গড আসলো কোথ্থেকে ---
মাপ করবেন। এরা অন্য গড, মানে লোকাল গড, রাজনৈতিক গড। কেউ আবার বিটলামি করে উনাদের গোট বলা শুরু করেছেন।

আচ্ছা বুজেছি। তারপর কি হলো বলো।

আকাশে প্রচন্ড মেঘ মাল্লার গর্জন। মেঘে মেঘে সংঘর্ষ কিছুক্ষণ পরপর ঝিলিক দিয়ে ওঠছে।

আমি বুঝলাম। ওনারা পারমিশান বলতে কি বুঝাচ্ছেন। বলতে লজ্জা লাগে। কিন্তু কি আর করা। ওনাগো খুশী করে গাড়ী নিয়ে শহরের প্রবেশ মুখে ঢুকতেই আবার আরেক বাঁধা।

ইনি হলেন সার্জেন্ট। কারেন্টের চেয়েও দ্রুতগতি, তড়িতের চেয়েও করিৎকর্মা।উনি সামনে এসে হাজির হলেন। সব কাগজপত্র উনাকে দেখালাম। উনার কিছুতেই মন বসলোনা। তারপর, কি আর করা। সেই আগের মতো- গোপন চুক্তি হলো, আর আপনার এই অসহায় বান্দার আরেকবার মুক্তি মিললো।

ভাবলাম,এবারতো কিছু খেতে হবে। গতএকমাসে বলতে গেলে না খেয়েই আছি।একটা বেশ ভালো রেস্টুরেন্ট দেখে ক্ষিদা যেন চেগিয়ে ওঠলো। মোরগ, খাসী আর ডিম দিয়ে বেশ ভালো করে খেয়ে আবার রাস্তায় নামলাম। শরীর থেকে দরদর করে ঘাম বের হচ্ছে। কাঠের প্রথম চালান নিতেই এ ত্রাহি অবস্থা।শরীর একটু ঠান্ডা হওয়ার জন্য এক গ্লাস তাজা ফলের রসও টেনে দিলাম।

এমন সময় দেখি পত্রিকার হকার। এ কয়দিন দেশের আর কোনো খবর নেয়া হয়নি।

পত্রিকার শিরোণাম দেখেই মাথা চড়কির মতো ঘুরে ওঠলো।
"শহরের রেস্টুরেন্টগুলো মরা মোরগ, গরু,ছাগলের মাংস দেদারসে বিক্রি হচ্ছে।
বিষাক্ত ফরমালিন যুক্ত ফল নানা ক্যামিকাল রঙ মিশিয়ে জোস হিসাবে বিক্রি"-

ইয়া খোদা, নাজানি কি হারাম জিনিস এই কিছুক্ষণ আগে পেটের ভিতর গেলো। শরীরের ক্ষতি হয় হোক। কিন্তু মরা মোরগ, গরু,ছাগলের মাংসতো পুরাই হারাম । ফরমালিন তবে হালাল হবে নাকি হারাম হবে জানা নেই। না জানি কি জিনিস পেটের ভিতর ঢুকলো। রহম করো মেহেরবান> এসব চিন্তা করতে করতে আর পেটের ভিতর ড্রামের আওয়াজ শুনতে শুনতে গাড়ীতে এসে বসলাম।

সবেমাত্র গাড়ী চলতে শুরু করেছে। এমন সময় দেখি গাড়ীর সামনে ক্যামেরা, মাইক্রোফোন নিয়ে আরেক বান্দা হাজির। না জানি ইনার আবার কোন ধান্দা। নামতে বলার সাথে সাথেই নামলাম। বললেন- সুন্দরবন ধ্বংস করে এতোগুলো কাঠ কোথায় নেয়া হচ্ছে।
আমি বললাম- আপনি আবার কে ভাই? দুঃখিত চুল ছোটতো তাই ভাই মনে করেছিলাম। চেহারা দেখে এখন মনে হচ্ছে বোনই হবেন।

বললো- আমাকে চিনোনা। আমি দেশের একজন অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিক । সাংবাদিকরা কেঁচো খুড়ে ক্যাচাল বের করে, আর আমি রানা প্লাজা খুঁড়ে ম্যাকাপ নায়িকা বের করি। তা সুন্দরবন এভাবে ধ্বংস করছেন কেন বলেন?
এখানে সুন্দরবন কই পাইলেন? এটাতো রাঙামাটি বনের কাঠ।

হাহাহহাহা। সেম জিনিসইতো হলো। আগেই বলেছিলাম না-আমি একজন অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিক। তাই এটা সুন্দরবন থেকে মেরে দেয়া কাঠ -আমি প্রমাণ করবোই।

বিশ্বাস করেন- একথা শুনার পরপরই আমার শুধু বারবার মুসা'র কথা মনে হচ্ছিল। এভারেস্টের মুসা না। ফেরাউনরে যে একটা জোরে চটকানা মেরেছিলো সেই মুসা।-ইস যদি এরকম করে একটা মারতে পারতাম-একেবারে কানচাবা বরাবর। কিন্তু নারী অধিকার বলে কথা ।কি জানি আবার কি হয়/ তাই ধৈর্য্য নিয়ে সহ্য করে উনার কথা শুনে গেলাম।

উনি বলা শুরু করলেন-
রাঙা মানে কি? নিশ্চয়ই সুন্দর। আর বন ঐ খানে যা সুন্দরবনেও তা।
তাই রাঙামাটির বন আর সুন্দরবনের বন-একইতো হলো। বলেই উনি হাত দিয়ে জুটা করে উনার খাটা চুলের মাঝে একটি দেখার মতো পাউলি খেলালেন।

বুঝলাম আমার ওপর ঘা বাড়তেছে। সাংবাদিকতো সাংঘাতিক তার ওপর যদি হয় নারী সাংবাদিক তাহলে এই ঘাতো ডিজিটাল ক্যাল দিয়েও হিসাব করা যাবেনা। তাই এবার একটা বড়দানে আপোষে আসলাম।

প্রথম কাঠ চালানের কাহিনী এখানেই শেষ করি। এভাবে ছয়মাস কাঠ চালান আনতেই কী পরিমাণ হুজ্জুতি যে গেছে-ইয়া মাবুদ।

সবকিছু গুছিয়ে এবার কাজ শুরু করে দেবো। সময় আছে আর মাত্র ছয়মাস।

পরদিন ভোরেই আপনার নাম নিয়ে কাজ শুরু করবো বলে ঘর থেকে বের হলাম। দেখি কয়েকজন- দরজার সামনে। নয়া মুসিবত হাজির হলো। বললো- এতোবড় কাজ কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে হচ্ছে? আর ইন্জীনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের নকশাঁ'র অনুমোদন নেয়া আছে কিনা?

পড়লাম মহা ফ্যাসাদে। শুরু হলো ফাইল চালাচালি। এই বিল্ডিং থেকে ঐ বিল্ডিং এ পাঠায়। দশতলা থেকে তিন তলায়, আবার তিন তলা থেকে সাত তলায় লেফ্ট রাইট।কিন্তু নকশাঁ আর পাশ হয়না। ঐ দিকে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। জমিনের ওপর রাখা সব কাঠ তাদের নিজের তাগিদে পচতে শুরু করেছে। ঠেকাতো আমার। ওরা পইচা মইরা গেলেই বেঁচে যায়। এই দুনিয়ায় কিছু বান্দাদেরও সেই গতি । মরতে পারলেই বেঁচে গেলো। আর বেঁচে থাকলেই মরে গেলো।

বিল্ডিং এ দৌড়াদৌড়ি করে ঘরে ফিরতেই পেলাম একটা খাম। স্থানীয় সংগঠনের একটা বিশেষ দিবস উদযাপনে আমার উপরে বিশেষ চাঁদা ধার্য্য করা হয়েছে।

পুরা মাথায় হাত। সময় ফুরিয়ে আসছে। বলতে গেলে নিজের কাছেই পাত্তি শর্ট। একসপ্তাহ অপেক্ষার পর। সাণ্গ পাঙগ নিয়ে সংগঠনের সভাপতি হাজির। এবার একেবারে ডাইরেক্ট থ্রেট। ১ দিনের মধ্যে চাঁদা না পেলে কাঠে আগুন লাগবে। আর যাওয়ার আগে ১টা পুচকা পোলা দাড়ি ধরে কিভাবে যে হেচকা টান দিয়ে গেলো সেকথা আর না বাড়াই।এমনিতেই কিতাবের পৃষ্ঠা বড় হয়ে যাচ্ছে।

আচ্ছা,অনেক শুনলাম। কিন্তু এমন করে কাঁদছো কেন বলো?
সেটা হলো আরো করুন। এর মধ্যে শুরু হলো আরেক ঝামেলা। একদল হুজুর বলেন -এটা পুরো নাফরমানি। এরকম কোনো আদেশ হতে পারে না।
আরেকদল বলেন- কাঠ সব দান করে দিয়ে তাওবা পড়তে হবে নতুবা মুরতাদ ফতোয়া জারি হবে, কল্লা কাটারও ফতোয়া আসতে পারে। এইখানে আপনাকে একটা কথা না বলে পারছিনা। ইশারা দেনতো বলি।

কেউ কাউকে গালি দিলো- তখন মুরুব্বিরা বলে -মাপ করে দাও এটা আল্লাহ দেখবে।
কেউ কারো হক মেরে খেলো- ঠিকই মুরুব্বিরা বলে- মাপ করে দাও -আল্লাহ বিচার করবে।
কেউ কাউকে নাজেহাল করলো- একই বিচার - মাপ করে দাও আল্লাহ আছেনা। উনি এর বিচার করবেন।

কিন্তু কোনো বেশ্যা যখন ( ইয়া মাওলা রাগের মাথায় কি বলে ফেললাম) ধর্মের ওপর ক্ষেপে যায় তখন হয় একে কতল করো, না হয় দেশ ছাড়া করো। তখন আর বিচার হুজুররা আল্লাহর ওপর ছেড়ে দেয়ার অপেক্ষা করেননা। গর্দান কাটো আর স্বর্গ ঢুকে পড়ো। আর এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে একেবারে বাগোয়াস কত চটি লেখক /লেখিকা আন্তর্জাতিক সিদ্ধি বাগিয়ে নিলো।

বুঝলাম।তা তুমি কাঁদছো কেন? নৌকা কি একেবারেই তৈরী হয়নি।

আপনিতো সব কিছুই জানেন।

নৌকা বানানোর ফাইল ছয়মাস ধরে লাল ফিতায় বন্দি হয়ে আছে।
স্থানীয় সাংবাদিকদের নতুন করে চাঁদা না দেয়ায় কাঠের স্তুপের ভিতর চোরাচালানীর মাল রেখে দিয়ে সেটার ছবি তোলে আজকের পত্রিকায় বিরাট রিপোর্ট ছেপেছে। কিছু না বলে পিকনিক পার্টি অনেক কাঠ ওদের গাড়ীতে করে নিয়ে গেছে। কিছু কাঠের পচন ধরেছে। নানারকরম হুমকি ধামকি চলছে।এর ওপর আবার,স্থানীয় দুগ্রুপের ব্যাপক মারামারিতে কিছু কাঠে আগুন লাগিয়েছে -এখানে আসার আগে টিভিতে দেখলাম এ ব্যাপারে দুজনের মাঝে ব্যাপক কথা কাটাকাটি হচ্ছে। একজন আরেকজনকে নগদে গুম করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এই ফ্যাসাদে পড়ে কি করি আপনিই বলেন।

এসব কথা শেষ করতে না করতেই দেখি আকাশ পরিস্কার। ধীরে ধীরে মেঘ কেটে যাচ্ছে। বাতাসের গতি আর তেমন একটা নেই। ঝড় বৃষ্টি যেন থেমে গেছে অকস্মাত।নীরব, শান্ত, সুন্দর হয়ে আসছে প্রকৃতি।

বললাম, ইয়া মাবুদ। ঝড় থেমে গেলো, মেঘ কেটে গেলো। আর কি তবে প্লাবন হবেনা। দেশ ধ্বংস হবেনা?

শ্রষ্ঠা বললেন- দেখো নূহা- আমি চাইলে সৃষ্টি করি, চাইলে ধবংস করি।আবার ধ্বংস হয়ে যাওয়া কোনো কিছুকে চাইলে নতুন করে সৃষ্টিও করি। তবে যা একবার ধ্বংস হয়ে গেছে, তা কে আবার নতুন করে ধ্বংস করিনা। ধ্বংস হওয়া জিনিসকে নতুন করে গড়া যায়, কিন্ত যা ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে-তা কে নতুন করে ধ্বংস করার আর কোনো দরকার আছে বলে আমি মনে করিনা। তোমার কাছ থেকে যা শুনলাম এখানে আর ধ্বংস করার মতো কিছু অবশিষ্ট নাই।

এমন সময় শুনি চীৎকার চেচামেচি। কান খাড়া করে শুনার চেষ্টা করলাম। মায়ের গলার আওয়াজ।কি সকাল থেকে নুহা, নৌকা,ধ্বংস, সৃষ্টি শুরু করেছিস। এতো ডাকা ডাকছি, ঘুম ভাঙ্গার কোনো লক্ষণ নেই। ছুটির দিনে দেরীতে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস আর ছাড়তে পারলিনা।

তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠে ভুলে যাওয়ার আগে পুরো স্বপ্নটা নিজের ডায়েরীতে লিখে রাখলাম। একবার মন চাইলো ব্লগে অথবা ফেসবুকে স্ট্যাটাস হিসাবে লিখি, অথবা পত্রিকায় পাঠিয়ে দেই। আবার চিন্তা করলাম, দূর এসব লিখে লাভ কি হবে,খামোখা ঝামেলায় জড়ানো। এর চেয়ে বরং ভালো, ছুটির দিন আরেকটু বিছানায় গড়িয়ে নেই।
২৪টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×