দু'চোখের জল তখন অশ্রুধারায় রক্ত ঝরিয়েছে।স্মৃতির ধুলো তাতে তৃষ্ণা মিটিয়েছে।আমার একলা আকাশ উপুড় হয়ে আমারই মাথায় চেপেছে।অভিমানী জোসনা তখন জোনাক-জলা হলকের বদলে, কেবলই আঁধার ছড়িয়েছে-আমার বিরান পথচলায়।তখন ঝলমলে শহরের ক্লান্ত ল্যাম্পপোস্ট -আমাকে সান্ত্বনার বদলে কেবল তাড়নাই দিয়ে বলত-পথিক এখন অনেক বাকী,পথের...।ফাগুনের ঘুম ভেঙ্গে যায়,দেখা নেই বসন্ত আমার।এমনই এক সময়,ভুলে যাওয়া ভাঙ্গা আয়নায় -ভেসে উঠে তোমার ছবি।আমি চমকে উঠি।এতো রামধনু দিগন্ত!!!পরশ পাথরের মত হন্যে হয়ে খুঁজেছি যাকে।আশাগুলো আবার জড়ো হয় আমার জোছনার ছায়ে।মন খারাপ করে ফিরে যাওয়া জোনাকিরা -আলোর মশাল হাতে সপরিবারে হাজির হয় আমার নিকানো উঠোনে।
মৃত নক্ষত্রেরা এক এক করে জেগে উঠে তখন।বোঝা হয়ে মাথার উপর জেকে বসা আকাশটা,একজনকে মাথা তুলে দাড়াতে জায়গা করে দেয়।রক্তের অশ্রু-ধারা,আনন্দের বারি হয়ে-লুটিয়ে পরে তার পায়ের কাছে।ফাগুনের আগুনে তখন বসন্তের প্রশান্তি।
হ্যাঁ,আমার বেঁচে থাকার উৎস,নতুন দিনের আলোকিত সূর্য,সব অসুখের সুস্থতা,নিঃসঙ্গ আকাশের ঝলমলে তাঁরা,অচেনা স্বপ্নের পরিচিত আগামী-আমার একমাত্র কন্যা"কাংখিতা কিরমানী কৃতী'র"দশম জন্মদিন আজ।আজকের এই দিনে পৃথিবীতে সে এসেছিলো আমার মুগ্ধ বাঁচার সুচনায় ...।তোমাদের সম্মিলিত প্রার্থনা গুলো করজোড় কামনা করছি-ওর সমৃদ্ধ বেঁচে থাকার,সুস্থ সবল নীরোগ দেহে... !!!
কৃতী ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল উত্তরা শাখার চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ছে।আমার জীবনের বাস্তব মিনা আজ সত্যিই বড় হচ্ছে।সারাক্ষণ উৎকণ্ঠায় থাকি,সচেতনও ...।ওর স্বর্গীয় বিদ্যাপীঠে পরিমলরুপী পিচাশদের অনুপ্রবেশ রুখতে।মেয়ের এই দশম জন্মদিনে আপনাদের মনোযোগ আহ্বান করছি ...
শুনছেন,
মিনারা বড় হচ্ছে...
তারা যে স্কুল বা কলেজে পড়বে সেই স্কুল-কলেজে কোন পরিমলের আবির্ভাব ঘটেছে কি-না
সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কিন্তু আপনার আমার সবার...
কাংখিতা কিরমানী কৃতী
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০