প্রথমেই আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই আমাদের আজকের অতিথি, চরম দুঃখের কবিতার জনক জনাব বায়বীয় রহমানের সাথে। বেশি ক্যাচাল না বাড়িয়ে আসুন আমরা আমাদের সীমিত জ্ঞানকে একটু শানিত করার প্রয়াশ চালাই।
সামুঃ কেমন আছেন?
বায়বীয়ঃ "অদৃশ্য আধার আমার শিরায় শিরায়
তেলপোকার আহার আমার দুঃখের খামার।" জি ভাল আছি।
সামুঃ আজকাল কি লিখছেন আর কেন লিখছেন?
বায়বীয়ঃ কলম আমাকে নেশার মত কাছে টেনে নেয় ঘুমুতে দেয় না খাতা না পেলে আমি প্রিয়ার শাড়িতে লিখি আমার দুঃখগাথা।
সামুঃ বলেন কি তা আপনার প্রিয়া অভিমান করে না?
বায়বীয়ঃ অভিমানী প্রিয়া আমার ছেড়ে গেছ বহুদূর
বহুকাল আগে, ফিরে পাওয়ার আশা নিবু নিবু প্রদিপ তবু মাঝেমাঝে জাগে।
সামুঃ যদি বলা হয় আপনার সেরা কবিতাটি আমাদের পাঠকের সামনে তুলে ধরতে তা হলে আপনি কোন কবিতাটি তুলে ধরবেন?
বায়বীয়ঃ "প্রিয়া বাতাসী, তুমি আছ মোর হিয়ায়,
আমায় অস্থি মজ্জায়, আছ ধড়ফড় করা বুকে,
আছ প্রবল তৃষ্ণাভরা হৃদয়ের মনিকোঠায়" আরো আছে তবে এ মুহুর্তে মনে পড়ছে না আসলে দিনরাত লিখে চলেছি। গাদায় গাদায় খাতা বস্তাবন্দী হয়ে পড়ে আছে প্রকাশের অপেক্ষায়। ওগুলো যথাযথ দাড়িকমা সহকারে প্রকাশিত হলে সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ নিশ্চিৎ আমার।
সামুঃ অবসরে আপনি কি করেন?
বায়বীয়ঃ লিখি আর লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমাই, আহার করি, বাথরুম.......
সামুঃ আপনার ভবির্ষ্যত পরিকল্পনা কি?
বায়বীয়ঃ একটি অমর দুঃখের কবিতা লেখা। যা পাঠে পাঠক প্রতিবার নতুন করে দুঃখ পাবে।
সামুঃ শুধু দুঃখের কবিতা কেন সুখের অনুভূতি ছড়ায় এমন কবিতা কেন লিখেন না?
বায়বীয়ঃ আসলে সুখের স্থায়ীত্ব অনেক কম। কোন সুখের ঘটনাই আপনাকে বারবার একই রকম সুখী করতে পাববে না কিন্তু দুঃখের ব্যপারই আলাদা আপনি চাইলে একই দুঃখে আজীবন বুদ হয়ে থাকতে পারেন ইনফ্যাক্ট অনেকেই তা থাকেন।
সামুঃ দারুন বলেছেন, আপনার মহামুল্যবান সময় হতে আমাদের সামন্য নসিহত করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বায়বীয়ঃ আপনাদেরকেও ধন্যবাদ। যেতে যেতে পাঠকের উদ্দেশ্যে একটি উদ্দেশ্যমূলক দুঃখের কবিতা রেখে যেতে চাই।
"আশার ভেলায় পচন ধরেছে হায়রে
চারিধারে অথৈ জল সাতার নাহি জানি
এমন মরণ মরতে হবে দেখ
সলিল সমাধি হবে পানি।"
ধন্যবাদ।।।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫