দ্বিপদী
কবিতা লিখে কত কবি হয়েছে উদ্বাস্তু,
কবিতাবৃত্তি করে পাঠকরা বলে জয়োস্তু।
রসে রসে সরস কথা বলে রসের কারবারি,
তরতম্য না বুঝে তরতর করে সদা বাড়বাড়ি।
রূপসি রূপাজীবা হলে বহুরূপী রূপোন্মত্ত হয়,
রূপকল্পের রূপ রূপায়ণে রূপিণী রূপান্তর হয়।
পিপাসায় বুক ফাটলে পানির মূল্য মূল্যায়ন হয়,
সোনা বেঙের দীর্ঘশ্বাসে বোড়া সাপের ভুষ্টিনাশ হয়।
বাস্তবে কানীন কখনও পায় না তার জন্মাধিকার,
ভাবের সাগরে ডুব দিলে সব হয়ে যায় একাকার।
ত্রিপদী
হে সাধনা তুমি কেন দুঃসাধ্য হলে?
তোমার অভাবে আমি ভণ্ড হয়েছি,
সিদ্ধাই হতে চেয়েও সাধক হতে পারিনি।
ক্লান্ত হৃদয় হারিয়ে যেতে চায় অতীতে,
স্মৃতিস্তম্ভ আছে সেই খেলার মাঠে,
স্মৃতির সাগরে ডুবলে মন হাঁপিয়ে ওঠে।
মঙ্গললাভের স্বার্থসাধনায় স্বার্থবিসর্জন,
সকালবেলার প্রতিযোগিতায় অধ্যয়নকারী,
মতলববাজ স্বভাবসংগতে হয় স্বার্থসাধন।
মাবুদ গো! ক্ষমা করো আমি তোমার গোলাম,
আমাকে দোজখে পুড়িয়ে কী এতো মজা পাবে,
আমাকে ক্ষমা করো আমি তোমাকে সেজদা করি।
চৌপদী
হে বাংলা, হে মা, তোমরা ধন্য,
অধম আমি অত্যন্ত নগন্য,
জানি আমি তবুও নিজেকে মানি ধন্য,
কারণ, মা জাত জগতে অনন্য।
আমি ভুল লিখতে বুল লিখি
ফুল তুলতে গেলে ফল দেখি,
দোল খেতে চাইলে চাঁদকে সাথে রাখি,
হাঁটতে শুরু করে ভাবি হয়েছি পাখি।
কাঁদলে মনের দুঃখ কমে রে মন,
কাঁদলে গোনাহ মাফ হয়,
কাঁদলে নোনা জলে বুক ভিজে,
কাঁদলে মনে থাকে না সংশয়।
৯/৯/২০১৭
বিষণ্ণ বাতাসে আতঙ্ক, আকাশে অশ্রু,
রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বেনারসী,
শবরীর তিরে নিথর সারস,
ডানা মেলেছে সারসী।
কিনে পড়তে চাইলে আমাজনে আছে
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১