“চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ে ধরা” এটা বাংলা প্রবাদ।
ইংলিস একটা প্রবাদ পড়েছি “Nothing is original. Steal from anywhere that resonates with inspiration or fuels your imagination.”
“It’s not where you take things from - it’s where you take them to."
“Sometime by encourage you can discourage someone.” © M.A.H
অনেকে ভাববেন হয়তো লেখা চোরকে উৎসাহিত করার জন্য এই দুই লাইন লেখা হয়েছে, আসলে প্রকৃতপক্ষে নিরুৎসাহ করা হয়েছে। সত্য চিন্তক চিন্তা করে, অন্যের চিন্তায় চিন্তিত হয়। সচ্চিন্তায় চিন্তিত হলে চিন্তক সত্যের বৃত্তে ব্যস্ত হয়। © মো.আ.হা
মা বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা প্রথম শব্দ উচ্চারণ করি। মা’র মুখের দিকে তাকিয়ে আম্মু ডাকি। বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে আব্বু ডাকি।
দিনেদিনে বেড়ে আমরা বড়ো হই। লেখাপড়া করি। অনেক বই পড়তে হয়। অনেক খাতায় লিখতে হয়। কেউ লেখক হতে চায়।
লেখালেখি করতে হলে চিন্তা করতে হয়। অন্যের কথা জানি না তবে লেখালেখি করে আমি প্রায় আত্মহন্তা হয়েছিলাম। আল্লাহর দয়ায় আমি এখন সুস্থ।
এত কষ্টের পর কেউ যদি আমার লেখা চুরি করে, তখন আমার নিশ্চয় খারাপ লাগবে।
গাড়ি, বাড়ি চুরি হলে মামলা করি। তাইলে লেখা চুরি করলে কেন মামলা করতে পারব না?
আমার সুন্দর শার্ট দেখে হুবহু আরেকজনে কিনলে তাকে আমার নকলনবিশ ডাকব। আবার এমনও হয় দুই দেশের দুই মানুষ হুবহু শার্ট পরে। তাদেরকে কিছু বলার নেই। কারণ হাজারে বিজারে সমান শার্ট বাজারে আছে। অনেক সময় দুই দেশের দুইজন দেখতে প্রায় হুবহু। অনেক যমজ আছে অবয়ব হুবহু নয়।
চুরি এবং হত্যা কখনও চেপে রাখা যায় না। হাজার বছর পরে হলেও ধরা পরে। আমি কারো নাম বলতে চাই না।
চোর আজীবন চোর। চুরি করে সম্মানী হওয়া যায় না। এখন অনেকে বলবেন, এই কম্পানি ওই কম্পানির তথ্য চুরি করেছে।
তা তাদের মাথা ব্যথা আমার নয়। আমার মাথা ব্যথার কারণ হলো লেখা চোর।
চুরি করা জঘণ্য পাপ। চোরকে কেউ পছন্দ করে না। চোরের বউকে আমরা চোরণী ডাকি। চোরের ছেলেমেয়েরা সবার সাথে মিশতে পারে না। যখন কেউ জানে অমুক চোর, অমুক চোরের ছেলে বা মেয়ে তখন আমরা সাবধান হই।
“বাজারে চোর পকেটমার আছে” কোথাও লেখা দেখলে আমরা সাথে সাথে টাকায় হাত দেই।
কেন? কারণ পকেটমারে মেরে দেবে। টাকা রুজি করতে হলে কষ্ট করতে হয়। তদ্রুপ কিছু লিখতে হলও কষ্ট করতে হয়। আজকাল ডাকাতি হচ্ছে। লেখাচোররা অত্যন্ত সাহসী হয়েছে। চুরি করে বলে তুই চোর।
মনে রাখতে হবে, চুরি করলে জাত ইজ্জত সংচূর্ণিত হয়। চোরের মনে অশান্তি থাকে। শান্তিমন্ত্র জপেও শান্তি পায় না।
সভ্য এবং ধার্মিক কখনও চুরি করে না।
তথ্য এবং প্রযুক্তিবিদ্যায় বিদ্বান হয়ে যাথা-তথ্যের জন্য চুরির মাত্রা মাধ্যম এবং সংজ্ঞা সংজ্ঞিত করতে হয়।
লজ্জায় সত্যি মাথা হেট হয়।
“চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ে ধরা” এটা বাংলা প্রবাদ।
“ছবি নেটে পেয়েছি”
লেখার স্বত্ব আছে।
অনু-প্রাণন [ anu-prāṇana ] বি. শক্তিসঞ্চারণ, প্রেরণাদান; উৎসাহসঞ্চার। [সং. অনু + প্র + অন্ + ণিচ্ + অন]। অনু-প্রাণনা বি. শক্তিসঞ্চার, প্রেরণা, inspiration, animation.
অনু-প্রাণিত [ anu-prāṇita ] বিণ. অনুপ্রাণনা পেয়েছে এমন (স্বামী বিবেকান্দের আদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত) [সং. অনু + প্র + অন্ + ণিচ্ + ত]।
অনু-প্রেরণা [ anu-prēraṇā ] বি. অনুপ্রাণনা, শক্তির সঞ্চার; উৎসাহ; উদ্দীপনাসঞ্চার (পিতার কাছ থেকেই তিনি সংগীতে অনুপ্রেরণা লাভ করেন)। [সং. অনু + প্রেরণা]। অনু-প্রেরিত বিণ. উৎসাহ বা উদ্দীপনা পেয়েছে এমন (রবীন্দ্রনাথের কাব্যের দ্বারা অনুপ্রেরিত)।
অনু-বদ্ধ [ anu-baddha ] বিণ. সমৃদ্ধ, সংশ্লিষ্ট, সম্পর্কযুক্ত; পরস্পরসংশ্লিষ্ট। [সং. অনু + বন্ধ্ + ত]।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯