somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ড, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ৫ম বার্ষিকী আজঃ দেশের এই বীর শহীদদের স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধায়

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কিছু কিছু মৃত্যুশোক কখনোই ভোলা যায় না।কিছু কিছু শোক বয়ে বেড়াতে হয় সারা জীবন। আজ তেমনি একটি শোকের দিন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, সকাল আটটা।বাজছে বিউগলের কঠিন সুর। আজকের বিউগলের আওয়াজটা অন্যান্ন দিনের চেয়ে করুণ সুরে বেজে উঠছে যেন। BDR সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে দরবার হলে, হন হন করে নিঃসব্দে ঢুকছে সৈনিকরা, আজও ওদের হাতে কোন অস্ত্র নেই, কারন আইন-শৃক্ষলা রক্ষায় সুধুমাত্র বাহিরে ডিউটির সময়ই কেবল অস্ত্র ও গুলি দেয়া হয়। সকাল ৯টায় পুর্বনির্ধারিত মিটিং। যা দরবার নামে প্রচলিত। এই দরবার হলেই ঘটে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং দেশের ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ড। যা বিডিআর বিদ্রোহ নামে পিরিচিতপিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ৫ম বার্ষিকী আজ।


২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যরা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা পিলখানা এলাকায় অবস্থিত বিডিআর সদরদপ্তরে বিডিআর থেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের কর্তৃত্বের অবসান, রেশন ও বেতনবৈষম্য দূর করাসহ বেশ কিছু দাবিতে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। অনেকেই নানা ভাবে সেদিনের দরবার হলের ঘটনার বিবরন দেন, কিন্তু সেগুলো পরে ঘটনার নিষ্ঠুরতা জানার পর এবং সজনের কান্নাকাটিতে পরিস্থিতির চাপে কিছুটা মোটিভেটেড বলে মনে হয়েছে। বিপুল সংখক বিভৎস মৃতদেহ দেখে তীব্র প্রতিক্রীয়া, আবেগের ভেতর থেকে আসল সত্য বের করে আনা সত্যই কঠিন ছিল। কিন্তু কেন এ হত্যাজগ্য, এই ঘটনা কি পুর্ব পুর্বপরিকল্পিত? না নিছক উত্তেজনার বসে? কি ঘটেছিল সেদিন?
বিডিআর সৈনিকদের চাপা ক্ষোভ অনেক বছর আগে থেকেই ছিল। নব নির্বাচিত সরকার অপেক্ষাকৃত কম রক্ষনশীল, কম সেনা তোষনকারি এবং উদার মনে হওয়া প্রধানমন্ত্রীকে বেশ কিছুদিন আগেই তৈরি করা মুল তিনটি দাবি সহ ৬ দফা দাবি সহ একটি স্মারক লিপি দেয়ার উদ্যোগ চলছিল, তাদের ধারনা হয়েছিল নবনির্বাচিত আওয়ামি সরকারই তাদের জুলুম কিছুটা নিরসন করতে পারবে। কিছুদিন আগে স্থানীয় সাংসদ তাপস জিগাতলা দলীয় ক্যাম্পে এলে তার কাছে কিছু সৈনিক পরামর্শের জন্য আসে, তিনি সুধু রেশনের ব্যাপারটা ছাড়া অন্য ব্যাপার গুলো তার আওতার বাইরে বলে জানান। পরে তাদেরকে প্রপার চ্যানেলে যাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়। পরে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে যেয়েও কোন সুবিধা পায়নি। এরপরের মাসে বিডিআর সপ্তাহে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিজি সাকিল এভাবে দেয়া ঠিক হবেনা মন্তব্য করেন, নিজেই প্রধানমন্ত্রির হাতে তুলে দিয়ে কথা বলবেন বলে মত দেন। কিন্তুি প্রধানমন্ত্রী প্যারেডে সালাম গ্রহন করার জন্য পিলখানায় আসলে তিনি তা দেননি বা আলোচনার চেষ্টাও করেন নি।


পরদিন সকালে দরবার হলে পুর্ব নির্ধারিত BDR DG সাকিলের বক্তব্য সুরু করার কিছুক্ষন পরই উত্তেজনা বাগ-বিতন্ডা। স্মারকলিপি কেন দেয়া হয়নি, UN মিশনে না নেয়া, ডালভাত, সপিং মলের হিসাব। সিমান্তের চোরাই মাল আটকের-লুন্ঠনের ভাগ আফিসার সৈনিক অনুপাত ৮৯:১১ কেন? ৬০:৪০ চাই। এ সবের কোন সুরাহা না হওয়ায় একটা হট্টগলের সুত্রপাত। উচ্চস্বরে ধমকের সব্দ।
এরপর ডিজি সাকিল এভাবে হৈচৈ না করে একজনকে সামনে এসে বক্তব্য দিতে বলেন। সামনে একজনের যায়গায় দুজন এসেছিল বলে জানা যায়। বাকবিতন্ডায় একপর্যায়ে একজন জোয়ান কে স্টেজের উপরে দেখা যায়। … হুমকির সুরে কিছু একটা বলে এবাউট টার্ন করে চলে যেতে চায়। তখন একজন অফিসার তাকে ধরে ফেলে, বলেঃ “কি বলছ পাগলের মত” অপমানিত ডিজি সাকিলের হাতে পিস্তল। হট্টগোলের ভেতর স্টেজের সৈনিকটি জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়। সাধারন সৈনিকরা সাভাবিক ভাবেই ভুল বোঝে। যে লুটিয়ে পরা সৈনিকটি বুঝি শাকিলের গুলিতেই মারা গেছে। এর পর উপস্থিত সৈনিকরা একযোগে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করে। এর পর সবাই হল ছেড়ে চলে যায়। এরপরের ঘটনা ভয়াবহ। সৈনিকেরা দরবার হলে ত্যাগ করার পর বাইরে গুজব ছড়িয়ে যায় যে জেঃ সাকিল এক সৈনিক কে গুলিকরে হত্যা করেছে। এর পর সংগবদ্ধ হয়ে অস্ত্রাগার রক্ষীকে মারধর করে চাবি কেড়ে নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বের করা, ভিন্ন আরেকটি গোলাবারুদের গুদাম থেকে গুলিভর্তি ম্যাগাজিন তুলে নেয়া। একটি দল দরবার হলের দিকে যায়, এর পর প্রথম গুলিবর্ষনের শব্দ, অটোমেটিক রাইফেলের, ব্রাস ফায়ার। প্রত্যক্ষদর্শি সৈনিকের বক্তব্যে জানা যায় যে হত্যাকারিরা প্রথমে আকাশের দিকে ফাঁকা গুলিবর্ষন করে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে, পর উত্তেজনা বেড়ে গেলে কয়েক জন দরবার হলের দেয়াল, বদ্ধ দরজা-জানালা লক্ষ করে এলোপাথারি ব্রাশফায়ার করতে থাকে। ডিজি সাকিল ও অফিসাররা বার বার ধমক দিয়ে সৈন্যদের দরবারে ফিরে আসতে বলতে থাকে , এর ভেতর সেনাপ্রধানের সাথে ফোনে কথা হয়। এর কিছু পরেই একপশলা গুলি ছুটে আসে, কিছু গুলি নরম দেয়াল-পার্টিশন কাঁচের দরজা ভেদ করে সাকিল সহ অন্যান্নদের দেহে বিদ্ধ হয়, অনেকেই মাটিতে শুয়ে প্রানে রক্ষা পান, কর্নেল কামরুজ্জামান সহ অনেকে স্টেজের পাসের উইংসে ঢুকে পরে গুলির হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করে। হাজার হাজার গুলি নিক্ষিপ্ত হলেও কোন বিদ্রহীকেই দরবার হলে ঢুকে দেখে গুলিকরতে দেখা যায়নি। দরবার হল লক্ষ করে হাজার হাজার গুলি নিক্ষিপ্ত হলেও অধিকাংশ সেনা কর্মকর্তার গায়ে কোন গুলি লাগেনি। হত্যাকারিরা হত্যা নিশ্চিত করতে একবারও হলে ঢুকেনি। বা লক্ষস্থির করে গুলি করতে দেখা যায় নি। বিডিআর এর ১৬,০০০ উচ্ছঙ্খল জোয়ানের গুলিবর্ষণে প্রান হারায় বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ সহ ৭৭জন উর্ধ্বস্থানীয় কর্মকর্তা। বিদ্রোহী জোয়ানরা হত্যা ছাড়াও পিলখানা অভ্যন্তরে বসবাসরত বিডিআর কর্মকর্তা ও তাদরে পরিবার পরিজনকে জিম্মি করে।


(উপর থেকে নীচে ১ম সারির ৪র্থ শহীদ কর্ণেল বি,এম জাহিদ হোসেন)
এ ছাড়াও এই হত্যাকাণ্ডে বিদ্রোহী বিডিআর এর গুলিতে কয়েকজন পথচারী ও ছাত্র নিহত হয়। কিছু রক্তপিপাসু সৈনিক ঘটনার পরপরই সাকিলের বাসভবন আক্রমন করে, অগ্নিসংযোগ-লুন্ঠন করে এতে মিসেস সাকিল নিহত হয়। সন্ধার পর কিছু দুষ্কৃতিকারি সৈনিক কিছু অফিসারের বাসা লুন্ঠনের সময় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তবে ভিতরে আটকে পড়া শিশু ও মহিলাদের বিডিআর সদরদপ্তরের ভিতর থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছিলো। বিদ্রহের ১২ ঘন্টা পর বহুল আলোচিত প্রাক্তন বিডিয়ার মহাপরিচলক জেনারেল অবঃ ফজলুর রহমান সহ দুজন প্রাক্তন BDR প্রধান BBC কে একটি সাক্ষাৎকার দেন। তিনি এই বিদ্রহের কারন হিসাবে সরাসরি BDR পরিচালকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন। ডিজি সাকিল গং দের তীব্র সমালোচনা করে বলেন দুর্নিতি, অনিয়ম এবং পরবর্তিতে “কমান্ড ফেইলিওরের” কারনে এই বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। তত্তাবধায়ক সরকারের সেইসময়ের কিছু কর্মকান্ডও সৈনিক অসন্তোষের কারন বলে উল্লেখ করেন। BBC কে তিনি আরো বলেন তার আমলেও সৈনিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছিল। তিনি কতৃপক্ষকে শক্তিপ্রয়োগ না করে শান্তিপুর্ন ভাবে মোকাবেলা করতে পরামর্শ দেন। বিষ্ময়কর ব্যাপার হল এর দুদিন পর এই ফজলুর রহমানই ভোল পালটে ফেলেন। তিনি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে সরকারের সমালোচনা করে বলেন প্রথম দিন ঘটনার পর পরই আলোচনায় সময় নষ্ট না করে সেনা অভিযান চালানো হলে নাকি অনেক জীবন বাঁচানো যেত.!! কিন্তু তিনি কোন ব্যখ্যা দেন নি। ভেতরে প্রায় ৯০ জন সেনা জিম্মি আর পরিবার বর্গ সহ তিনশতাধিক বেসামরিক ব্যক্তি, ১৬,০০০ বিদ্রোহী। সেইসময় সেনা অভিযান চালানো হলে লাশের সংখা ২-৩ হাজার হত, আর দেশব্যাপি ছড়িয়ে থাকা ক্যাম্পের সৈনিকদের প্রতিশোধমুলোক পালটা হামলায় দেশজুড়ে উম্মত্ত তান্ডব শুরু হয়ে যেত তখন এই স্বঘোষিত নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাই বলতেন সরকারের আনাড়ী সিদ্ধান্তের কারনেই এই বিপুল রক্তপাত।


(শহীদ কর্ণেল বি,এম, জাহিদ হোসেনের স্ত্রী ছন্দার আহাজারী)
ঘটনার পরে ২৫শে ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলে বিডিআর এর সদস্যদের একাংশ আত্মসমর্পণ করে। ২৬শে ফেব্রুয়ারি সকালে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত বিডিআর ক্যাম্পে উত্তেজনার খবর পাওয়া যায়। ঐদিন প্রধানমন্ত্রী জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণে, বিডিআরকে আবারও তাদের দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।


২৬শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বিদ্রোহী বিডিআর এর সকল সদস্যগণ তাদের অস্ত্র জমা দেন এবং বাংলাদেশ পুলিশ বিডিআর সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের নামে বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার রায় দেয়া হয়েছে। মামলায় মোট আসামী ছিল ৮৫০ জন। এর মধ্যে ৪ জন মারা যাওয়ায় তাদের অব্যহতি দেয়া হয়। বাকি ৮৪৬ জনের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের প্রধান হোতা ডিএডি তৌহিদ সহ ১৫৪ জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৫৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। অন্যদিকে অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় ২৭১ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। এছাড়া পিন্টু ও তোরাব আলীকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। মামলায় ২০ জন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।


২০০৯ সালের এইদিনে বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানার দরবার হলে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনানীদের মৃত্যুতে আজো স্বজনদের আহাজারি,আকাশ বাতাস করে তোলে প্রকম্পিত।


দেশবাসী আজ সেইসব শহীদদের স্মরন করছে গভীর বেদনায়। দেশের অকুতভয় বীর সেনানী বিডিআর বিদ্রোহে শহীদদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:২৯
২৩টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×