somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোরআন পড়ার সওয়াব

২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোরআন পড়ার সওয়াব

(১৩) আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ(রাঃ)বলেন ,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের (কোরআনের)একটি অক্ষর পড়বে তার জন্য একটি নেকী রয়েছে আর এক নেকী দশ নেকীর সমতুল্য ,আমি বলবোনা যে ,আলিফ-লাম-মিম ,একটি অক্ষর,বরং আলিফ একটি অক্ষর,লাম একটি অক্ষর , মিম একটি অক্ষর ।

(১৪) আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ(রাঃ)বলেন, তোমরা কোরআন শিক্ষা কর, এবং উহা তেলাওয়াত কর ,নিশ্চয়ই তোমরা উহার প্রতি অক্ষরে দশ নেকী পাবে, আমি বলবোনা যে,আলিফ লাম মীম (এক সাথে)বরং আলিফ এবং লাম এবং মীম (আলাদা-আলাদা) ।
অন্য রেওয়ায়তে আছেঃ তিনি বলেছেনঃ আলিফ এবং লাম এবং মীম ত্রিশ নেকী ।

(১৬) আব্দুল্লাহ বিন আব্বাছ(রাঃ)বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,যার ক্বলবে কোরআনের কোন অংশ নাই ,সে যেন বিরান ঘরের মত ।

(১৭) আবু সাঈদ খুদরী(রাঃ)বলেন ,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,আল্লাহ তা'য়ালা বলেন , যাকে কোরআন এবং আমার জিকির আমার কাছে চাওয়া থেকে বিরত রাখে আমি তাকে প্রার্থনা কারীদের যা দেওয়া হয় তার থেকে বেশী বা উত্তম দান করব,আর আল্লাহর বানীর মর্যাদা অন্যসব কথার উপর এমন , আল্লাহর মর্যাদা সমস্ত সৃষ্টি জীবের উপর যেমন ।

(১৮) আবু মুসা আসয়ারী(রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা কোরআনের হেফাজত কর অর্থাৎ বেশী বেশী পড় , যার হাতে আমার জীবন তাঁর শপথ; উট যেমন দড়ি-ছাড়া হতে চায় তার থেকেও বেশী (অন্তর)থেকে তা বের হতে চায় ।

(১৯) বিন আব্দুল্লাহ উমর (রাঃ)থেকে বর্নিত , রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোরআন হেফজ কারী ,দড়ি-বাঁধা উটের মালিকের মত যদি তার হেফাজত করে তাহলে আটকে রাখতে পারে, আর যদি ছেড়ে দেয় পালিয়ে যায় ।(মুসলিম শরীফের রেওয়ায়াতে আরো যোগ করা হয়েছে ,যদি কোরআন হেফজ কারী রাত-দিন তা পড়ে তাহলে স্মরণ রাখতে পারবে ।আর যদি তা না করে ভুলে যাবে ।

(২০) উকবা বিন আমের(রাঃ)বলেন , আমরা মসজিদে বসে কোরআন পড়তে ছিলাম এ সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম দিয়ে প্রবেশ করলেন , আমরা সালামের জবাব দিলাম। অতঃপর আমাদের কে বললেন আল্লাহর কিতাব শিক্ষা কর এবং তাতে তুষ্ট থাক অর্থাৎ অন্য কিছুকে তার উপর প্রাধান্য দিওনা । ক্বাবাস বলেন(বর্ননা কারী দের একজন)আমি ধারণা করছি তিনি আরো বলেছেন,তারতীলের সাথে কোরআন তেলাওয়াত কর, শপ্থ;যার হাতে মোহাম্মদের জীবন অর্থাৎ আল্লাহর শপথ , গর্ভবতী উটনী যেমন দড়ি-ছাড়া হতে চায় কোরআন তার থেকেও বেশী (অন্তর)থেকে বের হতে চায় ।

(২১) আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ(রাঃ)বলেন ,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , কতইনা নিকৃষ্টতম কথা তোমাদের কেউ বলে , আমি অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি বরং তাকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । তোমরা কোরআন স্মরণ রাখার চেষ্টা কর কেননা তা চতুষ্পদ প্রাণী থেকেও বেশী মানুষের অন্তর থেকে বের হয়ে যেতে চায় ।

(২২)হযরত আয়শা (রাঃ) বলেন ,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলা মসজিদে নববীতে তেলাওয়াত রত একজনের তেলাওয়াত শুনতে ছিলেন , অতঃপর বললেনঃ তেলাওয়াত কারীকে আল্লাহ রহম করুন সে আমাকে উমূক উমূক আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যা আমি উমূক উমূক সূরা থেকে বাদ দিয়ে ছিলাম ।

(সংযোজন)
হাফেজ ইবনে হাজার (রহঃ) ফাতহুল-বারীতে লিখেছেনঃ ইমাম ইসমায়িলী (রহঃ) বলেছেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোরআনের কিছু অংশ বিস্মৃত হওয়া তা দুই ভাবে হতে পারে , (এক) সাময়িক ভাবে ভুলে যাওয়া যা তিনি অল্পতেই স্মরণ করতে পারেন ।যেটা মানুষের স্বভাবজাত , আর এ বিস্মৃত হওয়ার স্বপক্ষে দলিল হল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস যা ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

إنما أنا بشر مثلكم أنسى كما تنسون))

،،আমি তোমাদের মতই মানুষ , তোমরা যেমন ভুলে যাও আমিও তেমনই ভুলে যাই।
(সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৭২)

(দুই)আল্লাহ তা'য়ালা কতৃক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্বলব মোবারক থেকে কোন আয়াত মুছে দেওয়া সেই আয়াতের তেলাওয়াত নসখ(রহিত)করার উদ্দেশ্যে।
আর এ কথার দিকেই নিম্মের আয়াত ইংগিত করেঃ

سنقرئك فالا تنسى إلا ما شاء الله))

আমি আপনাকে পাঠ করাতে থাকব ফলে আপনি বিস্মৃত হবেন না, আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত ।(সূরা আ'লা ৬,৭)
সুতরাং প্রথম প্রকারঃদ্রুত চলে যাওয়ার(বিস্মৃত হওয়ার)প্রতিবন্ধক ,তা আল্লাহর বাণী থেকেই স্পষ্ট বুঝা যায়ঃ

(إنا نحن نزلنا الذكر وإنا له لحافظون)
(الحجر:9)

আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক ।
(হিজরঃ৯)
আর দ্বিতীয় প্রকারঃ আল্লাহর এ বাণীর অন্তর্ভুক্ত ঃ


( ما ننسخ من آية أو ننسها نأت بخير منها أو مثلها ألم تعلم أن الله على كل شيىء قدير )
( البقرة:106 )

আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনায়ন করি । তুমি জাননা যে , আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান।(আল বাক্বারাহঃ১০৬)
হাফেজ ইবনে হাজার(রহঃ)বলেন,এই হাদিস তাদের দলিল যারা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষে ভুলে যাওয়া সম্ভব মনে করেন । আর এ ভুলে যাওয়াটা দুই বিষয়ে হতে পারে ঃ (এক)যা উম্মতের নিকট পোঁছানো তাঁর দায়িত্ব নয় ।(দুই) যা উম্মতের নিকট পোঁছানো তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
আর যেটা পোঁছানো তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তা দুই অবস্থায় ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে । (এক) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উম্মতের নিকট পোঁছানোর পর ,
(দুই) অল্প সময়ের জন্য ভুলে যাওয়া এবং তা দীর্ঘ না হওয়া বরং তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে ,সেটা দুই ভাবে হতে পারে ঃ নিজে নিজেই স্মরণ করতে পারবেন, অথবা অন্যের মাধ্যমে । আবার স্মরণ করিয়ে দেওয়াটা কি ভুলে যাওয়ার সাথে সাথে হবে নাকি পরে হবে ,এখানে দুই মত অর্থাৎ সাথে সাথে হতে পারে অথবা পরেও হতে পারে।
আর যেটা পোঁছানো তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তা পোঁছানোর পূর্বে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)ভুলে যাবেন এই বিশ্বাস রাখাই জায়েয নাই । আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক 'আ-লা মু'য়াল্লামিন না-সি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ ।

নামাজের মধ্যে কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত

(২৩)আবু হুরাইরা (রাঃ)বলেন ,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ কি পছন্দ করে সে যখন নিজের পরিবারের নিকট যাবে তাদের মাঝে বিরাটকায় মাংসল তিনটি গর্ভবতী উটনী পাবে? আমরা বললাম, হাঁ ।অতএব তোমাদের কেহ যখন নামাজের মধ্যে তিনটি আয়াত পড়বে তার জন্য বিরাটকায় মাংসল তিনটি গর্ভবতী উটনী থেকেও উত্তম।
(২৪) আবু জর গিফারী(রাঃ)বলেন ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহর নিকট এর থেকে উত্তম জিনিস নিয়ে ফিরে যেতে পারবে না যা আল্লাহর থেকে বের হয়েছে অর্থাৎ কোরআন ।

কোরআনের অনুসারী সঠিক পথ প্রাপ্ত পরিত্যাগ কারী পথ ভ্রষ্ট

(২৫) আলী(রাঃ)থেকে বর্নিত যে , তিনি মেসওয়াক করতে নির্দেশিত হয়ে ছিলেন এবং তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃবান্দা যখন মেসওয়াক করে নামাজে দাঁড়ায় তখন একজন ফেরেশতা পিছনে দাঁড়িয়ে তার তেলাওয়াত শুনতে থাকে অতঃপর তার আরো নিকটবর্তী হতে থাকে ।"অথবা এরকম কোন কথা বলেছেন" (বর্ননা কারীর সন্দেহ)।অবশেষে ফেরেশতার মুখ বান্দার মুখের মধ্যে রাখে ফলে বান্দার মুখ থেকে কোরআনের কোন অংশ বের হলে সেটা ফেরেশতার পেটের ভিতরে গিয়ে পোঁছে ।রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন ঃ সুতরাং তোমরা কোরআনের জন্য মুখ পরিষ্কার কর ।

(২৬)জায়েদ বিন আরক্বাম(রাঃ)বলেন ,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন আমাদের মাঝে খুতবা (বক্তৃতা)দিতে দাঁড়ালেন।শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা , জিকির ও নসিহত করলেন।অতঃপর বললেনঃ হে মানব সমাজ !যেনে রাখ নিশ্চয় আমি মানুষ ।অচিরেই আমার প্রতিপালকের দূত আসবে আর আমি (ডাকে)সাড়া দিব । আমি তোমাদের মাঝে দুইটি ভারী জিনিস রেখে যাচ্ছি প্রথমটি হল আল্লাহর কিতাব ,তাতে রয়েছে হেদায়েত এবং আলো ।আল্লাহর কিতাব কে নাও এবং আঁকড়িয়ে ধর ।(বর্ণনা কারী বলেন)আল্লাহর কিতাবের প্রতি উদ্ভুদ্ব করলেন এবং উৎসাহ দিলেন।আতঃপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার বংশদর আল্লাহর নামে তোমাদের কে আমার বংশদরদের ব্যপারে উপদেশ দিচ্ছি এই কথা তিনবার বললেন । আর অন্য রেওয়ায়াতে আছেঃ যেনে রাখ! নিশ্চয় আমি তোমাদের মাঝে দুইটি ভারী বস্তূ রেখে যাচ্ছি , তার একটি হল আল্লাহর কিতাব । এটা আল্লাহর রজ্জূ ,যে তার অনুসরণ করবে সেই হেদায়েতের উপর থাকবে ,আর যে ত্যাগ করবে সে তার ভ্রান্তিতে থাকবে।

(২৭) জাবের বিন আব্দুল্লাহ(রাঃ)বলেন ,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়াসাল্লাম বলেছেন:আমি তোমাদের মাঝে যা রেখেছি তা যদি আঁকড়িয়ে ধর তাহলে আর পথচ্যুত হবে না (তা হল)আল্লাহর কিতাব । আর তোমাদের কে আমার সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করা হবে তোমরা কি বলবে?সাহাবারা(রাঃ)বল্লেন,আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি পোঁছিয়েছেন ,আদায় করেছেন এবং উপদেশ দিয়েছেন ।

(২৮) আব্দুল্লাহ বিন আব্বাছ(রাঃ)বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আমি তোমাদের মাঝে যা রেখেছি তা যদি আঁকড়িয়ে ধর তাহলে কখনো পথচ্যুত হবে না (তা হল)আল্লাহর কিতাব এবং নবীর সুন্নত ।
(২৯)আবু সুরাইহ আল খুজায়ী (রাঃ)থেকে বর্নিত তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে এসে বললেন , সূ সংবাদ সূ সংবাদ , তোমরা কি সাক্ষ্য দাওনা যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা'বুদ নাই, এবং আমি আল্লাহর রাসুল ?তাঁরা (রাঃ)বললেন হ্যাঁ । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই কোরআনের এক প্রান্ত আল্লাহর হাতে এবং এক প্রান্ত তোমাদের হাতে ।অতএব তা শক্ত করে ধর , নিশ্চয় তোমরা এরপর কখনো পথচ্যুত এবং ধ্বংস হবে না ।
(৩০) ) আব্দুল্লাহ বিন আব্বাছ(রাঃ)বলেন,যে ব্যক্তি কোরআন তেলাওয়াত করবে এবং তাতে যা আছে তার অনুসরণ করবে আল্লাহ তাকে গোমরাহী থেকে পথ দেখাবেন । এবং তাকে হিসাব-নিকাশের বিপদ থেকে মুক্তি দিবেন , তার কারণ আল্লাহ বলিয়াছেন ,

(فمن اتبع هداى فلا يضل ولا يشقى)
যে আমার বর্ণিত পথ অনুসরণ করবে,সে পথভ্রষ্ট হবে না এবং কষ্টে পতিত হবে না।
(সূরা ত্ব-হাঃ১২৩)

কোরআন আঁকড়িয়ে ধরা ফেতনা থেকে মুক্তি

(৩১) হুযাইফা বিন ইয়ামান(রাঃ)বলেন,মানুষ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কল্যাণ সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করতো আর আমি তাঁকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে)অকল্যাণ সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করতাম। আর আমি জানতাম কল্যাণ আমাকে অতিক্রম করতে পারবে না । আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল!এই কল্যাণের পরে কি অকল্যাণ আছে ? তিনি বললেন,হে হুযাইফা!আল্লাহ্র কিতাব শিক্ষা কর,এবং তাতে যা আছে অনুসরণ কর , তিনবার বললেন । আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল!এই কল্যাণের পরেও কি অকল্যাণ আছে ? তিনি বললেন, শান্তি চুক্তির ধ্রুম্ম জাল,অন্তর অপরিচ্ছন্ন এক সম্প্রদায় । আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল!এই কল্যাণের পরেও কি অকল্যাণ আছে? তিনি বললেন , ,হে হুযাইফা!আল্লাহ্র কিতাব শিক্ষা কর,এবং তাতে যা আছে অনুসরণ কর , তিনবার বললেন । আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল!এই কল্যাণের পরেও কি অকল্যাণ আছে? তিনি বললেন,অন্ধ-বধির (গোমরাহী ও জাহেলী)ফেতনা , তার দিকে আহবান কারী জাহান্নামের দরজায় দণ্ডায়মান ।দাঁত দিয়ে শিকড় আঁকড়িয়ে ধরা অবস্থায় তোমার জন্য মৃত্যু শ্রেয় তাদের কারো অনুসরণ করা থেকে ।আর অন্য রেওয়ায়াতে আছে ঃ হে হুযাইফা! আল্লাহর কিতাব শিক্ষা কর , এবং তাতে যা আছে তার উপর আমল কর , তিন বার বলেছেন ।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×