স্থলের বিচারে হয়তো আছো লক্ষ যোজন দুরে
কিংবা একই চির চেনা শহরে
কয়েক মহল্লা পরে
শুধু তোমার আমার চেনা গন্ডীর অগোচরে।
মনের মাপে আকাশ হয়ে আছো জীবন টা ঘিরে
বাতাস হয়ে যাচ্ছো বয়ে আমার সত্তা জুড়ে!!
জল হিসাবে আঁখির তিন ভাগ রেখেছো ঝাপসা করে
বাকি এক ভাগও অশ্রুশিক্ত যখন তখন ঝরে
অনুভুতিহীন ভোঁতা জীবন ছকের ভিতর চরে
বুকচাপা দায়িত্বের পাথরে
মমতার ঝিনুক হাতরে বেড়াই ক্লান্ত ডুবসাঁতারে
গোপনে চুপিসাড়ে
পরাজিত মন আছড়ে পড়ে বাস্তবতার তীরে
ব্যর্থতার দুয়ারে
অথচ
পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াচিত্র অন্তরের ভিতরে
প্রতিটি আবেগের জীবন্ত অনুভূতি সমানুপাতিক হারে
সাজানো রয়েছে এই হৃদয়ের চার কুঠুরি ঘরে
চেতনার জগৎ চির অবনত অসংখ্য স্মৃতির ভারে
থমকানো মন করে যাতায়াত ওপারে এপারে ওপারে
ভাবনা চিন্তা বসবাস করে উন্মাদনার ধারে
কেমনে বোঝাবো কারে
কেমনে জানাবো তারে
ব্যকুল দুচোখ একটাই মুখ কেবলই যে খুঁজে ফিরে
অজস্র মুখোশের ভিড়ে
বিশ্বচরাচরে
ব্যস্ততায়, অবসরে
ঘুম ভাঙা প্রহরে
না পাওয়ার শেকে আর্তনাদ জাগে বিষন্নতার সুরে
স্বর্গ মর্ত্য লন্ডভন্ড সুতীব্র হাহাকারে
স্তব্ধ সময়ের কাটাগুলো আসতেই থাকে ঘুরে ঘুরে
একই জায়গায়, একই ছন্দে..বারেবারে, বারেবারে
আটকে থাকা কল্পনার ফ্রেমে আছি বসে হাত ধরে
নিঃসঙ্গতার দীর্ঘশ্বাসে আছে যে বুকটা ভরে
চারিদিকে শত কাচেঁর টুকরো পড়ে আছে ভেঙ্গে চুরে
আয়নার কি প্রয়োজন যদি দেখতে না পারি নিজেরে
জানিনা কতকাল থাকতে হবে গুটিয়ে নিজের নজরে
মনের খাঁচায় বন্দি কাব্য ছটফটিয়ে মরে
কিন্তু
একটা সত্য আছে প্রথীত বিশ্বাসের গভীরে
আমার প্রেরনা কখনো যাবে না
কোন বাঁধ ভাঙ্গা বন্যায়..অথবা দুরন্ত ঝরে
তুমি যে আছো আকাশ হয়ে আমার জীবন টা ঘিরে
বাতাস হয়ে যাচ্ছো বয়ে আমার সত্তা জুড়ে!!
অনু পরমাণু রাঙিয়ে দিচ্ছ প্রেরনার আবিরে...যতই থাকনা সরে
শ্বাশত প্রেরনা শথ দোলাচলে থাকবে অবিচল... ডুবেও
উঠবে ভেসে
সময়ের সীমাহীন সাগরে
অন্তত শেষ একবারের তরে
যখন মুখোমুখি হবো দুজন, মুছে যাবে সব পিছুটান
ভুলে যাবো সব অভিমান, দুজন দুজনকে ডাকবো জান
তারপর আমি সাধনায় যাবো চিরনিদ্রার ঘরে
বাজবে একটা আশার গান... অনন্ত আধারে
দুজন দুজনের হবো জান... জন্মজন্মান্তরে!!
সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:১৮