জে মঈনের আলুর দোষ দেখা গেল। শায়েখ সিরাজের "ওভার এম্ফাসাইসমেন্ট অন আলু" চাষীদের এমন আলু সংক্রমন করালো যে এবার একেবারে বাম্ফার-ডাম্ফার ফলন হয়ে গেছে। সম্ভবত সিরাজ সাহেব বুঝে উঠতে পারেননি তিনি কেমন ইনফ্লুয়েন্সিয়াল হয়ে উঠেছেন গ্রাম বাংলায়। যদি আলুর প্রতিবেদন করেন তো আলুর উৎপাদন বাড়ে, পেয়ারা দেখান তো পেয়ারার বীজের চাহিদা বেড়ে যায়। কিছুদিন আগে আরবী খেজুরের একটা প্রতিবেদনের পরে তো দেশের মাটিতে আরব দেশের খেজুর উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে মহাসমারোহে।
যাই হোক প্রসঙ্গ ছিল জে মঈনের আলুর দোষ। এটা যে এই শায়েখ সিরাজের বদৌলতেই হয়েছে এটা মোটামুটি নিশ্চিন্তে বলা যায়। আলুর শায়েখ সিরাজীয় ফলনের কারণে কোল্ডস্টোরেজ সংকট দেখা দিয়েছে। চাষীরা অমৌসুমে বেশী দামে আলু বিক্রি করে মুনাফা করবে বলে বাড়তী ফসল সেমি-শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গোডাউনে প্রিজার্ভ করে থাকে। কিন্তু এবার তো উরাধুরা ফলন - সব কোল্ডস্টোরেজ সোনার আলুতে গিয়াছে ভরি! ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোট সে তরী!
অবশ্য এ নিয়ে উৎকণ্ঠিত হবার কিছু নেই। জানালেন জে মঈন। বললেন, আমরা যদি এই অতিরিক্ত আলু খেয়ে ফেলি তবেই আর স্টোর করার দরকার হবে না! তিনি মনে করিয়ে দিলেন, দেশে এখন চাল-সংকট চলছে। আলু হতে পারে ভাতের কার্যকর বিকল্প!
মঈনের এই বক্তব্যকে ক্রিটিকরা আখ্যা দিয়েছেন "আলুর দোষ" হিশেবে। তারা পরামর্শ দিয়েছেন, মঈন এক কাজ করতে পারেন। সেনাবাহিনীর বিশাল জনসংখ্যাকে আলু খেতে উৎসাহিত করতে পারে। একটা সুশৃংখল বাহিনী হিশেবে সেনাসদস্যরা তার ডাকে যতটা সাড়া দেবে আমজনতা ততটা নাও দিতে পারে।
সো জে মঈন - ছড়িয়ে দিন আপনার আলু দোষ সব সেনাদের অন্তরে! আহা কি আনন্দ আজ আকাশে বাতাসে!
একটা ঘটনা মনে পড়লো। বছর দুই আগে যখন গরুর দোষ দেখা দিল মানে কোরবানীর সময় ইন্ডিয়া যখন গরু রপ্তানীর উপর বিধিনিষেধ আরোপ করলো তখন একটা ওয়ার্কশপে পঞ্চগড় গিয়েছিলাম। পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সেই ওয়ার্কশপে কি একটা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, আমরা যদি আমাদের ড্রইংরুমে একটা করা গরু পালি তবেই তো আর এ সমস্যা থাকবে না! শুনে এত ভাল লেগেছিল, আহা মরি মরি, কি আইডিয়া! এই না হলে সরকারী কর্মকর্তা!
জে মঈন সমস্ত এসিওয়ালা সরকারী বাড়ীগুলোতে আলু সংরক্ষণের একটা বিকল্প প্রস্তাব দিতে পারেন। আলু আমার আলু সে যে আলু জীবন ভরা!
* সামহোয়ার বাঘে খেয়ে ফেলেছিল। স্রোতের ব্যাকআপ থেকে সামী মিয়াদাদ কর্তৃক সংগৃহিত এবং আবার পুনঃলিখিত।