somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদই অপরাধ - শির হারানো মানুষটি নিরাপরাধ প্রতিভাসিত হয়ে ওঠে রাষ্ট্রের গর্হিত অপরাধের কালিমায়! ম্যাজিক মুভমেন্টের প্রতিবাদী সভা ১৫ তারিখ, শনিবার, সকাল ১০টায় শাহবাগে!

১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দশই অক্টোবরের ডেইলী স্টারের খবরে জানা যায় আরো ৫জন বাংলাদেশীর মৃত্যুদন্ডের আদেশ হয়েছে যাদেরও হয়তো অচিরে শিরশ্ছেদ করা হবে। তবে অবস্থা দৃষ্টে সৌদিদের এই শিরশ্ছেদের ভয়াবহ আইনী ব্যবস্থার যে উদ্দেশ্য বলে প্রচার করা হয়, দৃষ্টান্ত স্থাপন, সেটা বরঞ্চ ব্যাক ফায়ার করছে মনে হয়। ভিডিওতে ছড়িয়ে পড়া শির ছেদনের ঘটনা দেখে অপরাধীর জন্য সমবেদনা জন্মাচ্ছে মানুষের।

পৃথিবী পাল্টে গেছে চোদ্দশ বছরে চোদ্দ হাজার বার। এর মধ্যে মানুষ দেখেছে এমন ভয়াবহ অন্যায়ের দৃষ্টান্ত। যেখানে অন্যায়ভাবে একদল মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। দাঙ্গা, বিশ্বযুদ্ধ এবং এ শতাব্দীর প্রযুক্তির কল্যানে এখন এমন মৃত্যু উৎসব দেখা যাচ্ছে হরহামেশা। এসব ক্ষেত্রেই ভিকটিমরা নিরীহ আর হত্যাকারীরা অপরাধী হিসাবে সর্বজনে পরিচিতি পেয়ে এসেছে।

পরিবর্তিত এই সমাজ ব্যবস্থায় যখন মানুষকে মারার সরাসরি কোনো দৃশ্য দেখানো হয় - তখন তার পেছনে কোনো বিচারিক ব্যবস্থা থাকে না। থাকে অপরাধীর মুখ। আর রাষ্ট্র যখন অপরাধীর শাস্তি হিসাবে সেই একই মৃত্যু নকশা আঁকে এবং প্রচার করে দৃষ্টান্তমূলক হিসাবে, তার মেসেজও যায় ঘুরে।

আপনি দেখুন এই ভয়াবহ ভিডিওটি [ফেসবুক গ্রুপ] এবং বিচার করুন - এর পেছনে রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থা যে ন্যায় সংরক্ষণের কথা বলে তার কোনো ছিটেফোঁটা দেখা যায় কিনা! এই দৃশ্য দেখার পরে পুরো বিচার প্রক্রিয়া ও এর সাথে জড়িত প্রশাসনকেই বরঞ্চ অপরাধী হিসাবে মনে হবে।

এমন প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদের এখন একটাই অর্থ দাড়ায় - তা হলো রাষ্ট্রিয় সন্ত্রাস, এবং অন্তর্নিহিত যে ব্যাখ্যা আমরা বুঝে নেই তা হলো এই শিরশ্ছেদই অপরাধ - আর শির হারানো মানুষটি বরঞ্চ নিরাপরাধ প্রতিভাসিত হয়ে ওঠে রাষ্ট্রের গর্হিত অপরাধের কালিমায়!

অপরপক্ষে এই শিরশ্ছেদের নামে সৌদি রাজতন্ত্র তাদের নিজস্ব জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতি চাপিয়ে চলছে যা বিশ্বব্যাপী ঘৃণ্য মতবাদ হিসাবে পরিগণিত। এর ভেতরে না আছে ধর্মীয় অনুভূতি না আছে ঐশ্বরিক কিছু। সৌদী রাজতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা মক্কা মদীনার মত পবিত্র ভূমি এবং এর সাথে জড়িত মানুষের আবেগ প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত হচ্ছে। এতে সৌদি মানুষের কোনো ক্ষোভ নাই, তাদের মুখ আক্ষরিক অর্থে তালা মেরে রাখা হয়েছে। আসুন তাদের মুখে প্রতিবাদের শ্লোগান জোগাই, ভাষা যোগাই - যেন তারাও ঘুরে দাড়াতে পারে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা প্রতিবাদ করবো না ততক্ষণ পর্যন্ত এই পবিত্র ভূমির সাধারণ জনগণ বুঝবে না সারা বিশ্ব তাদের কত ঘৃণার চোখে দেখে। সৌদী রাজতন্ত্র পৃথিবীর মধ্যে কতটা নিকৃষ্ট মানব হত্যাকারী।


ম্যাজিক মুভমেন্ট নামে ফেসবুকের একটা গ্রুপ ডাক দিয়েছে প্রতিবাদী বিক্ষোভের।

তারা জানাচ্ছে,

আমাদের প্রথম পদক্ষেপ -WE ARE NEXT- শীর্ষক একটি প্রতিবাদ সভার। নিজের শরীরে দড়ি বেঁধে আমরা মাথা নিচু করে রাজপথে দাঁড়িয়ে থাকবো কিছুক্ষণ। সৌদি আরবে ৮ বাংলাদেশীকে শিরচ্ছেদ করার সময়, সেই অসহায় মানুষেরা যেভাবে হাটুতে ভর দিয়ে দাড়িয়েছিল, অবিকল সেইভাবে। গোটা বিশ্ব যেন দ্যাখে, কীভাবে আমাদের ভাইদের বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছে। হাত পা চোখ বাঁধা অবস্থায় কতই না অসহায় ছিলো তারা। আর এভাবেই আমাদের ঘৃণা, আমাদের প্রতিবাদ আমরা ছড়িয়ে দেবো সবখানে।

স্থান : শাহবাগ, জাতীয় জাদুঘরের সামনে
সময় :সকাল ১০টা
দিন : ১৫ অক্টোবর, রোজ শনিবার, ২০১১

চলুন এই বর্বর শরীয়াহ আইনকে সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলে মানবতাকে মুক্ত করার জন্য সমবেত হই। কিক আউট সৌদি ডাইনাস্টি ফ্রম দি ল্যান্ড অব ইসলাম
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:২৪
১৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×