কোনও এক প্রকাশ ধরণে না যাওয়া পর্যন্ত অনুভূতি নিজেই অনুভূতিহীন বা না-অনুভূতি। ইদানিং আমার এই না-অনুভূতি হচ্ছে বলে একে দেহ দেবার ষড়যন্ত্র করেছি।
বন্ধু-বিহীন আছি বলা যায় প্রায়। একসময়ে বন্ধুত্ব হয়। তারপরে আরো বন্ধু। তারপরে আর বন্ধু হয় না। পরের বন্ধুদের আরো পরিচয থাকে - কেউ সহকর্মী, কেউ সহমর্মী, কেউ আত্মীয়, কেউ অংশীদার। অ্যাবসলিউট বন্ধু পরিচয়ের চেয়ে তাদের অন্য পরিচয় অনেক সময় মূখ্য হয়ে ওঠে।
সম্প্রতি আবিস্কার করলাম আমার এক শৈশবের ফ্রেন্ড আমাকে আপনি করে কথা বলে। পরে বুঝলাম যেহেতু সে ব্যবসায়ী এবং ফোন করে অফিস টাইমে সবার সাথে আপনি বলতে বলতে একটা অভ্যস্ততা হয়ে গেছে। চাইলেও এখন তুমি বলতে পারে না।
দেশ-পরদেশ বন্ধু আসলে থাকে না বেশীদিন। আমার বন্ধুরা সবাই দূরত্বে বাস করে - শৈশবের বন্ধুদের কথা বলছি। ফলে তাদের সাথে বন্ধুত্ব পাল্টে এখন ইতিহাস হয়ে গেছে।
এখন সম্ভবত এটাই চলবে। চল্লিশের পরে বন্ধুত্ব নিয়ে চিন্তা করা বুজরকি। এই বন্ধুত্বহীনতা মেনে নেয়াই বরঞ্চ স্বাভাবিক। না-অনুভূতি নিয়ে থাকতে হবে।