দরজা খুলে নেমে যাই।
সিঁড়ির ধাপগুলো চওড়া ও উঁচু। সতর্ক পায়ে ভারসাম্য হারাতে হারাতে নামতে থাকি দ্রুত। মনে হচ্ছে এখন আমি অনেক কিছুই করতে পারি। দৌড়ে নামতে পারি। অথচ একটু আগেও আমার নিষেধ ছিলো। আরোপিত বাধার কল্পিত শঙ্কা চেপেই উঠেছিলাম। কষ্ট হচ্ছিলো - ক্ষয়ে যাচ্ছিলো ধৈর্য। কিন্তু সফলভাবে ঢুকে পড়ার পরেই রহস্য নাই হয়ে গেলো।
এখন নেমে যাচ্ছি দ্রুত। যে লক্ষ্যের জন্য আমার তীব্রতা ছিলো সেটা শেষ হলো। অন্য আবিষ্কারের সন্ধান পেয়েছি।
এভাবে চলবে। চলতে চলতে সূর্যের বয়স বাড়বে। চারপাশের বাতাসে আরো বেশী জাঁকিয়ে বসবে চূর্ণ-ধাতব।
এভাবে পূর্ণ হবে দেহের জৈব স্তরের লাইফ। ভেতর থেকে শুষ্ক হতে থাকবে - জাগানো যাবে না কোনো অমরত্বে।
অবশিষ্ট থাকবে পরিকল্পনা-গত চেক-লিস্টের বড় অংশ - কেউ এসে করে দেবে না শেষে। কিন্তু অনাদৃত সে বাড়তি লক্ষ্য অতিরিক্ত বলে সংবাদ হবে না। এর পূর্ণমান যাবে রচয়িতার ভাগ্যেই - না অর্জনেও।
যত দরজা আছে সব খুলে বের হয়ে যাই। যেখানে দরজা নাই বলে ছিলো জাগতিক বিভ্রম - সেখানেও হাজারটা দরজার কড়া - নড়ছে, ডাকছে।
সব খুলে দ্রুত নেমে যাবার পরেই নতুন অপেক্ষা - হাতে বেড়ে যাওয়া সময়ের মজুদ।