অস্বস্তিকর একটা বাতাস ঘিরে ধরেছে ঢাকাকে। দিল্লীর মত হয়তো ভয়াবহ নয়, কিন্তু একদিন হয়তো ছাড়িয়ে যাবে দিল্লীকেও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। দেহের ভেতরে প্রতিদিন লক্ষবার এই অস্বস্তিকর বাতাস ঢোকে। কোনো নিস্তার নাই। ঢাকায় থাকতে হলে এই বাতাসের আঘাত সহ্য করতে হবে। বাতাস পণ্ডিতেরা বলে কোনো ক্ষতিকর কেমিকেলের অস্তিত্বের কথা। আমাদের শহরায়নের ফসল। আমাদের সভ্যতার সবচেয়ে অসভ্য শহরায়নের ফলে বাতাসকে বিষাক্ত করে তুলছে। আর তার ভেতরে আমরা বাস করছি।
বাতাসের বিকল্প হবে না কিছুই কখনও। বাতাস ও খাদ্য ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকবে না। দুটোই এ শহরে মনুষ্যপযোগীতা হারাচ্ছে। নিজেরাই বিভক্ত হয়ে একদল আরেকদলের থেকে সুবিধা ছিনিয়ে নিয়ে আসলে নিজেও বাঁচতে পারবে না। অপরিকল্পিত/অবৈজ্ঞানিক কাঠামো তৈরি করছে সরকার, ক্ষতিকর খাদ্য বিক্রি করছে মানুষ, আর বাকিরা জেনেশুনে বিষ পান করছে।
কী ভীষণ আহাম্মক হলে এভাবে শহরায়নের পক্ষে পরিশ্রম করতে পারে মানুষ, যা তার নিজের নিশ্বাস নেবার স্বাধীনতাটুকু ছিনিয়ে নিচ্ছে? কত বড় বোকা হলে আমরা এই ধ্বংসকে সভ্যতা বলতে পারি?
ঢাকায় যদি মানুষ না বাস করতে পারে তবে এই অপরিকল্পিত অবকাঠামো গড়ে তোলার 'উন্নয়ন'কে আত্মহত্যা বলতে হবে। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের, কৃষি এবং প্রক্রিয়াজাতের, উপরে সরকারের কোনো পরীক্ষা নেই, আমরা তুলে নিচ্ছি এই বিষযুক্ত খাদ্য বেঁচে থাকার জন্য। প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের প্রবহমানতাকে বৈজ্ঞানিকভাবে পরিমাণগত ব্যবহারের সীমা বিচার না করে 'উন্নয়ন' ঘটতে থাকা ভৌত কাঠামো ও কেমিকেলের মাধ্যমে বাতাসকে বিষাক্ত করছি।
এবং বেশ গর্বের সাথে আমরা এসবকে 'উন্নয়ন' বলে গলা ফাটাচ্ছি!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০